এবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন গুজব-অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশবিরোধী একটি মহল চলমান সংকট জিইয়ে রেখে ফায়দা লুটার তৎপরতা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেহাত হয়ে গেছে, চলে গেছে তৃতীয় পক্ষের হাতে। যারা বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে এবং দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে যেতে চায়। এই অশুভ শক্তির অশুভ তৎপরতা আমরা সফল হতে দিতে পারি না। আজ শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। এ দেশের মানুষের ভোট-ভাতের অধিকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারই ফিরিয়ে এনেছে। আজ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিফলন বিএনপি-জামায়াত। তারা বারবার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং রাজনৈতিকভাবে চরম ব্যর্থ। তারা যে কোনো আন্দোলন দেখলেই সেটাকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে উন্মুখ হয়ে ওঠে। এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর ভর করে এখন সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করছে।'
তিনি বলেন, 'সব উসকানি ও নৈরাজ্যের মুখে শেখ হাসিনার সরকার ধৈর্য ও সংযমের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। সবাই জানে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক কতটা নিবিড়-গভীর। আগেই বলেছিলাম, এ আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত লাশের রাজনীতি করছে। গতকাল তাদের ষড়যন্ত্র-উসকানির মাধ্যমে ছাত্রদল, ছাত্র শিবিরের ক্যাডার বাহিনী সহিংসতা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করেছে। যার ফলে দুটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল। পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ অনেকেই আহত। এছাড়া, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ করেছে।
তিনি বলেন, 'আমি ফখরুল সাহেবকে প্রশ্ন করতে চাই, গতকাল পুলিশ সদস্যকে নিষ্ঠুরভাবে এ হত্যার দায় কার? কারা হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ করল? আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িতে হামলা চালালো? আমরা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব সন্ত্রাস ও সহিংস কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়,'
কাদের বলেন, 'শিক্ষার্থী কোটা সংস্কারের দাবি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিশন কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘসহ বিশ্বের যারা এই তদন্তকার্যে অংশ নিতে চায়, তাদের জন্য দরজা খোলা—এ কথা তিনি স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য এখানে জাতিসংঘ যদি যুক্ত হয়, আমাদের কোনো আপত্তি নেই—সে কথা আমরা স্পষ্ট করে জানিয়েছি।'
তিনি বলেন, 'আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শের প্রতি আমাদের কমিটমেন্ট শতভাগ। আমরা শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। তারা আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। দেশটি আমাদের সকলের। কোনো পক্ষকে বাদ দিয়ে নয়, বরং সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এগিয়ে যাবে আমাদের এই বাংলাদেশ।'
কাদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির অভিভাবক। তিনি ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই। আজকে পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেছেন। আমি তাদের কথা শুনতে চাই, কোনো সংঘাত চাই না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সংঘাত হতে পারে, পক্ষ-বিপক্ষ হতে পারে এ ধরনের কর্মসূচি আমরা সংঘাত এড়াতেই এড়িয়ে চলেছি। বিভেদ নয়, আমরা ঐক্যে বিশ্বাসী। যারা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, প্রগতিতে বিশ্বাস করি, তাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস আমরা চাই। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের পূর্ব পুরুষরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ আজ একটি মর্যাদাশীল জাতি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
'সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে দেশের অর্জিত গণতন্ত্র, উন্নয়ন, অগ্রগতিকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদেরকে প্রতিহত করতে আমরা মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সবার সম্মিলিত সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি,' যোগ করেন তিনি। আগামী ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার ঢাকা সিটি করপোরেশনের সব ওয়ার্ড, দেশের সব জেলা ও মহানগরে জমায়েত এবং সোমবার বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোক মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
