এবার নড়াইলে স্ত্রীকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী রনি শেখ ও তার বন্ধু মেহেদী হাসানের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া হত্যার পরে লাশ গুম করে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপরাধে উভয়কে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৯আগস্ট) নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলমাস হোসের মৃধা এ রায় দেন।
মামলার রায়ে বলা হয়েছে, ৪ বছর পূর্বে ষড়াতলা গ্রামের আছিয়া খাতুনের সঙ্গে রনি শেখের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে বায়েজিদ নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সন্তান জন্মের ৬ মাস পর পারিবারিক কলহের জেরে রনি শেখ স্ত্রী আছিয়াকে তালাক দেয়। এর ৩ মাস পরে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় পুনরায় তাদের বিয়ে হয়। এ সময় মেয়ের শান্তির কথা ভেবে আছিয়া খাতুনের পরিবার পৈত্রিক ৯ শতক জমির ওপর একটি একতলা পাকা ঘর নির্মাণ করে দেন।
এদিকে, আছিয়ার স্বামী রনি শেখ বাংলালিংক কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর থাকাকালে গন্ডব গ্রামের হাসিনা সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে উভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনা নিয়ে আছিয়া এবং রনি শেখের মধ্যে প্রায়ই কলহ হতো। এই পর্যায়ে স্ত্রী আছিয়া খাতুনকে চিরতরে সরিয়ে দেয়ার জন্য বাল্যবন্ধু মেহেদী হাসানের সঙ্গে পরামর্শ করে। পরে ২০২২ সালের ৪ নভেস্বর সকালে দুই বন্ধু ষড়াতলা গ্রামের আনোয়ারের পুকুরে গোসল করার সময় হত্যার পরিকল্পনা করে।
এরপর যে যার বাড়ি ফিরে গিয়ে সাড়ে এগারটার দিকে বন্ধু মেহেদী হাসান রনি শেখের বাড়িতে আসে। এ সময় মেহেদী হাসান ঘর মোছার মফ এর স্টিলের পাইপ দিয়ে আছিয়া খাতুনের মাথায় আঘাত করে। আছিয়া অজ্ঞান হয়ে খাট থেকে পড়ে গেলে গলায় ওড়না ও বালিশ চাপা দেয়। এতে কাজ না হলে রান্নাঘরের বটি এনে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর পেট্রোল ঢেলে আছিয়ার শরীর এবং ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় পরদিন আছিয়া খাতুনে মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২৭ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে সন্তুষ্ট হলেও আছিয়ার মা রেবেকা বেগম জানান, ফাঁসির আদেশ হওয়ায় আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি তবে উচ্চ আদালতের কাছে দাবি দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকরা করা হোক।
এ বিষয়ে নড়াইল নারী ও শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নুর মোহাম্মদ জানান, আসমি ও তার বন্ধু পরিকল্পনা করে গৃহবধূ আছিয়াকে খুন করে এবং পুড়িয়ে দেয়। আদালতে এই ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো।
মামলার রায়ে বলা হয়েছে, ৪ বছর পূর্বে ষড়াতলা গ্রামের আছিয়া খাতুনের সঙ্গে রনি শেখের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে বায়েজিদ নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সন্তান জন্মের ৬ মাস পর পারিবারিক কলহের জেরে রনি শেখ স্ত্রী আছিয়াকে তালাক দেয়। এর ৩ মাস পরে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় পুনরায় তাদের বিয়ে হয়। এ সময় মেয়ের শান্তির কথা ভেবে আছিয়া খাতুনের পরিবার পৈত্রিক ৯ শতক জমির ওপর একটি একতলা পাকা ঘর নির্মাণ করে দেন।
এদিকে, আছিয়ার স্বামী রনি শেখ বাংলালিংক কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর থাকাকালে গন্ডব গ্রামের হাসিনা সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে উভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনা নিয়ে আছিয়া এবং রনি শেখের মধ্যে প্রায়ই কলহ হতো। এই পর্যায়ে স্ত্রী আছিয়া খাতুনকে চিরতরে সরিয়ে দেয়ার জন্য বাল্যবন্ধু মেহেদী হাসানের সঙ্গে পরামর্শ করে। পরে ২০২২ সালের ৪ নভেস্বর সকালে দুই বন্ধু ষড়াতলা গ্রামের আনোয়ারের পুকুরে গোসল করার সময় হত্যার পরিকল্পনা করে।
এরপর যে যার বাড়ি ফিরে গিয়ে সাড়ে এগারটার দিকে বন্ধু মেহেদী হাসান রনি শেখের বাড়িতে আসে। এ সময় মেহেদী হাসান ঘর মোছার মফ এর স্টিলের পাইপ দিয়ে আছিয়া খাতুনের মাথায় আঘাত করে। আছিয়া অজ্ঞান হয়ে খাট থেকে পড়ে গেলে গলায় ওড়না ও বালিশ চাপা দেয়। এতে কাজ না হলে রান্নাঘরের বটি এনে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর পেট্রোল ঢেলে আছিয়ার শরীর এবং ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় পরদিন আছিয়া খাতুনে মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২৭ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে সন্তুষ্ট হলেও আছিয়ার মা রেবেকা বেগম জানান, ফাঁসির আদেশ হওয়ায় আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি তবে উচ্চ আদালতের কাছে দাবি দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকরা করা হোক।
এ বিষয়ে নড়াইল নারী ও শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নুর মোহাম্মদ জানান, আসমি ও তার বন্ধু পরিকল্পনা করে গৃহবধূ আছিয়াকে খুন করে এবং পুড়িয়ে দেয়। আদালতে এই ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো।