এবার উত্তরার একটি মসজিদে গোসল করাতে গিয়ে দেখি ভাইয়ের বুকের সামনে দিয়ে গুলি ঢুকে পেছন দিয়ে বের হয়েছে। কাপড় তুলে দেখি দুই দিক দিয়ে টপটপ করে রক্ত পড়ছে। ভাইয়ের উপার্জনে আমাদের পড়াশোনা এবং মায়ের অসুস্থতার খরচ চলতো। ভাই আমাদের প্রাণ ছিল। এখন কী করে চলবে আমাদের সংসার?’ এমন প্রশ্ন রেখে কথাগুলো বলেছেন- চিকিৎসক সজিবের ছোট ভাই আব্দুল্লাহ।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় (১৮ জুলাই) মাদরাসা পড়ুয়া ভাইকে আনতে গিয়ে ঢাকার আজমপুরে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান চিকিৎসক সজিব সরকার (৩০)। ওই দিন রাতে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে। পরদিন পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার ২ সপ্তাহ পেরোলেও থামেনি স্বজনদের আহাজারি। উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন সজিবের মৃত্যুতে শোকের সাগরে ভাসছে পুরো পরিবার।
এদিকে নিহত সজিবের ছোট ভাই আব্দুল্লাহ বলেন, এর আগের সপ্তাহে সজিব ভাই আমার মাদরাসায় আসে। ওই সময় তার সঙ্গে সর্বশেষ দেখা হয় আমার এবং বলে ১৮ তারিখ (বৃহস্পতিবার) মাদরাসা ছুটি হলে আমাকে এসে নিয়ে যাবে। ওই দিন বিকেলে তিন বার সজিব ভাইকে ফোন দিয়ে না পেয়ে ব্যাগ নিয়ে অপেক্ষায় থাকি আমি। রাত ৯টায় হাসপাতালে এসে ভাইয়ের লাশ দেখতে পাই। কেন গুলি করে মারলো আমার ভাইকে? আমার ভাই ছিল আমার সব।
নিহত সজিব নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মেঝেরকান্দি গ্রামের মো. হালিম সরকারের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের লেকচারার এবং বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতেন। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন সজিব। নরসিংদীর ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা যায়, ছেলেকে হারিয়ে মা ঝরনা বেগম (৫৬) এখন পাগল প্রায়, অসুস্থ হয়ে অক্সিজেন নিচ্ছেন। ছেলের স্মৃতিচারণ করে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সজিব সব সময় আমাকে ছোট্ট সন্তানের মতো আগলে রাখত। আমিসহ সবার খরচ জোগাতো সজিব। ১৮ তারিখে ১১ টায় বাসা থেকে বের হয় আমার ছোট ছেলেকে ঢাকা থেকে আনার জন্য। বেলা সাড়ে ৪ থেকে ৫ টার মধ্যে ঢাকা আজমপুর পৌঁছে ফোনে কথা হয়। রাত ১টা পর্যন্ত ছেলের অপেক্ষায় বসে ছিলাম আমি।
তিনি বলেন, আমাদের যা ছিল, সব ছেলেকে চিকিৎসক বানাতে ব্যয় হয়েছে। সব হারিয়ে এখন আমি নিঃস্ব। আমার ছেলে হত্যার বিচার কীভাবে পাব, সেটাই আমি চাইব। সবাই যাতে জানে, সজিব ডাক্তার নির্দোষ হয়ে মারা গেছে। আমার ছেলে সজিব যেন আজীবন সবার মাঝে বেঁচে থাকে এমন কিছু একটার নামকরণ করা হোক।
নিহত সজিবের বাবা মো. হালিম সরকার (৫৮) বলেন, ছেলেকে খুব কষ্ট করে ঢাকার উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত পড়াশোনা করাই। ২০২০ সালে টঙ্গীর বেসরকারি তাইরুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক হয়ে বের হয় আমার ছেলে। তাকে চিকিৎসক বানাতে গিয়ে দিতে হয়েছে সর্বত্র, ঋণে জর্জরিত। পরে সে ঋণগ্রস্ত পরিবারের হাল ধরে আমার ছেলে সজিব।
