এবার সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি শপথ শেষে ফিলিস্তিনের নামে জয়ধ্বনি দিয়েছেন। এরপরই মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিজেপির এক নেতা দাবি করেছেন যে, হায়দরাবাদের এই সংসদ সদস্যকে ‘বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন’-এর জন্য লোকসভার সদস্য হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যেতে পারে।
নিজের রাজ্য তেলেঙ্গানা ও বি আর আম্বেদকরের প্রশংসা করা ছাড়াও হায়দরাবাদ আসন থেকে পঞ্চমবারের জন্য নির্বাচিত ওয়াইসি উর্দুতে শপথ নেওয়ার পর ‘জয় ফিলিস্তিন’ স্লোগান তোলেন। অবশ্য বিধানসভা থেকে বেরিয়ে এসে ওয়েইসি বলেন, জয় ভীম, জয় মিম, জয় তেলাঙ্গানা, জয় ফিলিস্তিন বলে তার মধ্যে কোনো ভুল নেই।
তিনি বলেন, অন্য সদস্যরাও নানা কথা বলছেন। এটা কীভাবে ভুল? সংবিধানের বিধান বলুন। অন্যরা কী বলল সেটিও শুনতে হবে। আমার যা বলার বললাম। ফিলিস্তিন নিয়ে মহাত্মা গান্ধী কী বলেছিলেন পড়ুন। ফিলিস্তিনের প্রসঙ্গ কেন বললেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা নিপীড়িত মানুষ। এ বিষয়ে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, ফিলিস্তিনের পক্ষে ধ্বনি দেওয়ায় কয়েকজন সংসদ সদস্যের কাছ থেকে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিন বা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। বিষয় একটাই, শপথ নেওয়ার সময় কোনো সদস্যের পক্ষে অন্য দেশের প্রশংসা করে স্লোগান তোলা কি সমীচীন? আমাদের নিয়মগুলো পরীক্ষা করে দেখতে হবে। কিছু সদস্য আমার কাছে এসে শপথ শেষে ফিলিস্তিনের স্লোগান তোলার অভিযোগ করেছেন। জানিয়েছেন কিরেন রিজিজু।
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের একটি স্নিপেট পোস্ট করেছেন এবং বলেছেন, বর্তমান নিয়ম অনুসারে, আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে তার লোকসভার সদস্যপদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা যেতে পারে, বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য, সেটি হলো ফিলিস্তিন।
১০২ অনুচ্ছেদে অযোগ্যতা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তা এখানে উল্লেখ করা হলো;
ক) যদি তিনি আইন দ্বারা সংসদ কর্তৃক ঘোষিত পদ ব্যতীত ভারত সরকার বা কোনও রাজ্য সরকারের অধীনে কোনও লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন, তবে তিনি তার ধারককে অযোগ্য ঘোষণা করবেন না;
(খ) তিনি যদি মানসিক ভারসাম্যহীন হন এবং উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ঘোষিত হন;
(গ) তিনি যদি অসচ্ছল হন;
(ঘ) যদি তিনি ভারতের নাগরিক না হন, বা স্বেচ্ছায় কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন, বা কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য বা আনুগত্যের স্বীকৃতির অধীনে থাকেন;
(ঙ) তিনি সংসদ কর্তৃক প্রণীত কোন আইনের দ্বারা বা অধীন অযোগ্য হলে।
নিজের রাজ্য তেলেঙ্গানা ও বি আর আম্বেদকরের প্রশংসা করা ছাড়াও হায়দরাবাদ আসন থেকে পঞ্চমবারের জন্য নির্বাচিত ওয়াইসি উর্দুতে শপথ নেওয়ার পর ‘জয় ফিলিস্তিন’ স্লোগান তোলেন। অবশ্য বিধানসভা থেকে বেরিয়ে এসে ওয়েইসি বলেন, জয় ভীম, জয় মিম, জয় তেলাঙ্গানা, জয় ফিলিস্তিন বলে তার মধ্যে কোনো ভুল নেই।
তিনি বলেন, অন্য সদস্যরাও নানা কথা বলছেন। এটা কীভাবে ভুল? সংবিধানের বিধান বলুন। অন্যরা কী বলল সেটিও শুনতে হবে। আমার যা বলার বললাম। ফিলিস্তিন নিয়ে মহাত্মা গান্ধী কী বলেছিলেন পড়ুন। ফিলিস্তিনের প্রসঙ্গ কেন বললেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা নিপীড়িত মানুষ। এ বিষয়ে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, ফিলিস্তিনের পক্ষে ধ্বনি দেওয়ায় কয়েকজন সংসদ সদস্যের কাছ থেকে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিন বা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। বিষয় একটাই, শপথ নেওয়ার সময় কোনো সদস্যের পক্ষে অন্য দেশের প্রশংসা করে স্লোগান তোলা কি সমীচীন? আমাদের নিয়মগুলো পরীক্ষা করে দেখতে হবে। কিছু সদস্য আমার কাছে এসে শপথ শেষে ফিলিস্তিনের স্লোগান তোলার অভিযোগ করেছেন। জানিয়েছেন কিরেন রিজিজু।
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের একটি স্নিপেট পোস্ট করেছেন এবং বলেছেন, বর্তমান নিয়ম অনুসারে, আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে তার লোকসভার সদস্যপদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা যেতে পারে, বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য, সেটি হলো ফিলিস্তিন।
১০২ অনুচ্ছেদে অযোগ্যতা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তা এখানে উল্লেখ করা হলো;
ক) যদি তিনি আইন দ্বারা সংসদ কর্তৃক ঘোষিত পদ ব্যতীত ভারত সরকার বা কোনও রাজ্য সরকারের অধীনে কোনও লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন, তবে তিনি তার ধারককে অযোগ্য ঘোষণা করবেন না;
(খ) তিনি যদি মানসিক ভারসাম্যহীন হন এবং উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ঘোষিত হন;
(গ) তিনি যদি অসচ্ছল হন;
(ঘ) যদি তিনি ভারতের নাগরিক না হন, বা স্বেচ্ছায় কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন, বা কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য বা আনুগত্যের স্বীকৃতির অধীনে থাকেন;
(ঙ) তিনি সংসদ কর্তৃক প্রণীত কোন আইনের দ্বারা বা অধীন অযোগ্য হলে।