ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে টানা ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আনোয়ারুল আজিম আনার। দীর্ঘ এই সময়ে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের জন্য তার এলাকায় সুনাম রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এলাকায় কেউ মরা গেলে তিনি তার বড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করতেন এবং শোকার্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতেন।
নিজে অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে দিতেন। করোনাকালে রোগীদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখতেন তিনি। ২০২২ সালে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার স্থানীয় একটি পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেল চালাতে পারতেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে আনার বলেছিলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় উত্তর-দক্ষিণ বঙ্গের প্রধান সড়কে যানবাহনের চাপ সবসময় বেশি থাকে এবং প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলে হাইওয়ে থানা, পুলিশ বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। তবে আমি মোটরসাইকেলে চড়ার কারণে সবার আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছাই।’
তিনি আরও বলেছিলেন, একদিন তার নির্বাচনী এলাকায় একটি বাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে বাসের সব যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিক লোকজন নিয়ে তিনি সবাইকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে বেশিরভাগ যাত্রী গুরুতর আহত হওয়ার চিকিৎসকরা তাদেরকে যশোর সদর হাসপাতলে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে দুটি অ্যাম্বুলেন্স আছে কিন্তু ওই মুহূর্ত ড্রাইভার ছিল না। এদিকে গুরুতর আহত যাত্রীরা মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন। তখন নিজেই ড্রাইভিং করে আহতদের যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা মেলায় তারা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। আল্লাহর হুকুম ছিল, যে কারণেই এটি সম্ভব হয়েছিল। যদি সঠিক সময় গুরুতর আহতদের হাসপাতালে না নেওয়া যেত হয়তো অনেক প্রাণহানি ঘটতে পারত।’
আরেক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এমপি আনার বলেছিলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার মালিয়াট ইউনিয়নের ভিটেখোলা নামের একটি জায়গার এক বাসিন্দা ঢাকায় মারা গিয়েছিলেন। তখন বর্ষা মৌসুম ছিল। মৃত ব্যক্তির বাড়ি যাওয়ার পথে একটি কাঁচা রাস্তা ছিল। যখন মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা থেকে এসেছে তখন ড্রাইভার বললো পাকা রাস্তা থেকে আর কাঁচা রাস্তায় যাবে না। তার ভয় ছিল, কাচা রাস্তায় গর্ত আছে কিনা, গাড়ি আটকে যায় কিনা।
তখন সে অ্যাম্বুলেন্সের স্টার্ট বন্ধ করে চাবি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমিও মোটরসাইকেল চালিয়ে জানাজার উদ্দেশে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথেই দেখলাম মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ড্রাইভারের তুমুল ঝগড়া। ড্রাইভার কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাবেই না। তখন আমি অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার থেকে চাবিটা নিলাম। ড্রাইভারকে বললাম, তোমার গাড়ির দায়িত্ব আমার, আমিই গাড়ি চালিয়ে যাব। তখন আমি নিজেই আস্তে আস্তে অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে মরদেহ পৌঁছে দিয়েছিলাম।’
এদিকে আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনে কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা সকাল থেকে জড়ো হওয়া শুরু করেন। অনেকেই এমপির মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে পুরো এলাকায় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এমপি আনারের এ ধরনের মৃত্যু তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না আত্মীয়স্বজন, নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
নিজে অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে দিতেন। করোনাকালে রোগীদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখতেন তিনি। ২০২২ সালে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার স্থানীয় একটি পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেল চালাতে পারতেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে আনার বলেছিলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় উত্তর-দক্ষিণ বঙ্গের প্রধান সড়কে যানবাহনের চাপ সবসময় বেশি থাকে এবং প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলে হাইওয়ে থানা, পুলিশ বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। তবে আমি মোটরসাইকেলে চড়ার কারণে সবার আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছাই।’
তিনি আরও বলেছিলেন, একদিন তার নির্বাচনী এলাকায় একটি বাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে বাসের সব যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিক লোকজন নিয়ে তিনি সবাইকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে বেশিরভাগ যাত্রী গুরুতর আহত হওয়ার চিকিৎসকরা তাদেরকে যশোর সদর হাসপাতলে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে দুটি অ্যাম্বুলেন্স আছে কিন্তু ওই মুহূর্ত ড্রাইভার ছিল না। এদিকে গুরুতর আহত যাত্রীরা মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন। তখন নিজেই ড্রাইভিং করে আহতদের যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা মেলায় তারা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। আল্লাহর হুকুম ছিল, যে কারণেই এটি সম্ভব হয়েছিল। যদি সঠিক সময় গুরুতর আহতদের হাসপাতালে না নেওয়া যেত হয়তো অনেক প্রাণহানি ঘটতে পারত।’
আরেক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এমপি আনার বলেছিলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার মালিয়াট ইউনিয়নের ভিটেখোলা নামের একটি জায়গার এক বাসিন্দা ঢাকায় মারা গিয়েছিলেন। তখন বর্ষা মৌসুম ছিল। মৃত ব্যক্তির বাড়ি যাওয়ার পথে একটি কাঁচা রাস্তা ছিল। যখন মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা থেকে এসেছে তখন ড্রাইভার বললো পাকা রাস্তা থেকে আর কাঁচা রাস্তায় যাবে না। তার ভয় ছিল, কাচা রাস্তায় গর্ত আছে কিনা, গাড়ি আটকে যায় কিনা।
তখন সে অ্যাম্বুলেন্সের স্টার্ট বন্ধ করে চাবি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমিও মোটরসাইকেল চালিয়ে জানাজার উদ্দেশে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথেই দেখলাম মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ড্রাইভারের তুমুল ঝগড়া। ড্রাইভার কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাবেই না। তখন আমি অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার থেকে চাবিটা নিলাম। ড্রাইভারকে বললাম, তোমার গাড়ির দায়িত্ব আমার, আমিই গাড়ি চালিয়ে যাব। তখন আমি নিজেই আস্তে আস্তে অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে মরদেহ পৌঁছে দিয়েছিলাম।’
এদিকে আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনে কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা সকাল থেকে জড়ো হওয়া শুরু করেন। অনেকেই এমপির মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে পুরো এলাকায় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এমপি আনারের এ ধরনের মৃত্যু তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না আত্মীয়স্বজন, নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।