এবার সুপার এইটে টানা দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। সেন্ট ভিনসেন্টের ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামের ব্যাটিং উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেও ভারতের কাছে অস্ট্রেলিয়ার হারে সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা জেগেছিল বাংলাদেশের সামনে। শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২.১ ওভারে জিততে পারলেই সেমিফাইনালে জায়গা পেতো টাইগাররা। তবে ম্যাচটা জিততেও পারেনি বাংলাদেশ।
এদিকে আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৫ রান সংগ্রহ করতে পারে। বোলাররা দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশের জন্য সেমিফাইনালের রাস্তাটা খুলে দিয়েছিল। এদিন ১২.১ ওভারে আফগানিস্তানের দেয়া লক্ষ্য পার করতে পারলেই সেমিফাইনালের টিকিট মিলত। এমনকি এই সময়ে যদি আফগানিস্তানের সমান রানও তুলতে পারতো, তবে শেষ চার বলে ১টি ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করতে পারলেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশই যেত।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে দ্রুত রান তুলে কিছুটা সম্ভাবনা জাগালেও দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর দ্রুত রান তোলার চিন্তা বাদ দিয়ে কোনোমতে ম্যাচটা জেতার চেষ্টাই যেন করতে থাকেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। তবুও ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি তারা। ১৭.৫ ওভারে মাত্র ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনাটা কাজে লাগানোর চেষ্টা না করে নিরাপদ জয়ের পথ খোঁজার চেষ্টার সমালোচনা করছেন দেশের সাবেক ক্রিকেটার ও সমর্থকরা। এই ম্যাচ জিতে কিছুই পাওয়ার নেই টাইগারদের। বরং সমীকরণ মিলিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার ইনটেন্ট দেখালেই ভালো করত বলে মত তাদের। টাইগারদের এমন সংকীর্ণ মানসিকতার সমালোচনা করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তার মতে, লিটন দাসদের জন্য ড্রেসিং রুম থেকে কোন নির্দেশনাই ছিল না।
ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ক্ষোভ ঝেড়েছেন মাশরাফী। তিনি লিখেছেন, 'লিটনের ইনটেন্ট আর নন স্ট্রাইকারের নীরবতা দেখে বোঝা যায়, ক্লিয়ার কোন ম্যাসেজ ব্যাটিং ইউনিটের কাছে ছিল না। আর যদি থেকেই থাকে তাহলে প্রতি এক বা দুই ওভার পরপর চেঞ্জ হয়েছে, যেটা শেষমেষ এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, স্রেফ ম্যাচটা যেন জেতে।
অথচ আজকের হিসাবটা ছিল শুধুই ১২.১ (ওভারে জেতার)। এর বাইরে কিছুই ভাবার সুযোগ ছিল না। তাতে যদি ৫০ রানেও দল অল আউট হতো, অন্তত সবাই সেটা সহজ ভাবে নিত। আর যদি এই ম্যাচ জিততাম (শেষ পর্যন্ত খেলে), তাও বিবেকের কাছে হেরে যেতাম।
এ ম্যাচ আর দশটা ম্যাচের মতো ছিল না আমাদের জন্য, এটা ছিল ইতিহাস গড়ার সমান। এরপরও অবশ্যই আশা দেখি বা দেখবো, ইনশাল্লাহ। হয়তো কোন একদিন। অভিনন্দন আফগানদের। কী দারুন তাদের শারীরিক ভাষা, শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া এবং শেষে তাদের সেলিব্রেশন। নিশ্চই কাবুল এখন কাঁপছে।'
এদিকে আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৫ রান সংগ্রহ করতে পারে। বোলাররা দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশের জন্য সেমিফাইনালের রাস্তাটা খুলে দিয়েছিল। এদিন ১২.১ ওভারে আফগানিস্তানের দেয়া লক্ষ্য পার করতে পারলেই সেমিফাইনালের টিকিট মিলত। এমনকি এই সময়ে যদি আফগানিস্তানের সমান রানও তুলতে পারতো, তবে শেষ চার বলে ১টি ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করতে পারলেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশই যেত।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে দ্রুত রান তুলে কিছুটা সম্ভাবনা জাগালেও দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর দ্রুত রান তোলার চিন্তা বাদ দিয়ে কোনোমতে ম্যাচটা জেতার চেষ্টাই যেন করতে থাকেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। তবুও ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি তারা। ১৭.৫ ওভারে মাত্র ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনাটা কাজে লাগানোর চেষ্টা না করে নিরাপদ জয়ের পথ খোঁজার চেষ্টার সমালোচনা করছেন দেশের সাবেক ক্রিকেটার ও সমর্থকরা। এই ম্যাচ জিতে কিছুই পাওয়ার নেই টাইগারদের। বরং সমীকরণ মিলিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার ইনটেন্ট দেখালেই ভালো করত বলে মত তাদের। টাইগারদের এমন সংকীর্ণ মানসিকতার সমালোচনা করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তার মতে, লিটন দাসদের জন্য ড্রেসিং রুম থেকে কোন নির্দেশনাই ছিল না।
ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ক্ষোভ ঝেড়েছেন মাশরাফী। তিনি লিখেছেন, 'লিটনের ইনটেন্ট আর নন স্ট্রাইকারের নীরবতা দেখে বোঝা যায়, ক্লিয়ার কোন ম্যাসেজ ব্যাটিং ইউনিটের কাছে ছিল না। আর যদি থেকেই থাকে তাহলে প্রতি এক বা দুই ওভার পরপর চেঞ্জ হয়েছে, যেটা শেষমেষ এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, স্রেফ ম্যাচটা যেন জেতে।
অথচ আজকের হিসাবটা ছিল শুধুই ১২.১ (ওভারে জেতার)। এর বাইরে কিছুই ভাবার সুযোগ ছিল না। তাতে যদি ৫০ রানেও দল অল আউট হতো, অন্তত সবাই সেটা সহজ ভাবে নিত। আর যদি এই ম্যাচ জিততাম (শেষ পর্যন্ত খেলে), তাও বিবেকের কাছে হেরে যেতাম।
এ ম্যাচ আর দশটা ম্যাচের মতো ছিল না আমাদের জন্য, এটা ছিল ইতিহাস গড়ার সমান। এরপরও অবশ্যই আশা দেখি বা দেখবো, ইনশাল্লাহ। হয়তো কোন একদিন। অভিনন্দন আফগানদের। কী দারুন তাদের শারীরিক ভাষা, শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া এবং শেষে তাদের সেলিব্রেশন। নিশ্চই কাবুল এখন কাঁপছে।'