এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘এতে মন খারাপের কিছু নেই।’ গতকাল শুক্রবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা থেকে সরিয়ে এম সাখাওয়াত হোসেনকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) ভয়েস অফ আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এম সাখাওয়াত হোসেনকে সরানোর পর ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে তার প্রতিক্রিয়া জানান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমার যতটুকু করার সাধ্য ছিল, করে আসছি।’ এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদে যুক্ত হয়েছেন শপথ নেয়া নতুন উপদেষ্টা লে. জে. অব. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেয়া প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং আরও ১৩ উপদেষ্টার সাথে শপথ নেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. এম সাখাওয়াত হোসেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হওয়ার পর গত ১২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এম সাখাওয়াত হোসেন। ওইদিন আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়া আওয়ামী লীগকে গণ্ডগোল না পাকিয়ে নতুন মুখ নিয়ে দল গোছানোর পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে দেশের জন্য আওয়ামী লীগের অবদানের কথা তুলে ধরে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এটা অনেক বড় পার্টি। আই হ্যাভ লট অব রেসপেক্ট ফর আওয়ামী লীগ। একসময় বাঙালিদের ভরসার জায়গা ছিল এই পার্টি। বায়ান্ন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অবদান ব্যক্তিগত কোনো কারণে নষ্ট করবেন না। এটা জাতীয় সম্পদ। আপনারা আসুন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগকে বলব এমন কিছু করবেন না যাতে জীবন বিপন্ন হয়। আপনারা রাজনৈতিক দল হিসেবে দলকে গুছিয়ে নিন। নির্বাচন হলে অংশ নিন। জনগণ ভোট দিলে ভোটে যাবেন। তবে প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখলে হাজার-হাজার মানুষের রক্ত ঝরবে।
সেইসঙ্গে ভারতে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন, আপনি ভালো থাকেন, আবার আসেন। আমরা সবাই আপনাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু গণ্ডগোল পাকানোর মানে হয় না, এতে লাভ হবে না। বরং লোকজন আরো ক্ষেপে উঠবে।
ওইদিন তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এক বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আজকের উপদেষ্টাদের কেউ-কেউ খুনিদের পুনর্বাসন করার বক্তব্য দিচ্ছেন। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আপনি উপদেষ্টা হয়েছেন।
তিনি বলেন, খুনি হাসিনাকে পুনর্বাসনের বক্তব্য যারা দিতে চায়, আমরা ছাত্র-জনতা যেভাবে তাদেরকে উপদেষ্টা বানিয়েছি, ঠিক একইভাবে গদি থেকে ছুড়ে নামাতে দ্বিধা করবো না। উল্লেখ্য, ওই রাতে এম সাখাওয়াত হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমার যতটুকু করার সাধ্য ছিল, করে আসছি।’ এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদে যুক্ত হয়েছেন শপথ নেয়া নতুন উপদেষ্টা লে. জে. অব. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেয়া প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং আরও ১৩ উপদেষ্টার সাথে শপথ নেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. এম সাখাওয়াত হোসেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হওয়ার পর গত ১২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এম সাখাওয়াত হোসেন। ওইদিন আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়া আওয়ামী লীগকে গণ্ডগোল না পাকিয়ে নতুন মুখ নিয়ে দল গোছানোর পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে দেশের জন্য আওয়ামী লীগের অবদানের কথা তুলে ধরে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এটা অনেক বড় পার্টি। আই হ্যাভ লট অব রেসপেক্ট ফর আওয়ামী লীগ। একসময় বাঙালিদের ভরসার জায়গা ছিল এই পার্টি। বায়ান্ন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অবদান ব্যক্তিগত কোনো কারণে নষ্ট করবেন না। এটা জাতীয় সম্পদ। আপনারা আসুন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগকে বলব এমন কিছু করবেন না যাতে জীবন বিপন্ন হয়। আপনারা রাজনৈতিক দল হিসেবে দলকে গুছিয়ে নিন। নির্বাচন হলে অংশ নিন। জনগণ ভোট দিলে ভোটে যাবেন। তবে প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখলে হাজার-হাজার মানুষের রক্ত ঝরবে।
সেইসঙ্গে ভারতে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন, আপনি ভালো থাকেন, আবার আসেন। আমরা সবাই আপনাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু গণ্ডগোল পাকানোর মানে হয় না, এতে লাভ হবে না। বরং লোকজন আরো ক্ষেপে উঠবে।
ওইদিন তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এক বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আজকের উপদেষ্টাদের কেউ-কেউ খুনিদের পুনর্বাসন করার বক্তব্য দিচ্ছেন। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আপনি উপদেষ্টা হয়েছেন।
তিনি বলেন, খুনি হাসিনাকে পুনর্বাসনের বক্তব্য যারা দিতে চায়, আমরা ছাত্র-জনতা যেভাবে তাদেরকে উপদেষ্টা বানিয়েছি, ঠিক একইভাবে গদি থেকে ছুড়ে নামাতে দ্বিধা করবো না। উল্লেখ্য, ওই রাতে এম সাখাওয়াত হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।