এবার পুলিশের ইন্সপেক্টর থেকে অধস্তনদের নিয়ে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন পুরোনো কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি করা হয়েছে পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল্লাহেল বাকী ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে দাউদ হোসেনকে। আপাতত ৩৯ সদস্যের একটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে কমিটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন একটি অতি প্রাচীনতম সংগঠন। পুলিশ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণে এ সংগঠনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতনের পর থেকে দেশব্যাপী নির্যাতিত জনমানুষের ক্ষোভে পুলিশের অনেক স্থাপনা আজ ক্ষতিগ্রস্ত এবং বহু পুলিশ সদস্য আহত ও নিহত হয়েছে।
যে সব পুলিশ সদস্য খুনি হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে তারা প্রায় সবাই আজ গা ঢাকা দিয়ে আছে। নিরীহ, নিগৃহীত সাধারণ পুলিশ সদস্যদের জীবন আজ বিপন্ন। এই ক্রান্তি লগ্নে আমরা বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে বিবেকের তাড়নায় তাড়িত হয়ে ঢাকায় অবস্থানরত বেশকিছু সংখ্যক সদস্য গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সমিতির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এক জরুরি বৈঠক করা হয়।
তবে সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বহু চেষ্টা করেও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় সহজেই অনুমিত হয় যে, পতিত স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে জনরোষ এড়াতে তারা আত্মগোপন করেছে। তাই পুলিশের এই কঠিন দুঃসময়ে অধস্তন পুলিশ সদস্যদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছানোর লক্ষ্যে উপস্থিত সব সদস্যদের সর্ব সম্মতিক্রমে আগের কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কার্যনিবাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নবগঠিত কার্যনিবাহী কমিটিতে পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহেল বাকীকে সভাপতি এবং পুলিশ পরিদর্শক মো. দাউদ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। বর্তমান সমিতির যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সমিতির সদস্যরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আরো লক্ষ্য করেছে যে, বিলুপ্ত কমিটির পক্ষ থেকে একটি অ-স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে, যা এরইমধ্যে ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে সব পুলিশ সদস্যদেরকে ৬ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
নবগঠিত কার্যনিবাহী কমিটি মনে করে, কর্মবিরতি আহ্বানের মাধ্যমে তারা দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রমূলক কাজে লিপ্ত রয়েছে। পুলিশ জনগণের সেবক। দেশ ও জনগণের জানমাল রক্ষার স্বার্থে পুলিশ সদা কর্তব্যরত। আমরা এহেন দায়িত্বজ্ঞান বর্জিত কাজ সম্পূর্ণরূপে বেআইনি ও ভিত্তিহীন মর্মে ঘোষণা করছি। নতুন বিজয়ের এ আনন্দ যাতে কোনোভাবেই স্নান না হয় সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জন আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করার জন্য অধস্তন সব পুলিশ সদস্যকে উদাত্ত আহ্বান করা যাচ্ছে।
এদিকে নিরীহ, নিগৃহীত সাধারণ পুলিশ সদস্যদেরকে রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য স্বনির্বন্ধ অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। আমরা আশা করি অতি শিগগিরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনবান্ধব নতুন পুলিশ নেতৃত্ব নবযাত্রা শুরু করে গণমানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবেন। আমরা আরো ঘোষণা করছি যে, গণধিকৃত দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন একটি অতি প্রাচীনতম সংগঠন। পুলিশ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণে এ সংগঠনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতনের পর থেকে দেশব্যাপী নির্যাতিত জনমানুষের ক্ষোভে পুলিশের অনেক স্থাপনা আজ ক্ষতিগ্রস্ত এবং বহু পুলিশ সদস্য আহত ও নিহত হয়েছে।
যে সব পুলিশ সদস্য খুনি হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে তারা প্রায় সবাই আজ গা ঢাকা দিয়ে আছে। নিরীহ, নিগৃহীত সাধারণ পুলিশ সদস্যদের জীবন আজ বিপন্ন। এই ক্রান্তি লগ্নে আমরা বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে বিবেকের তাড়নায় তাড়িত হয়ে ঢাকায় অবস্থানরত বেশকিছু সংখ্যক সদস্য গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সমিতির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এক জরুরি বৈঠক করা হয়।
তবে সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বহু চেষ্টা করেও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় সহজেই অনুমিত হয় যে, পতিত স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে জনরোষ এড়াতে তারা আত্মগোপন করেছে। তাই পুলিশের এই কঠিন দুঃসময়ে অধস্তন পুলিশ সদস্যদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছানোর লক্ষ্যে উপস্থিত সব সদস্যদের সর্ব সম্মতিক্রমে আগের কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কার্যনিবাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নবগঠিত কার্যনিবাহী কমিটিতে পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহেল বাকীকে সভাপতি এবং পুলিশ পরিদর্শক মো. দাউদ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। বর্তমান সমিতির যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সমিতির সদস্যরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আরো লক্ষ্য করেছে যে, বিলুপ্ত কমিটির পক্ষ থেকে একটি অ-স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে, যা এরইমধ্যে ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে সব পুলিশ সদস্যদেরকে ৬ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
নবগঠিত কার্যনিবাহী কমিটি মনে করে, কর্মবিরতি আহ্বানের মাধ্যমে তারা দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রমূলক কাজে লিপ্ত রয়েছে। পুলিশ জনগণের সেবক। দেশ ও জনগণের জানমাল রক্ষার স্বার্থে পুলিশ সদা কর্তব্যরত। আমরা এহেন দায়িত্বজ্ঞান বর্জিত কাজ সম্পূর্ণরূপে বেআইনি ও ভিত্তিহীন মর্মে ঘোষণা করছি। নতুন বিজয়ের এ আনন্দ যাতে কোনোভাবেই স্নান না হয় সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জন আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করার জন্য অধস্তন সব পুলিশ সদস্যকে উদাত্ত আহ্বান করা যাচ্ছে।
এদিকে নিরীহ, নিগৃহীত সাধারণ পুলিশ সদস্যদেরকে রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য স্বনির্বন্ধ অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। আমরা আশা করি অতি শিগগিরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনবান্ধব নতুন পুলিশ নেতৃত্ব নবযাত্রা শুরু করে গণমানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবেন। আমরা আরো ঘোষণা করছি যে, গণধিকৃত দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।