এবার ভারতের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রথম দিকে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ইঙ্গিত দিলেও এর পরপরই প্রেক্ষাপট পাল্টে যেতে থাকে। মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে পেছনে ফেলে রাহুল গান্ধীর ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করবে কি না সেই সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। এ সময় জানা গেল নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেয়ার তারিখ।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার (৫ জুন) হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আগামী শনিবার (৮ জুন) শপথ নিতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রুপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ১৭তম লোকসভা ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। লোকসভার ৫৪৩ আসনের ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)। তবে এবারের নির্বাচনে বেশ চমক দেখিয়েছে গত দুই লোকসভা নির্বাচনে চরমভাবে পিছিয়ে পড়া কংগ্রেস। এবার দলটি জয় পেয়েছে ৯৯টি আসনে।
এদিকে জোট হিসেবে এনডিএ- জয় পেয়েছে ২৯৩ আসনে এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ার’ দখলে গেছে ২৩৩টি আসন। এছাড়া অন্যান্য দলগুলো ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মিলে পেয়েছে ১৭টি আসন। তবে দল হিসেবে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ২৪২টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি।
এছাড়া তাদের জোটসঙ্গী দলগুলোর মধ্যে টিডিপি (তেলেগু দেশাম পার্টি) পেয়েছে ১৬টি এবং বিহারের নিতীশ কুমারের দল জনতা দল (ইউনাইটেড) পেয়েছে ১২টি আসন। এই নিতীশ কুমার ভারতের রাজনীতিতে দল পাল্টানোর হিড়িকে সবাইকে ছাড়িয়ে।
এদিকে, সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার (৫ জুন) শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের। এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুন) খবর পাওয়া যায়, ‘কিং মেকার’ চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমারকে ইন্ডিয়া জোটে ভেড়াতে তাদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই আলোচনা কোনোভাবে সফল হলে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যাওয়ার মোদির স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। কারণ, টিডিপি আর জনতা দল যদি এনডিএ ছেড়ে যায় তাহলে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসনের কোটা পূরণে ব্যর্থ হবে বিজেপি। অন্যদিকে, নাইডু-নীতিশের ২৮ আসনের ওপর ম্যাজিক ফিগার ২৭২ এর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে ইন্ডিয়া জোট। তখন মাত্র ১৩টি আসন দরকার হবে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বধীন জোটের।
এদিকে ভোটারদের দ্বিধাবিভক্ত রায়ে এমন টানাপোড়েনের মধ্যেই ‘রহস্যজনক গতিবিধি’ দেখা গেছে নীতিশ কুমারের। মঙ্গলবার ফল প্রকাশের পর ইন্ডিয়া জোটে থাকা আরজেডির শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে একই উড়োজাহাজে নয়াদিল্লি সফরে যান নীতিশ।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার (৫ জুন) হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আগামী শনিবার (৮ জুন) শপথ নিতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রুপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ১৭তম লোকসভা ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। লোকসভার ৫৪৩ আসনের ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)। তবে এবারের নির্বাচনে বেশ চমক দেখিয়েছে গত দুই লোকসভা নির্বাচনে চরমভাবে পিছিয়ে পড়া কংগ্রেস। এবার দলটি জয় পেয়েছে ৯৯টি আসনে।
এদিকে জোট হিসেবে এনডিএ- জয় পেয়েছে ২৯৩ আসনে এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ার’ দখলে গেছে ২৩৩টি আসন। এছাড়া অন্যান্য দলগুলো ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মিলে পেয়েছে ১৭টি আসন। তবে দল হিসেবে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ২৪২টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি।
এছাড়া তাদের জোটসঙ্গী দলগুলোর মধ্যে টিডিপি (তেলেগু দেশাম পার্টি) পেয়েছে ১৬টি এবং বিহারের নিতীশ কুমারের দল জনতা দল (ইউনাইটেড) পেয়েছে ১২টি আসন। এই নিতীশ কুমার ভারতের রাজনীতিতে দল পাল্টানোর হিড়িকে সবাইকে ছাড়িয়ে।
এদিকে, সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার (৫ জুন) শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের। এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুন) খবর পাওয়া যায়, ‘কিং মেকার’ চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমারকে ইন্ডিয়া জোটে ভেড়াতে তাদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই আলোচনা কোনোভাবে সফল হলে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যাওয়ার মোদির স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। কারণ, টিডিপি আর জনতা দল যদি এনডিএ ছেড়ে যায় তাহলে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসনের কোটা পূরণে ব্যর্থ হবে বিজেপি। অন্যদিকে, নাইডু-নীতিশের ২৮ আসনের ওপর ম্যাজিক ফিগার ২৭২ এর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে ইন্ডিয়া জোট। তখন মাত্র ১৩টি আসন দরকার হবে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বধীন জোটের।
এদিকে ভোটারদের দ্বিধাবিভক্ত রায়ে এমন টানাপোড়েনের মধ্যেই ‘রহস্যজনক গতিবিধি’ দেখা গেছে নীতিশ কুমারের। মঙ্গলবার ফল প্রকাশের পর ইন্ডিয়া জোটে থাকা আরজেডির শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে একই উড়োজাহাজে নয়াদিল্লি সফরে যান নীতিশ।