বর্তমান সময়ে ভয়াবহ গরমে অস্থির জনজীবন। খরায় পুড়ছে পুরো দেশ। মানুষসহ প্রতিটি প্রাণীর ত্রাহি অবস্থা। রোদের তেজে দিনে রাস্তায় বের হওয়াই কঠিন। আকাশ থেকে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। মরুভূমির লু হাওয়া যেন গা ছুঁইয়ে দিচ্ছে। কবে মিলবে স্বস্তির বৃষ্টি- সেই প্রতীক্ষায় প্রহর গুণছে মানুষ। তবে কোথাও নেই সুখবর। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, তাপমাত্রা আরও বাড়বে।
তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙ্গতে পারে আগামী শুক্রবার! আবহাওয়া অফিসের সবশেষ পূর্বাভাস বলছে, আপাতত দেশের আকাশে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা কমার কোনো আলামতও তারা দেখছেন না। গতকাল মঙ্গলবার ৬ জুন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা বেড়ে আগামী শুক্রবার ৯ জুন ৪২ ডিগ্রি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সম্প্রতি সারাদেশে যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে তা প্রশমিত করার জন্য যে বৃষ্টি দরকার তা হচ্ছে না। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মৌসুমী বায়ুর আগমন ঘটবে, তখন তাপমাত্রা কমে আসবে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর আগামী শুক্রবার তা ৪৫ ডিগ্রিতে চড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইট।
সেটা হলে দেশের তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙতে পারে। যদিও আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, স্থানীয় অফিসের আবহাওয়া বার্তা সঠিক নয়। তাপমাত্রা এত বেশি হওয়ার আশঙ্কা নেই। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সেটাই সর্বোচ্চ। এদিকে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।
উপজেলাটির দাগলাগঞ্জের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলছিলেন, আমরা এখন রোদের তেজ কখনো দেখিনি। এমনকি স্বাধীনতার পর এমন খরা আমাদের চোখে পড়েনি। অন্যান্য বছর এই সময়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়। মাঠঘাট পানিতে ভরে থাকে। কিন্তু এ বছর পুরোটাই বিপরীত। আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, এত রোদের তেজ যে, মাঠেঘাটে বের হওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছে। এখন মাঠে কাজ করতেও যেতে ভয় হচ্ছে। কয়েক দিন দিন থেকে ক্ষেতের কাজ করাবো বলে লোক পাচ্ছি না। কারণ এত গরমে কেউ কাজ করতে চাচ্ছে না।
গত ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সেটাই সর্বোচ্চ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের প্রতিটি জেলার মাটি খরায় পুড়ছে। তীব্র গরমে মানুষের জীবনে নেমে এসেছে দুর্বিসহ অবস্থা। একদিকে অসহনীয় গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে জনজীবন অতিষ্ঠ। গরম ও তাপামাত্রা এতটাই বেড়েছে যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো কয়েক দিনের জন্য ক্লাস বন্ধ রেখেছে। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ছুটি ঘোষণার দাবি উঠছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন না। আর যারা বের হচ্ছেন তাদের অবস্থা গরমে কাহিল।
তীব্র গরমের কারণে ডাব ও শরবত বিক্রি বেড়েছে। জুস বিক্রির দোকানগুলোতে সকাল-সন্ধ্যা ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বেড়েছে এসি, ফ্যান ও চার্জার ফ্যানের বিক্রি। মানুষজন গরম থেকে রক্ষা পেতে ধার করে হলেও চার্জার ফ্যান ও এসি কিনছে। গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর ইলেক্টনিক্স মার্কেটগুলোতে ক্রেতার ভিড় লেগেই আছে। বিক্রেতারাও ঘণ্টায় ঘণ্টায় এসি ও চার্জার ফ্যানের দাম বাড়াচ্ছেন। তারপরও থেমে নেই বিক্রি।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসে তাপমাত্রা বেশি থাকে। তবে জুন মাসে এই তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে ওঠার কথা নয়। আগামী ৮ জুন ঢাকায় হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার আগে কোনো সুখবর নেই। এরপর ১০ জুনের পর ১২-১৩ জুন সারাদেশে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এর মাঝে চট্রগ্রামে বৃষ্টি হতে পারে।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, সম্প্রতি সারাদেশে যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে তা প্রশমিত করার জন্য যে বৃষ্টি দরকার তা হচ্ছে না। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মৌসুমী বায়ুর আগমন ঘটবে, তখন তাপমাত্রা কমে আসবে। কোরবানির ঈদের আগে তাপমাত্রা কমবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে জানান তিনি।
তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙ্গতে পারে আগামী শুক্রবার! আবহাওয়া অফিসের সবশেষ পূর্বাভাস বলছে, আপাতত দেশের আকাশে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা কমার কোনো আলামতও তারা দেখছেন না। গতকাল মঙ্গলবার ৬ জুন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা বেড়ে আগামী শুক্রবার ৯ জুন ৪২ ডিগ্রি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সম্প্রতি সারাদেশে যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে তা প্রশমিত করার জন্য যে বৃষ্টি দরকার তা হচ্ছে না। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মৌসুমী বায়ুর আগমন ঘটবে, তখন তাপমাত্রা কমে আসবে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর আগামী শুক্রবার তা ৪৫ ডিগ্রিতে চড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইট।
সেটা হলে দেশের তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙতে পারে। যদিও আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, স্থানীয় অফিসের আবহাওয়া বার্তা সঠিক নয়। তাপমাত্রা এত বেশি হওয়ার আশঙ্কা নেই। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সেটাই সর্বোচ্চ। এদিকে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।
উপজেলাটির দাগলাগঞ্জের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলছিলেন, আমরা এখন রোদের তেজ কখনো দেখিনি। এমনকি স্বাধীনতার পর এমন খরা আমাদের চোখে পড়েনি। অন্যান্য বছর এই সময়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়। মাঠঘাট পানিতে ভরে থাকে। কিন্তু এ বছর পুরোটাই বিপরীত। আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, এত রোদের তেজ যে, মাঠেঘাটে বের হওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছে। এখন মাঠে কাজ করতেও যেতে ভয় হচ্ছে। কয়েক দিন দিন থেকে ক্ষেতের কাজ করাবো বলে লোক পাচ্ছি না। কারণ এত গরমে কেউ কাজ করতে চাচ্ছে না।
গত ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সেটাই সর্বোচ্চ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের প্রতিটি জেলার মাটি খরায় পুড়ছে। তীব্র গরমে মানুষের জীবনে নেমে এসেছে দুর্বিসহ অবস্থা। একদিকে অসহনীয় গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে জনজীবন অতিষ্ঠ। গরম ও তাপামাত্রা এতটাই বেড়েছে যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো কয়েক দিনের জন্য ক্লাস বন্ধ রেখেছে। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ছুটি ঘোষণার দাবি উঠছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন না। আর যারা বের হচ্ছেন তাদের অবস্থা গরমে কাহিল।
তীব্র গরমের কারণে ডাব ও শরবত বিক্রি বেড়েছে। জুস বিক্রির দোকানগুলোতে সকাল-সন্ধ্যা ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বেড়েছে এসি, ফ্যান ও চার্জার ফ্যানের বিক্রি। মানুষজন গরম থেকে রক্ষা পেতে ধার করে হলেও চার্জার ফ্যান ও এসি কিনছে। গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর ইলেক্টনিক্স মার্কেটগুলোতে ক্রেতার ভিড় লেগেই আছে। বিক্রেতারাও ঘণ্টায় ঘণ্টায় এসি ও চার্জার ফ্যানের দাম বাড়াচ্ছেন। তারপরও থেমে নেই বিক্রি।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসে তাপমাত্রা বেশি থাকে। তবে জুন মাসে এই তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে ওঠার কথা নয়। আগামী ৮ জুন ঢাকায় হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার আগে কোনো সুখবর নেই। এরপর ১০ জুনের পর ১২-১৩ জুন সারাদেশে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এর মাঝে চট্রগ্রামে বৃষ্টি হতে পারে।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, সম্প্রতি সারাদেশে যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে তা প্রশমিত করার জন্য যে বৃষ্টি দরকার তা হচ্ছে না। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মৌসুমী বায়ুর আগমন ঘটবে, তখন তাপমাত্রা কমে আসবে। কোরবানির ঈদের আগে তাপমাত্রা কমবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে জানান তিনি।