বিয়ে মানুষের জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তের মধ্যে একটি। বিয়ের দিনটিকে আজীবন মনে রাখতে কত আয়োজনই না মানুষ করে থাকে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের এক দম্পতি তাদের বিয়েতে যা করেছেন, তা অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্রিজি স্ক্রোলের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি গাটছড়া বেঁধেছেন রিমো স্টাইল ও নোভা। আর বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য প্রত্যেক অথিতির কাছ থেকে ৩৩৩ ডলার বা প্রায় ৩৯ হাজার টাকা চার্জ করেন। আর তাতেই তৈরি হয় বিতর্ক।
এদিকে আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই নবদম্পতি তাদের বিয়েতে কেন এমন অদ্ভুত আয়োজন করা হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, বিয়েকে তরা একটি বিশাল বড় ইভেন্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে অতিথিদের বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক হওয়া উচিত। অনেকটা প্রিয় শিল্পীর একটি কনসার্টের মতো। নোভা বলেন, লোকেরা সংগীত শিল্পী বিয়ন্সের কনসার্টে যেতে পছন্দ করে, কারণ তারা জানে যে তাদের একটি দারুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। আমরা ভেবেছিলাম, আমাদের বিয়েটাও বড় একটি কনসার্টের মতো। তাই কেন আমরা অতিথিদের কাছে বিয়ের টিকিট বিক্রি করব না?
এদিকে, রিমো স্বীকার করেছেন যে প্রাথমিকভাবে তিনি ধারণাটি নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম, লোকেরা আসবে না। কিন্তু মজার বিষয় হলো, অনেকেই এসেছেন। এমনকি, বিয়ের খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৭০ হাজার ডলার বা ৮১ লাখ ৯০ হাজার টাকারও বেশি অর্থ সঞ্চয় করেছিলেন। রিমো আরও জনানা, ওই টিকেটের মধ্যে শুধু বিয়েতে প্রবেশ ও খাওয়া-দাওয়ার প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, বরং একটি সুন্দর ডাবল ডেকার বাসে গোটা নিউ ইয়র্ক শহর ঘুরে দেখার জন্য ১২ ঘণ্টার একটি ট্রিপের ফি-ও ধরা হয়েছিল।
রিমো ও নোভার এই সিদ্ধান্তটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বাস্তব সমাজেও বিস্তৃত কথোপকথনের জন্ম দিয়েছে। অনেকে ধারণাটিকে ‘আড়ম্বরপূর্ণ’ ও ‘হাস্যকর’ বলে সমালোচনা করেছেন। অনেক নেটিজেন লিখেছেন, আমার বিয়েতে আসার জন্য কাউকে টাকা দেওয়ার কথা আমি কখনই ভাবি না! এটা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই না। আরেকজন লিখেছেন, আমি কারও বিয়েতে অংশ নিতে টাকা দেওয়ার কথা ভাবতেও পারি না। কারণ আমি সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি বাবদ গাড়ির জ্বালানি ও উপহার নিতে খরচ করছি। সঙ্গে সময়ও ব্যয় করছি। অথচ আমি আমার এই অর্থ ও সময় আমি অন্য উপায়ে ব্যয় করতে পারি।
এদিকে একটি সমীক্ষা বলছে, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিয়ের গড় খরচ বেড়ে ৩৫ হাজার ডলার বা ৪০ লাখেরও বেশি টাকা হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বেশি। আর ক্রমবর্ধমান এই খরচের ফলে কিছু দম্পতি তাদের বিয়েতে অর্থায়নের জন্য অপ্রচলিত কৌশল বেছে নিচ্ছেন।
এদিকে আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই নবদম্পতি তাদের বিয়েতে কেন এমন অদ্ভুত আয়োজন করা হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, বিয়েকে তরা একটি বিশাল বড় ইভেন্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে অতিথিদের বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক হওয়া উচিত। অনেকটা প্রিয় শিল্পীর একটি কনসার্টের মতো। নোভা বলেন, লোকেরা সংগীত শিল্পী বিয়ন্সের কনসার্টে যেতে পছন্দ করে, কারণ তারা জানে যে তাদের একটি দারুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। আমরা ভেবেছিলাম, আমাদের বিয়েটাও বড় একটি কনসার্টের মতো। তাই কেন আমরা অতিথিদের কাছে বিয়ের টিকিট বিক্রি করব না?
এদিকে, রিমো স্বীকার করেছেন যে প্রাথমিকভাবে তিনি ধারণাটি নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম, লোকেরা আসবে না। কিন্তু মজার বিষয় হলো, অনেকেই এসেছেন। এমনকি, বিয়ের খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৭০ হাজার ডলার বা ৮১ লাখ ৯০ হাজার টাকারও বেশি অর্থ সঞ্চয় করেছিলেন। রিমো আরও জনানা, ওই টিকেটের মধ্যে শুধু বিয়েতে প্রবেশ ও খাওয়া-দাওয়ার প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, বরং একটি সুন্দর ডাবল ডেকার বাসে গোটা নিউ ইয়র্ক শহর ঘুরে দেখার জন্য ১২ ঘণ্টার একটি ট্রিপের ফি-ও ধরা হয়েছিল।
রিমো ও নোভার এই সিদ্ধান্তটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বাস্তব সমাজেও বিস্তৃত কথোপকথনের জন্ম দিয়েছে। অনেকে ধারণাটিকে ‘আড়ম্বরপূর্ণ’ ও ‘হাস্যকর’ বলে সমালোচনা করেছেন। অনেক নেটিজেন লিখেছেন, আমার বিয়েতে আসার জন্য কাউকে টাকা দেওয়ার কথা আমি কখনই ভাবি না! এটা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই না। আরেকজন লিখেছেন, আমি কারও বিয়েতে অংশ নিতে টাকা দেওয়ার কথা ভাবতেও পারি না। কারণ আমি সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি বাবদ গাড়ির জ্বালানি ও উপহার নিতে খরচ করছি। সঙ্গে সময়ও ব্যয় করছি। অথচ আমি আমার এই অর্থ ও সময় আমি অন্য উপায়ে ব্যয় করতে পারি।
এদিকে একটি সমীক্ষা বলছে, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিয়ের গড় খরচ বেড়ে ৩৫ হাজার ডলার বা ৪০ লাখেরও বেশি টাকা হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বেশি। আর ক্রমবর্ধমান এই খরচের ফলে কিছু দম্পতি তাদের বিয়েতে অর্থায়নের জন্য অপ্রচলিত কৌশল বেছে নিচ্ছেন।