এবার প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের চারটি উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলার জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাটের একাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের পাশের নিজপাট গ্রামে গভীর রাতেই পানি ঢুকে পড়ে। রাতভর শঙ্কায় থেকে সকালে ঝুঁকি নিয়ে উচু স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করেন ভুক্তভোগীরা। যেসব বাসিন্দারা আগে গ্রাম ছেড়েছেন, তারা খাবার সঙ্কটে ভুগছেন।
গ্রামটির একজন বাসিন্দা বলেন, গতকাল থেকে না খেয়ে রয়েছি। কোনো সাহায্য পাইনি। অপর একজন বাসিন্দা বলেন, খাবার ছাড়া খুব কষ্টে দিনপার করছি। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরের ঢুলটির পাড় গ্রামে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। নিজেদের শেষ সম্বলটুকু নিয়ে বাসিন্দারা নৌকায় উঠে পড়েন।
ঢুলটির পাড় গ্রামের একজন বাসিন্দা বলেন, বাড়িয়ে প্রায় কোমর সমান পানি উঠেছে। কেউ সাহায্য করতে আসেনি। আরেকজন বাসিন্দা বলেন, সারারাত বাচ্চাদের নিয়ে পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অপরদিকে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলা সদরের সাথে কানাইঘাট উপজেলায় যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। সদরের বাজারগুলোও বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় একজন বলেন, রাতে পানি বেশি ছিল। বর্তমানে পানি একটু কম, তবুও নিরাপদে নেই। আরেকজন বলেন, গতরাত থেকে সকাল পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। এতে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড তলিয়ে গেছে।
অন্যদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার আড়াইলাখ মানুষও পাহাড়ি ঢলের পানিতে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। জকিগঞ্জে কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বন্যা কবলিত উপজেলাগুলো পরিদর্শন করছেন। তিনি বলেন, মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জৈন্তাপুর ও কানাইঘাটে পানির পরিমাণ বেশি। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে বলেও জানান তিনি। এমন পরিস্থিতি আরও দুই থেকে তিনদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের পাশের নিজপাট গ্রামে গভীর রাতেই পানি ঢুকে পড়ে। রাতভর শঙ্কায় থেকে সকালে ঝুঁকি নিয়ে উচু স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করেন ভুক্তভোগীরা। যেসব বাসিন্দারা আগে গ্রাম ছেড়েছেন, তারা খাবার সঙ্কটে ভুগছেন।
গ্রামটির একজন বাসিন্দা বলেন, গতকাল থেকে না খেয়ে রয়েছি। কোনো সাহায্য পাইনি। অপর একজন বাসিন্দা বলেন, খাবার ছাড়া খুব কষ্টে দিনপার করছি। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরের ঢুলটির পাড় গ্রামে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। নিজেদের শেষ সম্বলটুকু নিয়ে বাসিন্দারা নৌকায় উঠে পড়েন।
ঢুলটির পাড় গ্রামের একজন বাসিন্দা বলেন, বাড়িয়ে প্রায় কোমর সমান পানি উঠেছে। কেউ সাহায্য করতে আসেনি। আরেকজন বাসিন্দা বলেন, সারারাত বাচ্চাদের নিয়ে পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অপরদিকে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলা সদরের সাথে কানাইঘাট উপজেলায় যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। সদরের বাজারগুলোও বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় একজন বলেন, রাতে পানি বেশি ছিল। বর্তমানে পানি একটু কম, তবুও নিরাপদে নেই। আরেকজন বলেন, গতরাত থেকে সকাল পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। এতে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড তলিয়ে গেছে।
অন্যদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার আড়াইলাখ মানুষও পাহাড়ি ঢলের পানিতে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। জকিগঞ্জে কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বন্যা কবলিত উপজেলাগুলো পরিদর্শন করছেন। তিনি বলেন, মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জৈন্তাপুর ও কানাইঘাটে পানির পরিমাণ বেশি। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে বলেও জানান তিনি। এমন পরিস্থিতি আরও দুই থেকে তিনদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।