এবার সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ৫ দফা রূপরেখা তুলে ধরেন সংগঠনটি। আজ রোববার (৪ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরের রূপরেখা প্রস্তাব’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
এদিকে দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরে জানানো হয়, এটি প্রাথমিক প্রস্তাব। এ প্রস্তাবকে আরও বিস্তৃত করতে কাজ করবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সূচনা বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, বাংলাদেশের পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মোর্চা এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। ২০১৫ সাল থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে। বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রূপান্তরের সময় উপস্থিত। শিক্ষার্থীদের এক দফার সঙ্গে একমত হয়ে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করা হচ্ছে।
এরপর লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক আব্দুল হাসিব চৌধুরী, অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান ও মোশাহিদা সুলতানা। তাতে বলা হয়, আমরা একটা ভয়ংকর সময় পার করছি। একই সঙ্গে আমরা একটা অসাধারণ সৃষ্টিশীল সম্ভাবনাময় সময়ও পার করছি। আমরা ভয়ংকর দমন-পীড়ন দেখছি, আমরা অসাধারণ প্রতিরোধও দেখছি। গণঅভ্যুত্থান আমরা অনেক দেখেছি। কিন্তু মাত্র ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে এত প্রাণহানি বাংলাদেশ আর কখনো দেখেনি।
বর্তমান আন্দোলন কেবল কোটা সংস্কারের প্রশ্নে আটকে নেই বলে উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থী-জনতার এক গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি এখন গুলি, হত্যাযজ্ঞ, হামলা, গণগ্রেপ্তার বন্ধ, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফায় এসে ঠেকেছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ রূপান্তরের রূপরেখার ৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রস্তাবে বলা হয়, অবিলম্বে শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মূল শক্তিগুলোর সম্মতিক্রমে, নাগরিক ও রাজনৈতিক শক্তিসমূহের মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষক, বিচারপতি, আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের অংশীজনদের নিয়ে একটি জাতি-ধর্ম-লিঙ্গ-শ্রেণির অন্তর্ভুক্তিমূলক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। এই সরকারের সদস্য নির্বাচনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন। এই সরকারের কাছে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করবে।
এদিকে রূপান্তরের প্রস্তাবে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মূল শক্তিগুলোর অংশীজনদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে সর্বদলীয় নাগরিকদের নেতৃত্বে একটি ছায়া সরকার গঠিত হবে। তারা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে, যেন দেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত হয়। এ ধরনের ছায়া সরকার নির্বাচিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়ও অব্যাহত থাকতে পারে।
প্রস্তাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলো পালন করবে সেগুলোও তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে জুলাই হত্যাকাণ্ড এবং জনগণের ওপর নৃশংস জোরজুলুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের জন্য জাতিসংঘের সহযোগিতায় তদন্ত কমিটি এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা।সাম্প্রতিক সময়ে করা মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও হয়রানিমূলক মামলা বাতিল করবে এবং এসব মামলায় আটক সবাইকে মুক্তি দেওয়া।
সরকার গঠনের ৬ মাসের মধ্যে একটি সংবিধান সভা (কনস্টিটিউশনাল অ্যাসেম্বলি) গঠনের জন্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বলেও উল্লেখ করে রূপরেখা বলা হয়, নির্বাচিত সংবিধান সভা এমন এক গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রস্তাব করবে যে সংবিধানে স্বৈরতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িক, জন বিদ্বেষী ও বৈষম্যমূলক কোনো ধারা থাকবে না। সেই সংবিধানের ভিত্তিতে সরকার অবিলম্বে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে অবস্থার পরিবর্তন হবে না, বরং অবনতি হবে। যত দ্রুত পদত্যাগ করবে তা দেশের ও তাদের নিজেদের জন্যই ভালো। গণভবন খোলা বলা হচ্ছে, এটি ১৪ তারিখে খোলা হলে এত রক্তপাত হতো না। সরকার আর জটিলতা সৃষ্টি না করে দ্রুত পদত্যাগ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আনু মুহাম্মদ।
