সদ্য সমাপ্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। গাজীপুর নগরীর সার্বিক উন্নতির কথা বিবেচনা করে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
গাজীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, দুই-চার দিনের মধ্যে আজমত উল্লা খান সরকারি এই দায়িত্ব পাচ্ছেন। সিটি করপোরেশন গঠনের পর থেকে বঞ্চিত নগরবাসীর উন্নয়নের জন্য এই দায়িত্ব দেওয়া হবে আজমত উল্লা খানকে। সিটি নির্বাচন পরবর্তী দলের মূল্যায়ন সভায় গতকাল বুধবার রাতে গাজীপুরে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘গাজীপুরবাসীর কল্যাণে অনেক কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ জন্য একজন যোগ্য ও সৎ লোকের প্রয়োজন। গাজীপুরবাসীর স্বপ্ন ছিল আজমত উল্লা খানের মতো যোগ্য ব্যক্তি যদি এ সিটি গড়ার সুযোগ পান। কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতার কাছে নৌকা হেরে গেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেহেতু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে। সে সুবাদে সরকারের হাতেও কিছু ক্ষমতা থাকে, সরকারের নিজস্ব কিছু ক্ষমতা থাকে। গাজীপুরে বসবাসকারী ৪৫ লাখের বেশি মানুষ যাতে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত না হন, সে জন্য সরকার আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরবাসীর প্রত্যাশা পূরণের জন্য খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেবেন। সরকারি অর্থে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করে নগরবাসীকে আরও উন্নত সেবা দেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে আজমত উল্লা খানকে।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর অতি নিকটবর্তী, ক্রমবিকাশমান শিল্প কারখানা সমৃদ্ধ গাজীপুরকে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন। এ কারণে তিনি গাজীপুর ও টঙ্গী পৌরসভা এবং আশপাশের পুবাইল, বাসন, গাছা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, কাউলতিয়া ইউনিয়নকে নিয়ে ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি গঠন করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন।’
ভারপ্রাপ্ত এই মেয়র বলেন, ‘সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিশ্বস্ত ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রথম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে গাজীপুরের গণমানুষের নেতা আজমত উল্লা খানকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু সে নির্বাচনে দলের মুখচেনা নেতার বিশ্বাসঘাতকতা ও দলীয় বিভাজনের কারণে তিনি জিততে পারেননি। তারপর থেকে গাজীপুর নগরবাসী পরিকল্পিত উন্নয়ন ও কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। সর্বশেষ নির্বাচনে আবারও আজমত উল্লা খানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু এবারও একই ব্যক্তির বিশ্বাসঘাতকতা ও অবৈধ টাকার প্রভাবে তিনি সফল হতে পারেননি। এ কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরকে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারিভাবে আজমত উল্লাকে দায়িত্ব দিতে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, শিগগিরই আজমত উল্লা খানকে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গাজীপুরকে পরিকল্পিত ও আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী সব রকম সহযোগিতা করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ক্রমবিকাশমান গাজীপুর নগরীকে একটি আধুনিক, সুপরিকল্পিত, শিল্প ও আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন পাস হয়। ২০২২ সালের নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন নতুন এ সংস্থাটি গঠিত হয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আদলে।
গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর থেকে সরকারের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আজমত উল্লা প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধিভুক্ত এলাকা হচ্ছে রাজধানী ঘেঁষা তুরাগ নদের উত্তর পাশে ৩২৯.৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা। নাগরিকদের উত্তম সেবাদানের লক্ষ্যে অধিক্ষেত্রকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৮টি জোনের মধ্যে প্রতি দুটি নিয়ে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি জোন করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে জোন ১ (টঙ্গী-পুবাইল), জোন ২ (গাছা-জয়দেবপুর), জোন ৩ (কাউলতিয়া-বাসন) এবং জোন ৪ (কোনাবাড়ী-কাশিমপুর)।
এ বিষয়ে চাইলে আজমত উল্লা খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২৮ মার্চ সাক্ষাৎ করার সময় তিনি আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। আমার কারণে নির্বাচনে পরাজয় হয়েছে, এমনটি তিনি মনে করেন না। তিনি আমাকে বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করে সৎ ও ত্যাগী নেতাদের নিয়ে দল পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আমাকে যখন যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তা সৎভাবে পালন করেছি। ভবিষ্যতে তিনি যে দায়িত্ব দেবেন, আমি তা পবিত্র আমানত মনে করে সঠিকভাবে পালন করব।’
গাজীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, দুই-চার দিনের মধ্যে আজমত উল্লা খান সরকারি এই দায়িত্ব পাচ্ছেন। সিটি করপোরেশন গঠনের পর থেকে বঞ্চিত নগরবাসীর উন্নয়নের জন্য এই দায়িত্ব দেওয়া হবে আজমত উল্লা খানকে। সিটি নির্বাচন পরবর্তী দলের মূল্যায়ন সভায় গতকাল বুধবার রাতে গাজীপুরে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘গাজীপুরবাসীর কল্যাণে অনেক কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ জন্য একজন যোগ্য ও সৎ লোকের প্রয়োজন। গাজীপুরবাসীর স্বপ্ন ছিল আজমত উল্লা খানের মতো যোগ্য ব্যক্তি যদি এ সিটি গড়ার সুযোগ পান। কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতার কাছে নৌকা হেরে গেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেহেতু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে। সে সুবাদে সরকারের হাতেও কিছু ক্ষমতা থাকে, সরকারের নিজস্ব কিছু ক্ষমতা থাকে। গাজীপুরে বসবাসকারী ৪৫ লাখের বেশি মানুষ যাতে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত না হন, সে জন্য সরকার আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরবাসীর প্রত্যাশা পূরণের জন্য খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেবেন। সরকারি অর্থে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করে নগরবাসীকে আরও উন্নত সেবা দেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে আজমত উল্লা খানকে।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর অতি নিকটবর্তী, ক্রমবিকাশমান শিল্প কারখানা সমৃদ্ধ গাজীপুরকে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন। এ কারণে তিনি গাজীপুর ও টঙ্গী পৌরসভা এবং আশপাশের পুবাইল, বাসন, গাছা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, কাউলতিয়া ইউনিয়নকে নিয়ে ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি গঠন করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন।’
ভারপ্রাপ্ত এই মেয়র বলেন, ‘সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিশ্বস্ত ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রথম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে গাজীপুরের গণমানুষের নেতা আজমত উল্লা খানকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু সে নির্বাচনে দলের মুখচেনা নেতার বিশ্বাসঘাতকতা ও দলীয় বিভাজনের কারণে তিনি জিততে পারেননি। তারপর থেকে গাজীপুর নগরবাসী পরিকল্পিত উন্নয়ন ও কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। সর্বশেষ নির্বাচনে আবারও আজমত উল্লা খানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু এবারও একই ব্যক্তির বিশ্বাসঘাতকতা ও অবৈধ টাকার প্রভাবে তিনি সফল হতে পারেননি। এ কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরকে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারিভাবে আজমত উল্লাকে দায়িত্ব দিতে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, শিগগিরই আজমত উল্লা খানকে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গাজীপুরকে পরিকল্পিত ও আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী সব রকম সহযোগিতা করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ক্রমবিকাশমান গাজীপুর নগরীকে একটি আধুনিক, সুপরিকল্পিত, শিল্প ও আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন পাস হয়। ২০২২ সালের নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন নতুন এ সংস্থাটি গঠিত হয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আদলে।
গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর থেকে সরকারের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আজমত উল্লা প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধিভুক্ত এলাকা হচ্ছে রাজধানী ঘেঁষা তুরাগ নদের উত্তর পাশে ৩২৯.৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা। নাগরিকদের উত্তম সেবাদানের লক্ষ্যে অধিক্ষেত্রকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৮টি জোনের মধ্যে প্রতি দুটি নিয়ে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি জোন করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে জোন ১ (টঙ্গী-পুবাইল), জোন ২ (গাছা-জয়দেবপুর), জোন ৩ (কাউলতিয়া-বাসন) এবং জোন ৪ (কোনাবাড়ী-কাশিমপুর)।
এ বিষয়ে চাইলে আজমত উল্লা খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২৮ মার্চ সাক্ষাৎ করার সময় তিনি আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। আমার কারণে নির্বাচনে পরাজয় হয়েছে, এমনটি তিনি মনে করেন না। তিনি আমাকে বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করে সৎ ও ত্যাগী নেতাদের নিয়ে দল পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আমাকে যখন যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তা সৎভাবে পালন করেছি। ভবিষ্যতে তিনি যে দায়িত্ব দেবেন, আমি তা পবিত্র আমানত মনে করে সঠিকভাবে পালন করব।’