প্রায় এক দশক আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রোববার দায়ের করা একটি মামলায় ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের তালিকায় অন্যান্যদের সঙ্গে রয়েছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের চিত্রনায়ক জায়েদ খান, উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় ও অভিনেতা সাজু খাদেম।
এদিকে চিত্রনায়ক জায়েদ খান বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন। রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে নিজের নামে মামলার কথা জেনেছেন তিনি। একজন শিল্পী হিসেবে এমন মামলার কথা শুনে তিনি নিজেই অবাক হয়েছেন। মামলা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি বিস্মিত, আমি হতবাক। মিথ্যা মামলায় আমাকে জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
তিনি বলেন, ‘যেকোনো শিল্পীর রাজনৈতিক মত থাকতেই পারে। এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আমি কখনোই অতিরঞ্জিত বা বিতর্কিত কোনো কিছু করিনি। কিন্তু গতকাল দেখলাম, আমার নামে মামলা। ৯ বছর আগের আমি নাকি হত্যাচেষ্টায় গাড়ি ভাঙচুর করেছি। সেই সময়ে তো শত শত সাংবাদিক ছিলেন, এটা নিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। যদি থাকতাম, তাহলে তো তখনই খবরের শিরোনাম হতাম। এখন ঢালাওভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে শিল্পীদের নামে মামলা আমি সমর্থন করি না।’
জায়েদ বলেন, ‘ঢালাওভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সত্যিকারের অনেক অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে। আমাদের টেনে ধরার জন্য এই মামলা। আমি হলফ করে বলতে পারি, কোনো মিছিল–মিটিংয়ে কোনো দিন ছিলাম না। দেশের ক্ষতি হয়, রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো কাজ করিনি। সেগুলো যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমার নামে মামলা করতে পারেন। আমি ক্ষতি করে থাকলে তার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দিলে স্বাধীনতার প্রতি আস্থা থাকবে না।’ তিনি জানান, দেশের একটি পরিবর্তন এসেছে। সেখানে সবাই স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাইবে। সবার নাগরিক অধিকার থাকবে। দেশ এগিয়ে যাবে। কিন্তু উদ্দেশ্য হাসিলে কারও ক্যারিয়ারে বাধা হলে, শিল্পাঙ্গন কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না।
এর আগে দুই মেয়াদে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন জায়েদ খান। ২০২২ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নিপুণ আক্তার। সেই নির্বাচনে জায়েদ ভোটে জিতলেও ফলাফল নিপুণ মেনে না নিলে কোর্টে মামলা করেন। হেরে যান জায়েদ। চলে মামলা-মোকদ্দমা। তখনই আলোচনায় আসেন জায়েদ। পরবর্তী সময় কখনো বিয়ে, কখনো নারী নিয়ে মন্তব্য করে, কখনো ডিগবাজি দিয়ে ভাইরাল হতে থাকেন তিনি। ট্রলেরও শিকার হয়েছেন এই সমালোচিত নায়ক।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময়ের আমি কখনোই রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো কাজ করিনি, আমার কোনো ব্যাংক লোন নাই। আমি কোনো অপকর্ম করিনি। বিএনপি নিয়ে কখনোই খারাপ কিছু বলিনি। এই অধিকার আমার নেই। সেই সময়ে গাড়িবহরে থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না। রাজনৈতিক কোনো মিছিল-মিটিংয়ে থাকিনি। এটা শিল্পীর কাজ নয়। এখনো যদি ভিত্তিহীন মামলা হয়, তাহলে ২০২৪-এর এই স্বাধীনতার মূল্য কোথায় থাকবে? আমি হই আর যে-ই হোক, অপরাধ করলে মামলা হবে। আইনে তার বিচার হবে। কিন্তু আজগুবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দেওয়ায় আমি হতবাক, বিস্মিত হয়েছি।’
জায়েদ খান অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ‘সোনার চর’ পবিত্র ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায়। পরে কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। এ আগে ছয় বছর আগে ‘অন্তর জ্বালা’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। এদিকে জায়েদ সর্বশেষ কলকাতার অভিনেত্রী সায়ন্তিকার সঙ্গে একটি সিনেমায় অভিনয় করেন। কিন্তু সিনেমাটি শেষ হয়নি। পরে পূজা ব্যানার্জি নামের আরেক টালিউড অভিনেত্রীর সঙ্গে সিনেমা করার কথা ছিল।
সবশেষে জায়েদ বললেন, ‘শিল্পীদের নামে এভাবে সাজিয়ে মামলা হলে মিডিয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে। কাজের সুস্থ পরিবেশ থাকবে না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ, অপকর্ম থাকলে মামলা অবশ্যই সমর্থন করি। কিন্তু ঢালাও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা সমর্থন করি না। দেখলাম সাকিব আল হাসানের নামেও এমন মামলা হয়েছে। এমন মামলা দেশের সম্মানের স্বার্থে বন্ধ করা হোক। তবে কারও যোগসূত্র থাকলে হতে পারে।’