এদিকে দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরে জানানো হয়, এটি প্রাথমিক প্রস্তাব। এ প্রস্তাবকে আরও বিস্তৃত করতে কাজ করবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সূচনা বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, বাংলাদেশের পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মোর্চা এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। ২০১৫ সাল থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে। বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রূপান্তরের সময় উপস্থিত। শিক্ষার্থীদের এক দফার সঙ্গে একমত হয়ে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করা হচ্ছে।
এরপর লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক আব্দুল হাসিব চৌধুরী, অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান ও মোশাহিদা সুলতানা। তাতে বলা হয়, আমরা একটা ভয়ংকর সময় পার করছি। একই সঙ্গে আমরা একটা অসাধারণ সৃষ্টিশীল সম্ভাবনাময় সময়ও পার করছি। আমরা ভয়ংকর দমন-পীড়ন দেখছি, আমরা অসাধারণ প্রতিরোধও দেখছি। গণঅভ্যুত্থান আমরা অনেক দেখেছি। কিন্তু মাত্র ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে এত প্রাণহানি বাংলাদেশ আর কখনো দেখেনি।
বর্তমান আন্দোলন কেবল কোটা সংস্কারের প্রশ্নে আটকে নেই বলে উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থী-জনতার এক গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি এখন গুলি, হত্যাযজ্ঞ, হামলা, গণগ্রেপ্তার বন্ধ, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফায় এসে ঠেকেছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ রূপান্তরের রূপরেখার ৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রস্তাবে বলা হয়, অবিলম্বে শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মূল শক্তিগুলোর সম্মতিক্রমে, নাগরিক ও রাজনৈতিক শক্তিসমূহের মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষক, বিচারপতি, আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের অংশীজনদের নিয়ে একটি জাতি-ধর্ম-লিঙ্গ-শ্রেণির অন্তর্ভুক্তিমূলক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। এই সরকারের সদস্য নির্বাচনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন। এই সরকারের কাছে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করবে।
এদিকে রূপান্তরের প্রস্তাবে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মূল শক্তিগুলোর অংশীজনদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে সর্বদলীয় নাগরিকদের নেতৃত্বে একটি ছায়া সরকার গঠিত হবে। তারা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে, যেন দেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত হয়। এ ধরনের ছায়া সরকার নির্বাচিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়ও অব্যাহত থাকতে পারে।
প্রস্তাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলো পালন করবে সেগুলোও তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে জুলাই হত্যাকাণ্ড এবং জনগণের ওপর নৃশংস জোরজুলুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের জন্য জাতিসংঘের সহযোগিতায় তদন্ত কমিটি এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা।সাম্প্রতিক সময়ে করা মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও হয়রানিমূলক মামলা বাতিল করবে এবং এসব মামলায় আটক সবাইকে মুক্তি দেওয়া।
সরকার গঠনের ৬ মাসের মধ্যে একটি সংবিধান সভা (কনস্টিটিউশনাল অ্যাসেম্বলি) গঠনের জন্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বলেও উল্লেখ করে রূপরেখা বলা হয়, নির্বাচিত সংবিধান সভা এমন এক গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রস্তাব করবে যে সংবিধানে স্বৈরতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িক, জন বিদ্বেষী ও বৈষম্যমূলক কোনো ধারা থাকবে না। সেই সংবিধানের ভিত্তিতে সরকার অবিলম্বে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে অবস্থার পরিবর্তন হবে না, বরং অবনতি হবে। যত দ্রুত পদত্যাগ করবে তা দেশের ও তাদের নিজেদের জন্যই ভালো। গণভবন খোলা বলা হচ্ছে, এটি ১৪ তারিখে খোলা হলে এত রক্তপাত হতো না। সরকার আর জটিলতা সৃষ্টি না করে দ্রুত পদত্যাগ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আনু মুহাম্মদ।