কাদের বলেন, অবুঝ শিশুরা কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় পড়ে না। অবুঝ শিশুকে হত্যা করে, অবুঝ শিশুর তাজা প্রাণ ঝরিয়ে সরকারের তো কোনো লাভ নেই! লাভ তাদের যারা এই শিশুর লাশ থেকে ফায়দা লুটতে চায়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। আমরা ইউনিসেফকে অনুরোধ করব, ৩২ শিশু হত্যার কথা তারা বলেছে, আমরা সেই ৩২ শিশুর নাম, ঠিকানা জানতে চাই। এটা পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সত্য খুঁজে বের করব।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। এ দেশের মানুষের ভোট-ভাতের অধিকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারই ফিরিয়ে এনেছে। আজ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিফলন বিএনপি-জামায়াত। তারা বারবার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং রাজনৈতিকভাবে চরম ব্যর্থ। তারা যে কোনো আন্দোলন দেখলেই সেটাকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে উন্মুখ হয়ে ওঠে। এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর ভর করে এখন সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করছে।'
তিনি বলেন, 'সব উসকানি ও নৈরাজ্যের মুখে শেখ হাসিনার সরকার ধৈর্য ও সংযমের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। সবাই জানে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক কতটা নিবিড়-গভীর। আগেই বলেছিলাম, এ আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত লাশের রাজনীতি করছে। গতকাল তাদের ষড়যন্ত্র-উসকানির মাধ্যমে ছাত্রদল, ছাত্র শিবিরের ক্যাডার বাহিনী সহিংসতা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করেছে। যার ফলে দুটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল। পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ অনেকেই আহত। এছাড়া, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ করেছে।
তিনি বলেন, 'আমি ফখরুল সাহেবকে প্রশ্ন করতে চাই, গতকাল পুলিশ সদস্যকে নিষ্ঠুরভাবে এ হত্যার দায় কার? কারা হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ করল? আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িতে হামলা চালালো? আমরা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব সন্ত্রাস ও সহিংস কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়,'
কাদের বলেন, 'শিক্ষার্থী কোটা সংস্কারের দাবি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিশন কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘসহ বিশ্বের যারা এই তদন্তকার্যে অংশ নিতে চায়, তাদের জন্য দরজা খোলা—এ কথা তিনি স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য এখানে জাতিসংঘ যদি যুক্ত হয়, আমাদের কোনো আপত্তি নেই—সে কথা আমরা স্পষ্ট করে জানিয়েছি।'
তিনি বলেন, 'আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শের প্রতি আমাদের কমিটমেন্ট শতভাগ। আমরা শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। তারা আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। দেশটি আমাদের সকলের। কোনো পক্ষকে বাদ দিয়ে নয়, বরং সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এগিয়ে যাবে আমাদের এই বাংলাদেশ।'
কাদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির অভিভাবক। তিনি ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই। আজকে পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেছেন। আমি তাদের কথা শুনতে চাই, কোনো সংঘাত চাই না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সংঘাত হতে পারে, পক্ষ-বিপক্ষ হতে পারে এ ধরনের কর্মসূচি আমরা সংঘাত এড়াতেই এড়িয়ে চলেছি। বিভেদ নয়, আমরা ঐক্যে বিশ্বাসী। যারা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, প্রগতিতে বিশ্বাস করি, তাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস আমরা চাই। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের পূর্ব পুরুষরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ আজ একটি মর্যাদাশীল জাতি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
'সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে দেশের অর্জিত গণতন্ত্র, উন্নয়ন, অগ্রগতিকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদেরকে প্রতিহত করতে আমরা মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সবার সম্মিলিত সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি,' যোগ করেন তিনি। আগামী ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার ঢাকা সিটি করপোরেশনের সব ওয়ার্ড, দেশের সব জেলা ও মহানগরে জমায়েত এবং সোমবার বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোক মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
কাদের বলেন, অবুঝ শিশুরা কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় পড়ে না। অবুঝ শিশুকে হত্যা করে, অবুঝ শিশুর তাজা প্রাণ ঝরিয়ে সরকারের তো কোনো লাভ নেই! লাভ তাদের যারা এই শিশুর লাশ থেকে ফায়দা লুটতে চায়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। আমরা ইউনিসেফকে অনুরোধ করব, ৩২ শিশু হত্যার কথা তারা বলেছে, আমরা সেই ৩২ শিশুর নাম, ঠিকানা জানতে চাই। এটা পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সত্য খুঁজে বের করব।