এবার ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে বোন রেহানাসহ তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। তার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে নানা আলোচনা শোনা যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিতে চাইলেও আইনের কিছু বাধ্যবাধকতায় তা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনার আশ্রয় নিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্যান্ডার্ডে শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে আশ্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেছেন রুপা হক। এতে রুপা হক জানান, আমার সরকারের শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দেয়া সমীচীন হবে না। শেখ হাসিনার পদত্যাগকে সাদ্দাম হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতির সঙ্গে তুলনা করে ব্রিটিশ এই এমপি বলেন, বাংলাদেশে সাদ্দাম হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতির মতো, একই ঘটনার প্রতিফলন দেখা গেল। যেখানে জাতির পিতার ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। এ সহিংসতা ঢাকা থেকে টাওয়ার হ্যামলেট পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
এদিকে ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনকে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের সঙ্গে তুলনা করে রুপা হক লেখেন, শেখ হাসিনা দেশটির আয়ুষ্কালের বড় একটি অংশই শাসন করেছেন (সর্বত্র তার পিতার ভাস্কর্য ও চিত্রকর্ম স্থাপন নিশ্চিত করেছেন)। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ব্যাপক অজনপ্রিয় শাসনামল ও অভিবাসনসংক্রান্ত রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতার নিরিখে যুক্তরাজ্য সরকারের এমন কাউকে আশ্রয় দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কেননা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার বিরুদ্ধে বিচারের দাবি রয়েছে। অনেক বাংলাদেশি তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বলেও মনে করেন।
এরপর রুপা হক লিখেন, বর্তমানে আমার বাংলাদেশি ভাইবোনদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই আর নিপীড়নের ভয়ের সংস্কৃতি নেই। আশা করি সেখানে গণতন্ত্র ফিরবে। গত সপ্তাহের ছাত্র বিক্ষোভের প্রাথমিক পর্যায়ে শত শত নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, হতাহতদের বেশিরভাগই নাবালক, তাদেরকে পুলিশের "শুট অন সাইট" আদেশ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে গত জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অভ্যাসগত কারচুপি হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন রুপা হক। পাশাপাশি হাসিনা সরকারের সমালোচকদের 'গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড'র বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও লেখেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্যান্ডার্ডে শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে আশ্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেছেন রুপা হক। এতে রুপা হক জানান, আমার সরকারের শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দেয়া সমীচীন হবে না। শেখ হাসিনার পদত্যাগকে সাদ্দাম হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতির সঙ্গে তুলনা করে ব্রিটিশ এই এমপি বলেন, বাংলাদেশে সাদ্দাম হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতির মতো, একই ঘটনার প্রতিফলন দেখা গেল। যেখানে জাতির পিতার ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। এ সহিংসতা ঢাকা থেকে টাওয়ার হ্যামলেট পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
এদিকে ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনকে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের সঙ্গে তুলনা করে রুপা হক লেখেন, শেখ হাসিনা দেশটির আয়ুষ্কালের বড় একটি অংশই শাসন করেছেন (সর্বত্র তার পিতার ভাস্কর্য ও চিত্রকর্ম স্থাপন নিশ্চিত করেছেন)। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ব্যাপক অজনপ্রিয় শাসনামল ও অভিবাসনসংক্রান্ত রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতার নিরিখে যুক্তরাজ্য সরকারের এমন কাউকে আশ্রয় দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কেননা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার বিরুদ্ধে বিচারের দাবি রয়েছে। অনেক বাংলাদেশি তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বলেও মনে করেন।
এরপর রুপা হক লিখেন, বর্তমানে আমার বাংলাদেশি ভাইবোনদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই আর নিপীড়নের ভয়ের সংস্কৃতি নেই। আশা করি সেখানে গণতন্ত্র ফিরবে। গত সপ্তাহের ছাত্র বিক্ষোভের প্রাথমিক পর্যায়ে শত শত নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, হতাহতদের বেশিরভাগই নাবালক, তাদেরকে পুলিশের "শুট অন সাইট" আদেশ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে গত জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অভ্যাসগত কারচুপি হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন রুপা হক। পাশাপাশি হাসিনা সরকারের সমালোচকদের 'গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড'র বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও লেখেন তিনি।