এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ড. মুহম্মদ ইউনূস কীভাবে দেশ পরিচালনা করেন দেখার অপেক্ষায় আছি। জার্মানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলের সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলামকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর শেখ হাসিনা ভারতেই আছেন জানিয়ে জয় বলেন, শেখ হাসিনা ভারত থেকে অন্য কোথাও যাবেন এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তিনি ভালো আছেন, এখন দিল্লিতে আছেন। আমার বোন ওনার কাছে আছেন।আমার বোনতো দিল্লিতে থাকেন। তিনি ভালো আছেন, তবে তার খুবই মন খারাপ।
জয় আরও বলেন, তিনি খুবই দুঃখিত। যে দেশের জন্য ওনার বাবাসহ পুরো পরিবার জীবন দিয়েছেন, যেই দেশের জন্য তিনি জেল খেটেছেন, এত পরিশ্রম করেছেন, এত উন্নয়ন করেছেন, সেই দেশের মানুষ তাকে এভাবে অপমান করে বের করে দেবে, তার উপর আক্রমণ করতে যাবে, এটা আমরা কেউ কল্পনা করতে পারিনি। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউই বাংলাদেশের রাজনীতিতে জড়াবেন না।
জয় আরও বলেন, তিনবারের মতো আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ক্যু হলো। তিনবারের মতো সবকিছু হারিয়ে বিদেশে থাকতে হলো। আমি আর আমার মা বাদে আমরা সবাই বিদেশে অনেকদিন ধরে আছি। আমাদের এখানে জীবনের কোনো অসুবিধা নেই। আমরা এখানে থাকতে অভ্যস্ত। বাংলাদেশে ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত একদিন আগে নেয়া হলেও তা তখন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একদিন আগে। আমরা কয়েকজন শুধুমাত্র জানতাম যে তিনি ঘোষণা দেবেন, তিনি পদত্যাগ করছেন এবং সংবিধান অনুযায়ী যাতে একটি ট্রানজিশন অব পাওয়ার হয় সেটাই ছিল ওনার প্ল্যান। তবে যখন তারা ঐ গণভবনের দিকে মার্চ করা শুরু করলো। তখন আমরা ভয়ে বললাম যে, আর সময় নেই। তোমার এখনই বেরিয়ে যেতে হবে।
এর আগে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, বাংলাদেশের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো দেশের কাছে আশ্রয় চাননি। যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র তার আশ্রয় চাওয়ার অনুরোধে সাড়া দেয়নি এ ধরনের খবর সত্য নয়। তিনি জানান, তার মা রাজনীতি থেকে অবসরে যাবেন এবং জীবনের বাকিটা সময় পরিবারের সঙ্গেই কাটাবেন।
গত সোমবার (৫ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘিরে গণঅভ্যুত্থানের মুখে হেলিকপ্টারে করে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয় শঙ্কর বলেছেন, খুবই অল্প সময়ের নোটিশে ভারতে আসার অনুমতি চান তিনি। এখন তিনি ভারতে আছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তবে শেখ হাসিনা ভারত থেকে যুক্তরাজ্য যেতে পারেন বলে বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে কথা বলে এনডিটিভি। তিনি জানান, যুক্তরাজ্যের অভিবাসন আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি আশ্রয় বা সাময়িক আশ্রয়ের জন্য দেশটিতে যেতে পারবেন না। গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনে জয় নিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। তবে কোটা সংস্কার ঘিরে জুন মাসে শুরু হওয়া ছাত্র বিক্ষোভ জুলাইয়ের শেষ ও আগস্টের শুরুর দিকে ব্যাপক সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিলে মাত্র সাত মাস পরই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
জয় আরও বলেন, তিনি খুবই দুঃখিত। যে দেশের জন্য ওনার বাবাসহ পুরো পরিবার জীবন দিয়েছেন, যেই দেশের জন্য তিনি জেল খেটেছেন, এত পরিশ্রম করেছেন, এত উন্নয়ন করেছেন, সেই দেশের মানুষ তাকে এভাবে অপমান করে বের করে দেবে, তার উপর আক্রমণ করতে যাবে, এটা আমরা কেউ কল্পনা করতে পারিনি। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউই বাংলাদেশের রাজনীতিতে জড়াবেন না।
জয় আরও বলেন, তিনবারের মতো আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ক্যু হলো। তিনবারের মতো সবকিছু হারিয়ে বিদেশে থাকতে হলো। আমি আর আমার মা বাদে আমরা সবাই বিদেশে অনেকদিন ধরে আছি। আমাদের এখানে জীবনের কোনো অসুবিধা নেই। আমরা এখানে থাকতে অভ্যস্ত। বাংলাদেশে ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত একদিন আগে নেয়া হলেও তা তখন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একদিন আগে। আমরা কয়েকজন শুধুমাত্র জানতাম যে তিনি ঘোষণা দেবেন, তিনি পদত্যাগ করছেন এবং সংবিধান অনুযায়ী যাতে একটি ট্রানজিশন অব পাওয়ার হয় সেটাই ছিল ওনার প্ল্যান। তবে যখন তারা ঐ গণভবনের দিকে মার্চ করা শুরু করলো। তখন আমরা ভয়ে বললাম যে, আর সময় নেই। তোমার এখনই বেরিয়ে যেতে হবে।
এর আগে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, বাংলাদেশের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো দেশের কাছে আশ্রয় চাননি। যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র তার আশ্রয় চাওয়ার অনুরোধে সাড়া দেয়নি এ ধরনের খবর সত্য নয়। তিনি জানান, তার মা রাজনীতি থেকে অবসরে যাবেন এবং জীবনের বাকিটা সময় পরিবারের সঙ্গেই কাটাবেন।
গত সোমবার (৫ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘিরে গণঅভ্যুত্থানের মুখে হেলিকপ্টারে করে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয় শঙ্কর বলেছেন, খুবই অল্প সময়ের নোটিশে ভারতে আসার অনুমতি চান তিনি। এখন তিনি ভারতে আছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তবে শেখ হাসিনা ভারত থেকে যুক্তরাজ্য যেতে পারেন বলে বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে কথা বলে এনডিটিভি। তিনি জানান, যুক্তরাজ্যের অভিবাসন আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি আশ্রয় বা সাময়িক আশ্রয়ের জন্য দেশটিতে যেতে পারবেন না। গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনে জয় নিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। তবে কোটা সংস্কার ঘিরে জুন মাসে শুরু হওয়া ছাত্র বিক্ষোভ জুলাইয়ের শেষ ও আগস্টের শুরুর দিকে ব্যাপক সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিলে মাত্র সাত মাস পরই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।