প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইব্রাহিম রইসি দায়িত্ব নেয়ার পর ২০২১ সাল থেকেই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন হোসেন আমির আবদোল্লাহিয়ান। মন্ত্রী হওয়ার আগেও দুই দফা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি আকবর সালেহির অধীনে কাজ করার পর আবার একই মন্ত্রণালয়ে কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন মোহাম্মদ জাভেদ মন্ত্রী থাকাকালীন।
এদিকে ৬০ বছর বয়সী আমির আবদোল্লাহিয়ান দায়িত্ব নেয়ার পর, ইসরায়েলের সাথে একদিকে যেমন ইরানের উত্তেজনা বেড়েছে তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বেড়েছে পশ্চিমা চাপ-নিষেধাজ্ঞা। পরমাণু কর্মসূচি নিয়েও বিশ্ব মোড়লদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তেহরানকে।
সব উপেক্ষা করেই নিজেদের কট্টোর পররাষ্ট্রনীতিতে অটল থেকে শক্ত হাতে সামলেছেন আন্তর্জাতিক চাপ। পশ্চিমাদের সাথে দূরত্ব বাড়লেও সম্পর্ক উন্নয়ন করেছেন চীন-রাশিয়ার মতো দেশগুলোর সাথে। অনেক দেশের কাছে বিতর্কিত ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিভিন্ন সময় সাফাইও গেছেন এই বাহিনীর। গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর ইসরায়েল বিরোধী যে কঠোর অবস্থান ইরানের, তা প্রতিনিয়তি তুলে ধরেছেন আবদোল্লাহিয়ান। হামাসের নেতাদের সাথে বৈঠক, তুরস্ক, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের একের পর এক সফর করেছেন এই মন্ত্রী।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর তার তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি তো দিয়েছেনই, পাশাপাশি প্রথমবার ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলার পরও কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছেন। বিশ্ব রাজনীতিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির শক্ত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার।
দীর্ঘদিন ধরে বৈরিতা থাকা সৌদি আরবের সাথে আব্দোলাহিয়ানের নেতৃত্বেই ২০২৩ সালে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয় ইরানের। উত্তেজনা কমিয়েছেন প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবানের সাথেও।
পাকিস্তানে ইরানের হামলার পর তৈরি হওয়া উত্তেজনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই কূটনীতিকের। তাই বলাই যায়, হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে ইরান একজন দক্ষ কূটনীতিককে হারিয়েছেন। তার বিদায়ে বড়ই ক্ষতি হয়েছে তেহরানের।
এদিকে ৬০ বছর বয়সী আমির আবদোল্লাহিয়ান দায়িত্ব নেয়ার পর, ইসরায়েলের সাথে একদিকে যেমন ইরানের উত্তেজনা বেড়েছে তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বেড়েছে পশ্চিমা চাপ-নিষেধাজ্ঞা। পরমাণু কর্মসূচি নিয়েও বিশ্ব মোড়লদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তেহরানকে।
সব উপেক্ষা করেই নিজেদের কট্টোর পররাষ্ট্রনীতিতে অটল থেকে শক্ত হাতে সামলেছেন আন্তর্জাতিক চাপ। পশ্চিমাদের সাথে দূরত্ব বাড়লেও সম্পর্ক উন্নয়ন করেছেন চীন-রাশিয়ার মতো দেশগুলোর সাথে। অনেক দেশের কাছে বিতর্কিত ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিভিন্ন সময় সাফাইও গেছেন এই বাহিনীর। গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর ইসরায়েল বিরোধী যে কঠোর অবস্থান ইরানের, তা প্রতিনিয়তি তুলে ধরেছেন আবদোল্লাহিয়ান। হামাসের নেতাদের সাথে বৈঠক, তুরস্ক, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের একের পর এক সফর করেছেন এই মন্ত্রী।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর তার তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি তো দিয়েছেনই, পাশাপাশি প্রথমবার ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলার পরও কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছেন। বিশ্ব রাজনীতিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির শক্ত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার।
দীর্ঘদিন ধরে বৈরিতা থাকা সৌদি আরবের সাথে আব্দোলাহিয়ানের নেতৃত্বেই ২০২৩ সালে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয় ইরানের। উত্তেজনা কমিয়েছেন প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবানের সাথেও।
পাকিস্তানে ইরানের হামলার পর তৈরি হওয়া উত্তেজনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই কূটনীতিকের। তাই বলাই যায়, হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে ইরান একজন দক্ষ কূটনীতিককে হারিয়েছেন। তার বিদায়ে বড়ই ক্ষতি হয়েছে তেহরানের।