এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিয়েছেন নির্মাণের মাধ্যমে তারকা খ্যাতি লাভ করা পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠনের হামলা, পুলিশের গুলি বন্ধ করার দাবিতে কথা বলেছেন তিনি। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার পক্ষেও কথা বলতে দেখা গেছে এ নির্মাতাকে।
এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থী ও মানুষের রোষানলে পড়ে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার দেশ ছাড়ার খবরে সব শ্রেণিপেশার মানুষ আনন্দ-উল্লাস করেছে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও কথা বলেছেন। এ ব্যাপারেও মতামত জানিয়েছিলেন পরিচালক ফারুকী।
এবার এই পরিচালক সরব হয়েছেন গণহত্যাসহ সব ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দাবিতে। গতকাল সোমবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে ভেরিফায়েড প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে এ দাবি জানান তিনি।
এদিন তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘একবার ভাবেন মাসের পর মাস একটা মানুষকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। কেউ জানে না সেটা। একদিন সকালে উঠে দানবদের সর্দারের মনে হলো, মেজাজটা ভালো না। যাই বন্দীদের মধ্যে একটাকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলি। তারপর মেরে শীতলক্ষ্যায় লাশটা ফেলে দিলো। ঘরে ফিরে যে যুবকের সন্তানকে ভাত মেখে খাওয়ানোর কথা, সে হয়ে গেল মাছেদের খাবার। শীতলক্ষ্যার শান্ত জলে কান পাতলে আজীবন শোনা যাবে সেই হতভাগ্য পিতার কান্না। এটা আমার বাল্যবন্ধু সাজেদুল ইসলাম সুমনের গল্প। এ রকম অজস্র সুমনের গল্পই এক। আমরা সবাই ছিলাম একেকজন সুমন।’
নির্মাতা ফারুকী লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনা, আপনি আপনার হাত থেকে এই নিষ্ঠুরতার দাগ মুছতে পারবেন না। অমানুষ জিয়াউল, তোমার হাত থেকে এই দাগ মুছবে কীভাবে? এ রকম শত শত মানুষের গল্প আছে, একই রকম বেদনার। দিনের পর দিন এই রকম ঠান্ডা মাথায় খুন, অত্যাচার কোনো সুস্থ লোকের পক্ষে সম্ভব না। দিজ আর সাইকোপ্যাথস। সুতরাং, অনেক কিছুর ভিড়ে আমরা যেন ভুলে না যাই আলাপের আসল প্রসঙ্গটা। অ্যাটেনশন ঘুরিয়ে দেয়া, যখন যে কনভারসেশন হওয়ার কথা সেটা না হয়ে অন্য কনভারসেশন চালু করে দেয়া, এটা আধুনিককালে ফ্যাসিস্টদের অনেক টেকনিকের একটা।’
‘আসল প্রসঙ্গটা হলো, একটা গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। কেন হয়েছে? একটা ফ্যাসিস্ট শক্তি ১৫ বছর মানুষ মেরেছে, গুম করেছে, যাকে গুম করেছে তার বাসায় গিয়ে তার মেয়েকে জড়িয়ে মায়াকান্না করেছে, মানুষজনকে উঠতে-বসতে তাচ্ছিল্য করেছে, আয়নাঘর বানিয়েছে, কথা বললেই পিটিয়েছে, ভোটের নামে মশকরা করেছে, ব্যাংক লুটপাট করতে দিয়েছে, শেষ ৭ দিনে ৪০০ মানুষ খুন করেছে, আরও খুন করার জন্য সেনা-পুলিশদের চাপ দিয়েছে, শেষে সারাদেশের মানুষের ঘৃণা সঙ্গে নিয়ে দেশ ছেড়ে গেছে।’
সবশেষ তিনি আরও লিখেছেন, ‘গণহত্যা এবং সব প্রকার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য একটা বিশেষ আদালত তৈরি করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে এটা যেন প্রভাবমুক্ত ন্যায় বিচার হয়। তাতে যার যা অপরাধ, সে ওই পরিমাণ সাজা পাবে। আর যে অপরাধী না, সে খালাস পাবে। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ পাপমুক্ত হবে। ৭১-এর যুদ্ধাপরাধিদের বিচার আমরা করেছি। আর নাকের ডগায় ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হবে না? এই বিচার করতে হবে, যাতে আর কেউ ক্ষমতায় গিয়ে ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার সাহস না করে, সে যে দলেরই হোক। রিফর্মের শুরু হবে এখান থেকেই।’
এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থী ও মানুষের রোষানলে পড়ে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার দেশ ছাড়ার খবরে সব শ্রেণিপেশার মানুষ আনন্দ-উল্লাস করেছে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও কথা বলেছেন। এ ব্যাপারেও মতামত জানিয়েছিলেন পরিচালক ফারুকী।
এবার এই পরিচালক সরব হয়েছেন গণহত্যাসহ সব ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দাবিতে। গতকাল সোমবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে ভেরিফায়েড প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে এ দাবি জানান তিনি।
এদিন তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘একবার ভাবেন মাসের পর মাস একটা মানুষকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। কেউ জানে না সেটা। একদিন সকালে উঠে দানবদের সর্দারের মনে হলো, মেজাজটা ভালো না। যাই বন্দীদের মধ্যে একটাকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলি। তারপর মেরে শীতলক্ষ্যায় লাশটা ফেলে দিলো। ঘরে ফিরে যে যুবকের সন্তানকে ভাত মেখে খাওয়ানোর কথা, সে হয়ে গেল মাছেদের খাবার। শীতলক্ষ্যার শান্ত জলে কান পাতলে আজীবন শোনা যাবে সেই হতভাগ্য পিতার কান্না। এটা আমার বাল্যবন্ধু সাজেদুল ইসলাম সুমনের গল্প। এ রকম অজস্র সুমনের গল্পই এক। আমরা সবাই ছিলাম একেকজন সুমন।’
নির্মাতা ফারুকী লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনা, আপনি আপনার হাত থেকে এই নিষ্ঠুরতার দাগ মুছতে পারবেন না। অমানুষ জিয়াউল, তোমার হাত থেকে এই দাগ মুছবে কীভাবে? এ রকম শত শত মানুষের গল্প আছে, একই রকম বেদনার। দিনের পর দিন এই রকম ঠান্ডা মাথায় খুন, অত্যাচার কোনো সুস্থ লোকের পক্ষে সম্ভব না। দিজ আর সাইকোপ্যাথস। সুতরাং, অনেক কিছুর ভিড়ে আমরা যেন ভুলে না যাই আলাপের আসল প্রসঙ্গটা। অ্যাটেনশন ঘুরিয়ে দেয়া, যখন যে কনভারসেশন হওয়ার কথা সেটা না হয়ে অন্য কনভারসেশন চালু করে দেয়া, এটা আধুনিককালে ফ্যাসিস্টদের অনেক টেকনিকের একটা।’
‘আসল প্রসঙ্গটা হলো, একটা গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। কেন হয়েছে? একটা ফ্যাসিস্ট শক্তি ১৫ বছর মানুষ মেরেছে, গুম করেছে, যাকে গুম করেছে তার বাসায় গিয়ে তার মেয়েকে জড়িয়ে মায়াকান্না করেছে, মানুষজনকে উঠতে-বসতে তাচ্ছিল্য করেছে, আয়নাঘর বানিয়েছে, কথা বললেই পিটিয়েছে, ভোটের নামে মশকরা করেছে, ব্যাংক লুটপাট করতে দিয়েছে, শেষ ৭ দিনে ৪০০ মানুষ খুন করেছে, আরও খুন করার জন্য সেনা-পুলিশদের চাপ দিয়েছে, শেষে সারাদেশের মানুষের ঘৃণা সঙ্গে নিয়ে দেশ ছেড়ে গেছে।’
সবশেষ তিনি আরও লিখেছেন, ‘গণহত্যা এবং সব প্রকার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য একটা বিশেষ আদালত তৈরি করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে এটা যেন প্রভাবমুক্ত ন্যায় বিচার হয়। তাতে যার যা অপরাধ, সে ওই পরিমাণ সাজা পাবে। আর যে অপরাধী না, সে খালাস পাবে। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ পাপমুক্ত হবে। ৭১-এর যুদ্ধাপরাধিদের বিচার আমরা করেছি। আর নাকের ডগায় ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হবে না? এই বিচার করতে হবে, যাতে আর কেউ ক্ষমতায় গিয়ে ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার সাহস না করে, সে যে দলেরই হোক। রিফর্মের শুরু হবে এখান থেকেই।’