এবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় পুত্রবধূকে প্রবাসী ছেলের কাছ থেকে আলাদা করতে আটার রুটিতে তাবিজ লিখে কুকুরকে খাওয়ানের চেষ্টা করেছেন শাহিনুর বেগম নামে এক শাশুড়ি। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযুক্ত শাশুড়ি শাহিনুর বেগম ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত কাঞ্চন হাওলাদারের স্ত্রী এবং প্রবাসী আল-আমিনের মা। আর পুত্রবধূ আরজু বেগম উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বারেক মিঝির মেয়ে এবং প্রবাসী আল-আমিনের স্ত্রী।
এদিকে অভিযোগ করে গৃহবধূ আরজু বেগম বলেন, গত ১৩ বছর আগে জাহানপুর ইউনিয়নের মৃত কাঞ্চন হাওলাদারের ছেলে আল-আমিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয়। এরপর আমাদের সংসারে দুইজন মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তাদের নিয়ে দীর্ঘদিন আমাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল। আমার স্বামী আল-আমিন গত ৩ বছর আগে টাকা উপার্জন করার জন্য সৌদিতে যান।
এরপর থেকেই আল-আমিনের ৪ বোন ও মা শাহিনুর বেগম বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে আমাকে গালমন্দ করে আমার স্বামীর বসতভিটা থেকে বিতাড়িত করেন। পরে আমি দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাবার বাড়িতে চলে যাই। বাবার বাড়িতে যাওয়ার ৬ মাস অতিবাহিত হলেও আমার সঙ্গে আমার স্বামী আল-আমিন ও শাশুড়ি শাহিনুর বেগম কোনো যোগাযোগ করেননি।
তিনি আরো বলেন, সোমবার (৮ জুলাই) আমার স্বামীর বাড়ির পাশের স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি একটা আটার রুটিতে আমার নাম, আমার বাবার নাম, আমার মায়ের নাম, আমার নানার নাম লিখে কালো কুকুরকে খাওয়ানের চেষ্টা করেন আমার শাশুড়ি। এরপর স্থানীয়রা ওই রুটিটি কুকুরের সামনে থেকে উদ্ধার করে মসজিদের ইমামকে দেখিয়ে তাদের হেফাজতে রাখেন।
পরে আমি ওই রুটিটি স্থানীয় একজন খনকারকে (কবিরাজ) দেখালে তিনি জানিয়েছেন, আমাকে স্বামীর কাছ থেকে তাড়িয়ে দিতে রুটিতে তাবিজ লিখে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন শাশুড়ি। এ বিষয়টি আমার স্বামীকে জানালে সে কোনো কর্ণপাত করেনি। বর্তমানে আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ঘটনায় গৃহবধূ আরজু বেগমের বাবা বারেক মিঝি খুবই উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আল-আমিন ও তার পরিবারের কাছে আমার দাবি থাকবে সামাজিকভাবে বসে সুষ্ঠু সমাধানের। তা না হলে আমি আইনের আশ্রয় নেবো।’
এ ঘটনার বিষয়ে গৃহবধূ আরজু বেগমের শাশুড়ি শাহিনুর বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ছেলের বউকে অনেক ভালোবাসি। আমার দুইটি নাতনি রয়েছে। তাদেরকে বাড়ি ফেরাতেই মূলত আমি আটার রুটিতে তাবিজ লিখে কুকুরকে খাওয়ানোর চেষ্টা করি।’
এ ঘটনার ব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ অবগত করেনি। তবে উভয় পক্ষ আমার কাছে আসলে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করার চেষ্টা করবো।
এদিকে অভিযোগ করে গৃহবধূ আরজু বেগম বলেন, গত ১৩ বছর আগে জাহানপুর ইউনিয়নের মৃত কাঞ্চন হাওলাদারের ছেলে আল-আমিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয়। এরপর আমাদের সংসারে দুইজন মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তাদের নিয়ে দীর্ঘদিন আমাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল। আমার স্বামী আল-আমিন গত ৩ বছর আগে টাকা উপার্জন করার জন্য সৌদিতে যান।
এরপর থেকেই আল-আমিনের ৪ বোন ও মা শাহিনুর বেগম বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে আমাকে গালমন্দ করে আমার স্বামীর বসতভিটা থেকে বিতাড়িত করেন। পরে আমি দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাবার বাড়িতে চলে যাই। বাবার বাড়িতে যাওয়ার ৬ মাস অতিবাহিত হলেও আমার সঙ্গে আমার স্বামী আল-আমিন ও শাশুড়ি শাহিনুর বেগম কোনো যোগাযোগ করেননি।
তিনি আরো বলেন, সোমবার (৮ জুলাই) আমার স্বামীর বাড়ির পাশের স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি একটা আটার রুটিতে আমার নাম, আমার বাবার নাম, আমার মায়ের নাম, আমার নানার নাম লিখে কালো কুকুরকে খাওয়ানের চেষ্টা করেন আমার শাশুড়ি। এরপর স্থানীয়রা ওই রুটিটি কুকুরের সামনে থেকে উদ্ধার করে মসজিদের ইমামকে দেখিয়ে তাদের হেফাজতে রাখেন।
পরে আমি ওই রুটিটি স্থানীয় একজন খনকারকে (কবিরাজ) দেখালে তিনি জানিয়েছেন, আমাকে স্বামীর কাছ থেকে তাড়িয়ে দিতে রুটিতে তাবিজ লিখে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন শাশুড়ি। এ বিষয়টি আমার স্বামীকে জানালে সে কোনো কর্ণপাত করেনি। বর্তমানে আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ঘটনায় গৃহবধূ আরজু বেগমের বাবা বারেক মিঝি খুবই উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আল-আমিন ও তার পরিবারের কাছে আমার দাবি থাকবে সামাজিকভাবে বসে সুষ্ঠু সমাধানের। তা না হলে আমি আইনের আশ্রয় নেবো।’
এ ঘটনার বিষয়ে গৃহবধূ আরজু বেগমের শাশুড়ি শাহিনুর বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ছেলের বউকে অনেক ভালোবাসি। আমার দুইটি নাতনি রয়েছে। তাদেরকে বাড়ি ফেরাতেই মূলত আমি আটার রুটিতে তাবিজ লিখে কুকুরকে খাওয়ানোর চেষ্টা করি।’
এ ঘটনার ব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ অবগত করেনি। তবে উভয় পক্ষ আমার কাছে আসলে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করার চেষ্টা করবো।