তিনি আরও বলেন, খুব কষ্ট করে ছেলেকে দেশের সেবক বানিয়েছিলাম। রাষ্ট্র আমাকে দিল লাশ। ছেলেকে তো আর ফিরে পাব না, রাষ্ট্র যদি তদন্ত করে ছেলে হত্যার বিচারটা করে, তাহলেই তার আত্মা ও আমরা শান্তি পাব। মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন রিপন বলেন, ওই দিন জানতে পারি সে ঢাকায় নিহত হয়েছেন। তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকার অপরিসীম ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের সচিব আতিকুর রহমান বলেন, উনি প্রায় এক বছর ধরে লেকচারার ছিলেন। তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। শুনেছি সে মারা গেছেন।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় (১৮ জুলাই) মাদরাসা পড়ুয়া ভাইকে আনতে গিয়ে ঢাকার আজমপুরে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান চিকিৎসক সজিব সরকার (৩০)। ওই দিন রাতে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে। পরদিন পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার ২ সপ্তাহ পেরোলেও থামেনি স্বজনদের আহাজারি। উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন সজিবের মৃত্যুতে শোকের সাগরে ভাসছে পুরো পরিবার।
এদিকে নিহত সজিবের ছোট ভাই আব্দুল্লাহ বলেন, এর আগের সপ্তাহে সজিব ভাই আমার মাদরাসায় আসে। ওই সময় তার সঙ্গে সর্বশেষ দেখা হয় আমার এবং বলে ১৮ তারিখ (বৃহস্পতিবার) মাদরাসা ছুটি হলে আমাকে এসে নিয়ে যাবে। ওই দিন বিকেলে তিন বার সজিব ভাইকে ফোন দিয়ে না পেয়ে ব্যাগ নিয়ে অপেক্ষায় থাকি আমি। রাত ৯টায় হাসপাতালে এসে ভাইয়ের লাশ দেখতে পাই। কেন গুলি করে মারলো আমার ভাইকে? আমার ভাই ছিল আমার সব।
নিহত সজিব নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মেঝেরকান্দি গ্রামের মো. হালিম সরকারের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের লেকচারার এবং বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতেন। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন সজিব। নরসিংদীর ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা যায়, ছেলেকে হারিয়ে মা ঝরনা বেগম (৫৬) এখন পাগল প্রায়, অসুস্থ হয়ে অক্সিজেন নিচ্ছেন। ছেলের স্মৃতিচারণ করে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সজিব সব সময় আমাকে ছোট্ট সন্তানের মতো আগলে রাখত। আমিসহ সবার খরচ জোগাতো সজিব। ১৮ তারিখে ১১ টায় বাসা থেকে বের হয় আমার ছোট ছেলেকে ঢাকা থেকে আনার জন্য। বেলা সাড়ে ৪ থেকে ৫ টার মধ্যে ঢাকা আজমপুর পৌঁছে ফোনে কথা হয়। রাত ১টা পর্যন্ত ছেলের অপেক্ষায় বসে ছিলাম আমি।
তিনি বলেন, আমাদের যা ছিল, সব ছেলেকে চিকিৎসক বানাতে ব্যয় হয়েছে। সব হারিয়ে এখন আমি নিঃস্ব। আমার ছেলে হত্যার বিচার কীভাবে পাব, সেটাই আমি চাইব। সবাই যাতে জানে, সজিব ডাক্তার নির্দোষ হয়ে মারা গেছে। আমার ছেলে সজিব যেন আজীবন সবার মাঝে বেঁচে থাকে এমন কিছু একটার নামকরণ করা হোক।
নিহত সজিবের বাবা মো. হালিম সরকার (৫৮) বলেন, ছেলেকে খুব কষ্ট করে ঢাকার উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত পড়াশোনা করাই। ২০২০ সালে টঙ্গীর বেসরকারি তাইরুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক হয়ে বের হয় আমার ছেলে। তাকে চিকিৎসক বানাতে গিয়ে দিতে হয়েছে সর্বত্র, ঋণে জর্জরিত। পরে সে ঋণগ্রস্ত পরিবারের হাল ধরে আমার ছেলে সজিব।
তিনি আরও বলেন, খুব কষ্ট করে ছেলেকে দেশের সেবক বানিয়েছিলাম। রাষ্ট্র আমাকে দিল লাশ। ছেলেকে তো আর ফিরে পাব না, রাষ্ট্র যদি তদন্ত করে ছেলে হত্যার বিচারটা করে, তাহলেই তার আত্মা ও আমরা শান্তি পাব। মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন রিপন বলেন, ওই দিন জানতে পারি সে ঢাকায় নিহত হয়েছেন। তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকার অপরিসীম ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের সচিব আতিকুর রহমান বলেন, উনি প্রায় এক বছর ধরে লেকচারার ছিলেন। তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। শুনেছি সে মারা গেছেন।