বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি জিততে পারেনি। এশিয়া কাপে ফাইনাল খেললেও শিরোপা জেতা হয়নি টাইগারদের। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল, এই হলো বাংলাদেশের অর্জন। সাদা বলের ক্রিকেটে সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখলেও, টেস্ট ক্রিকেটে যা বাংলাদেশের জন্য বিলাসিতা হয়েছিল। সাদা বলে ভালো কিছু করা সম্ভাবনা তৈরি হলেও লাল বলে বাংলাদেশের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ।
তবে চলতি বছরে লাল বলে দুর্দান্ত ছন্দ পেয়েছে টাইগাররা। পাকিস্তানের ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যার ফলে প্রথমবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন শিপের ফাইনাল খেলার সমীকরণের মুখোমুখি হয়েছে সাকিব-মিরাজরা। একটা সময় র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতের টেস্ট ফরম্যাটের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণ করত আইসিসি। তবে, বর্তমানে পুরনো সেই ধারা ভেঙে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয় দলগুলো। সেখান থেকে মেগা ফাইনালের মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
এবার সেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশেরও। তবে, মেলাতে হবে বেশকিছু সমীকরণ। মূলত, রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে জয় পাওয়ায় পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে চারে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। বর্তমানে ছয়টি টেস্ট খেলা বাংলাদেশের শতকরা পয়েন্ট ৪৫.৮৩। শীর্ষে থাকা ভারতের শতকরা পয়েন্ট ৬৮.৯২, দ্বিতীয়স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৬২.৫০। আর তিনে আছে নিউজিল্যান্ড। তাদের শতকরা পয়েন্ট ৫০.০০।
সূচি অনুযায়ী এখনও তিনটি সিরিজ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। সেই তিনটি সিরিজের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর তিনটি সিরিজই হবে এ বছর। প্রথম সিরিজটি খেলতে চলতি মাসেই ভারত সফরে যাবে শান্তরা। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলার পর ক্রিকেটাররা যাবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। প্রতিটি সিরিজে দুটি করে মোট ছয়টি টেস্ট খেলার সুযোগ পাবেন মুশফিক-সাকিবরা।
সিরিজভেদে ম্যাচের সংখ্যা কমবেশি হওয়ায় সরাসরি এই পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে ক্রম সাজানো হয় না। বরং মোট প্রাপ্ত পয়েন্ট দলগুলো যত ম্যাচ খেলবে তত ম্যাচের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পয়েন্টের শতকরা হিসাব বের করে ক্রম সাজানো হয়। সেই হিসেবে বাকি সবগুলো ম্যাচে জয় পেলে বাংলাদেশের পক্ষে ৭৮ পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব। যদি বাকি টেস্টগুলোতে কোনো জরিমানা না দেয় বাংলাদেশ, তাহলে শতকরা হিসেবে সর্বোচ্চ ৭২.৯১ পয়েন্ট পেতে পারে শান্তরা। সবগুলো ম্যাচে হেরে গেলে পয়েন্ট কমে দাঁড়াবে ২২.৯১ শতাংশে। বাকি ৬ টেস্টে তিনটি করে হার-জিত দেখলে শতকরা পয়েন্ট হবে ৪৭.৯১।
অন্যদিকে আগামী নভেম্বর-জানুয়ারিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। স্বাভাবিকভাবেই সেই সিরিজে পয়েন্ট তালিকায় বেশ পরিবর্তন আসবে। যা বাংলাদেশের মতো পয়েন্ট তালিকার ওপরের দিকে থাকা দলগুলোর ফাইনাল খেলা সুযোগ বাড়াবে। তাই আপাতদৃষ্টিতে এই পরিসংখ্যানকে অসম্ভব মনে হলেও কাগজে-কলমে এখনও ফাইনালের দৌড়ে টিকে রয়েছে কোচ হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। গত (মঙ্গলবার) ২০২৩-২৫ চক্রের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে লর্ডসের নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি। ২০২৫ সালের ১১-১৫ জুন হবে সেই ফাইনাল। সমীকরণ মিলাতে পারলে সেই মেগা ফাইনালে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশকেও।
তবে চলতি বছরে লাল বলে দুর্দান্ত ছন্দ পেয়েছে টাইগাররা। পাকিস্তানের ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যার ফলে প্রথমবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন শিপের ফাইনাল খেলার সমীকরণের মুখোমুখি হয়েছে সাকিব-মিরাজরা। একটা সময় র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতের টেস্ট ফরম্যাটের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণ করত আইসিসি। তবে, বর্তমানে পুরনো সেই ধারা ভেঙে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয় দলগুলো। সেখান থেকে মেগা ফাইনালের মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
এবার সেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশেরও। তবে, মেলাতে হবে বেশকিছু সমীকরণ। মূলত, রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে জয় পাওয়ায় পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে চারে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। বর্তমানে ছয়টি টেস্ট খেলা বাংলাদেশের শতকরা পয়েন্ট ৪৫.৮৩। শীর্ষে থাকা ভারতের শতকরা পয়েন্ট ৬৮.৯২, দ্বিতীয়স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৬২.৫০। আর তিনে আছে নিউজিল্যান্ড। তাদের শতকরা পয়েন্ট ৫০.০০।
সূচি অনুযায়ী এখনও তিনটি সিরিজ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। সেই তিনটি সিরিজের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর তিনটি সিরিজই হবে এ বছর। প্রথম সিরিজটি খেলতে চলতি মাসেই ভারত সফরে যাবে শান্তরা। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলার পর ক্রিকেটাররা যাবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। প্রতিটি সিরিজে দুটি করে মোট ছয়টি টেস্ট খেলার সুযোগ পাবেন মুশফিক-সাকিবরা।
সিরিজভেদে ম্যাচের সংখ্যা কমবেশি হওয়ায় সরাসরি এই পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে ক্রম সাজানো হয় না। বরং মোট প্রাপ্ত পয়েন্ট দলগুলো যত ম্যাচ খেলবে তত ম্যাচের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পয়েন্টের শতকরা হিসাব বের করে ক্রম সাজানো হয়। সেই হিসেবে বাকি সবগুলো ম্যাচে জয় পেলে বাংলাদেশের পক্ষে ৭৮ পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব। যদি বাকি টেস্টগুলোতে কোনো জরিমানা না দেয় বাংলাদেশ, তাহলে শতকরা হিসেবে সর্বোচ্চ ৭২.৯১ পয়েন্ট পেতে পারে শান্তরা। সবগুলো ম্যাচে হেরে গেলে পয়েন্ট কমে দাঁড়াবে ২২.৯১ শতাংশে। বাকি ৬ টেস্টে তিনটি করে হার-জিত দেখলে শতকরা পয়েন্ট হবে ৪৭.৯১।
অন্যদিকে আগামী নভেম্বর-জানুয়ারিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। স্বাভাবিকভাবেই সেই সিরিজে পয়েন্ট তালিকায় বেশ পরিবর্তন আসবে। যা বাংলাদেশের মতো পয়েন্ট তালিকার ওপরের দিকে থাকা দলগুলোর ফাইনাল খেলা সুযোগ বাড়াবে। তাই আপাতদৃষ্টিতে এই পরিসংখ্যানকে অসম্ভব মনে হলেও কাগজে-কলমে এখনও ফাইনালের দৌড়ে টিকে রয়েছে কোচ হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। গত (মঙ্গলবার) ২০২৩-২৫ চক্রের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে লর্ডসের নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি। ২০২৫ সালের ১১-১৫ জুন হবে সেই ফাইনাল। সমীকরণ মিলাতে পারলে সেই মেগা ফাইনালে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশকেও।