এবার সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। এবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আদালতে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে আপিল বিভাগে একটি মামলার শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের নেতাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, কোটা নিয়ে যারা আন্দোলন করছে তাদের পরামর্শ দিন। তারা কেনো নির্বাহী বিভাগের কথা বলছে? নির্বাহী বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিগুলো আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে এসে তুলে ধরতে পারে। আদালতে তা গুরুত্ব সহকারে শোনা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।
ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
গত ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। এর পর থেকে চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীরা সরকারের জারি করা সেই পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে মাঠে নামেন।
এদিকে সবশেষ গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) সরকারি চাকরিতে কোটা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের উপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। এরফলে সরকারের জারিকৃত ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল হয়। আগামী ৭ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে হাইকোর্ট। এদিকে আজ বিকেলে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে আবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে আপিল বিভাগে একটি মামলার শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের নেতাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, কোটা নিয়ে যারা আন্দোলন করছে তাদের পরামর্শ দিন। তারা কেনো নির্বাহী বিভাগের কথা বলছে? নির্বাহী বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিগুলো আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে এসে তুলে ধরতে পারে। আদালতে তা গুরুত্ব সহকারে শোনা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।
ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
গত ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। এর পর থেকে চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীরা সরকারের জারি করা সেই পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে মাঠে নামেন।
এদিকে সবশেষ গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) সরকারি চাকরিতে কোটা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের উপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। এরফলে সরকারের জারিকৃত ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল হয়। আগামী ৭ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে হাইকোর্ট। এদিকে আজ বিকেলে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে আবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।