এদিকে চিত্রনায়ক জায়েদ খান বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন। রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে নিজের নামে মামলার কথা জেনেছেন তিনি। একজন শিল্পী হিসেবে এমন মামলার কথা শুনে তিনি নিজেই অবাক হয়েছেন। মামলা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি বিস্মিত, আমি হতবাক। মিথ্যা মামলায় আমাকে জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
তিনি বলেন, ‘যেকোনো শিল্পীর রাজনৈতিক মত থাকতেই পারে। এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আমি কখনোই অতিরঞ্জিত বা বিতর্কিত কোনো কিছু করিনি। কিন্তু গতকাল দেখলাম, আমার নামে মামলা। ৯ বছর আগের আমি নাকি হত্যাচেষ্টায় গাড়ি ভাঙচুর করেছি। সেই সময়ে তো শত শত সাংবাদিক ছিলেন, এটা নিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। যদি থাকতাম, তাহলে তো তখনই খবরের শিরোনাম হতাম। এখন ঢালাওভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে শিল্পীদের নামে মামলা আমি সমর্থন করি না।’
জায়েদ বলেন, ‘ঢালাওভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সত্যিকারের অনেক অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে। আমাদের টেনে ধরার জন্য এই মামলা। আমি হলফ করে বলতে পারি, কোনো মিছিল–মিটিংয়ে কোনো দিন ছিলাম না। দেশের ক্ষতি হয়, রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো কাজ করিনি। সেগুলো যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমার নামে মামলা করতে পারেন। আমি ক্ষতি করে থাকলে তার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দিলে স্বাধীনতার প্রতি আস্থা থাকবে না।’ তিনি জানান, দেশের একটি পরিবর্তন এসেছে। সেখানে সবাই স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাইবে। সবার নাগরিক অধিকার থাকবে। দেশ এগিয়ে যাবে। কিন্তু উদ্দেশ্য হাসিলে কারও ক্যারিয়ারে বাধা হলে, শিল্পাঙ্গন কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না।
এর আগে দুই মেয়াদে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন জায়েদ খান। ২০২২ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নিপুণ আক্তার। সেই নির্বাচনে জায়েদ ভোটে জিতলেও ফলাফল নিপুণ মেনে না নিলে কোর্টে মামলা করেন। হেরে যান জায়েদ। চলে মামলা-মোকদ্দমা। তখনই আলোচনায় আসেন জায়েদ। পরবর্তী সময় কখনো বিয়ে, কখনো নারী নিয়ে মন্তব্য করে, কখনো ডিগবাজি দিয়ে ভাইরাল হতে থাকেন তিনি। ট্রলেরও শিকার হয়েছেন এই সমালোচিত নায়ক।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময়ের আমি কখনোই রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো কাজ করিনি, আমার কোনো ব্যাংক লোন নাই। আমি কোনো অপকর্ম করিনি। বিএনপি নিয়ে কখনোই খারাপ কিছু বলিনি। এই অধিকার আমার নেই। সেই সময়ে গাড়িবহরে থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না। রাজনৈতিক কোনো মিছিল-মিটিংয়ে থাকিনি। এটা শিল্পীর কাজ নয়। এখনো যদি ভিত্তিহীন মামলা হয়, তাহলে ২০২৪-এর এই স্বাধীনতার মূল্য কোথায় থাকবে? আমি হই আর যে-ই হোক, অপরাধ করলে মামলা হবে। আইনে তার বিচার হবে। কিন্তু আজগুবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দেওয়ায় আমি হতবাক, বিস্মিত হয়েছি।’
জায়েদ খান অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ‘সোনার চর’ পবিত্র ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায়। পরে কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। এ আগে ছয় বছর আগে ‘অন্তর জ্বালা’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। এদিকে জায়েদ সর্বশেষ কলকাতার অভিনেত্রী সায়ন্তিকার সঙ্গে একটি সিনেমায় অভিনয় করেন। কিন্তু সিনেমাটি শেষ হয়নি। পরে পূজা ব্যানার্জি নামের আরেক টালিউড অভিনেত্রীর সঙ্গে সিনেমা করার কথা ছিল।
সবশেষে জায়েদ বললেন, ‘শিল্পীদের নামে এভাবে সাজিয়ে মামলা হলে মিডিয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে। কাজের সুস্থ পরিবেশ থাকবে না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ, অপকর্ম থাকলে মামলা অবশ্যই সমর্থন করি। কিন্তু ঢালাও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা সমর্থন করি না। দেখলাম সাকিব আল হাসানের নামেও এমন মামলা হয়েছে। এমন মামলা দেশের সম্মানের স্বার্থে বন্ধ করা হোক। তবে কারও যোগসূত্র থাকলে হতে পারে।’