সবার অগোচরে ভালোবেসে বিয়ে করে ৮ দিনের মাথায় স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন সৈকত দেখতে। কিন্তু সৈকত দেখে ফেরার পথে পুলিশের চেকপোস্টের কিছুটা দূরে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হলেন হোটেল কর্মচারী আব্দুল কাদের।
গতকাল রোববার (৯ জুন) রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভস্থ সৈকতের বেলী হ্যাচারি পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল কাদের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী এলাকার মো. ইব্রাহিমের ছেলে। এদিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিস্তব্ধ হয়ে বসে আছেন আব্দুল কাদেরের স্ত্রী তসলিমা আকতার।
তিনি জানান, মাত্র ৮ দিন আগে সবার অগোচরে ভালোবেসে বিয়ে হয়েছে তাদের। আর ৮ দিনের মাথায় কক্সবাজার সৈকতের বেলী হ্যাচারি পয়েন্ট ঘুরতে গিয়ে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হলেন তার স্বামী। তারা দুজনই চাকরি করতেন কলাতলীর মোড়ের একটি তারকামানের হোটেলে। এখন সৈকত দেখতে যাওয়াই কাল হলো তার।
তসলিমা আকতার বলেন, হোটেলের ডিউটি শেষ করে সন্ধ্যা ৬ টায় সৈকতের বেলী হ্যাচারি পয়েন্টে ঘুরতে যাই। দুজন সৈকতে বসে লুডুও খেলি। পরে ফেরার সময় পথ আটকায় ছিনতাইকারীরা। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তিতে কাদেরকে ছুরি মেরে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরবর্তীতে কাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এদিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আশিকুর রহমান বলেন, আব্দুল কাদেরকে হাসপাতালের আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। মূলত আঘাত ছিল বুকে। দেখে মনে হয়েছে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে। এখন মরদেহ মর্গে রয়েছে। সোমবার ময়নাতদন্ত করা হবে, এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
কাদেরকে হাসপাতালে দেখতে ছুটে আসে তার সহকর্মীরা। এসময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের দাবি, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। আর নিরাপদ করা হোক সৈকত নগরীকে। যার যাতে সৈকতে এসে কাউকে প্রাণ দিতে না হয়।
ঘটনার পরপরই হাসপাতালে ছুটে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে রাতে তসলিমা আকতারকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ। একই সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব।
এদিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক মো. রকিবুজ্জামান বলেন, বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার কাজ চলছে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। জানা গেছে, গত ২ জুন রামুর রাজারকুলের তসলিমা আকতার ও চকরিয়ার বরইতলীর আব্দুল কাদের বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।
গতকাল রোববার (৯ জুন) রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভস্থ সৈকতের বেলী হ্যাচারি পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল কাদের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী এলাকার মো. ইব্রাহিমের ছেলে। এদিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিস্তব্ধ হয়ে বসে আছেন আব্দুল কাদেরের স্ত্রী তসলিমা আকতার।
তিনি জানান, মাত্র ৮ দিন আগে সবার অগোচরে ভালোবেসে বিয়ে হয়েছে তাদের। আর ৮ দিনের মাথায় কক্সবাজার সৈকতের বেলী হ্যাচারি পয়েন্ট ঘুরতে গিয়ে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হলেন তার স্বামী। তারা দুজনই চাকরি করতেন কলাতলীর মোড়ের একটি তারকামানের হোটেলে। এখন সৈকত দেখতে যাওয়াই কাল হলো তার।
তসলিমা আকতার বলেন, হোটেলের ডিউটি শেষ করে সন্ধ্যা ৬ টায় সৈকতের বেলী হ্যাচারি পয়েন্টে ঘুরতে যাই। দুজন সৈকতে বসে লুডুও খেলি। পরে ফেরার সময় পথ আটকায় ছিনতাইকারীরা। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তিতে কাদেরকে ছুরি মেরে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরবর্তীতে কাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এদিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আশিকুর রহমান বলেন, আব্দুল কাদেরকে হাসপাতালের আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। মূলত আঘাত ছিল বুকে। দেখে মনে হয়েছে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে। এখন মরদেহ মর্গে রয়েছে। সোমবার ময়নাতদন্ত করা হবে, এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
কাদেরকে হাসপাতালে দেখতে ছুটে আসে তার সহকর্মীরা। এসময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের দাবি, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। আর নিরাপদ করা হোক সৈকত নগরীকে। যার যাতে সৈকতে এসে কাউকে প্রাণ দিতে না হয়।
ঘটনার পরপরই হাসপাতালে ছুটে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে রাতে তসলিমা আকতারকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ। একই সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব।
এদিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক মো. রকিবুজ্জামান বলেন, বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার কাজ চলছে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। জানা গেছে, গত ২ জুন রামুর রাজারকুলের তসলিমা আকতার ও চকরিয়ার বরইতলীর আব্দুল কাদের বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।