প্রকাশ হয়েছে এসএসসির ফলাফল। আশানুরূপ ফল না হওয়ায় ফল ঘোষণার পর কয়েকজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ওই পোস্টে তিনি বলেন, 'এসএসসির ফলাফল প্রকাশের পর আটজন পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এটা গণমাধ্যমে আসা খবর। প্রকৃত সংখ্যাটা আরো বেশি হতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, 'আত্মহত্যার মূল কারণ ধর্মীয় শিক্ষার অভাব। দীনি দিক্ষা পাওয়া মানুষ হতাশ হতে পারে না। কারণ, তার ভরসার জায়গা আছে। পার্থিব জীবনের ক্ষণস্থায়ী দুঃখ থেকে বাঁচতে সে জাহান্নামের আযাবে ঝাঁপ দিতে পারে না।
পরীক্ষার পাস-ফেলই সফলতা কিংবা বিফলতার মানদণ্ড নয়। অনেক ফেল করা ছাত্র কর্মজীবনে সফল হয়। আবার ঈর্ষণীয় রেজাল্টের পরও অনেকের কর্মজীবন সুখের হয় না। এর অসংখ্য উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে আছে। সামগ্রিক জীবনের তুলনায় পরীক্ষার রেজাল্ট বিশেষ বড় কোনো ঘটনা নয়।'
তিনি বলেন, 'সন্তানদের আত্মহত্যার পেছনে অনেক বাবা-মারও দায় থাকে। নিজেদের অপূর্ণ স্বপ্নের বোঝা তারা এমনভাবে চাপিয়ে দেন সন্তানের কাঁধে, সেই ভার আর তারা বইতে পারে না। ফলে চক্ষুলজ্জায় তারা আত্মহননের পথ বেছে নেয়।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের চেয়ে বেশি জরুরি ভালো মানুষ হওয়া। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের নৈতিক ও দীনি চেতনা সমৃদ্ধ ভালো মানুষ বানাতে পারি, তবে এই ব্যাধি থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব। নয়তো এই সংখ্যাটা দিন দিন আরো বাড়তেই থাকবে।'
একই পোস্টের কমেন্ট বক্সে আবার লেখেন, 'ভোগবাদী সমাজের প্রভাবে আজকাল বেশিরভাগ বাবা-মা অর্থ ও প্রতিপত্তির পেছনে জীবন ব্যয় করেন। পাশাপাশি সন্তানকেও টাকার মেশিন বানাতে চান। পরীক্ষা, ফলাফল, চাকরি, ক্যারিয়ার—এসবই তাদের কাছে জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য। অথচ এই বিত্ত-বৈভব যে মানুষকে প্রকৃত সুখী করে না, তার বহু উদাহরণ আমাদের সামনে আছে।
তবুও আমরা স্রোতে গা ভাসাতর পছন্দ করি। মানুষের মতো মানুষ হওয়াটাকে জীবনের প্রকৃত স্বপ্ন বানাই না। এই মানসিকতার পরিবর্তন না হলে, প্রকৃত দীনদারিতা অবলম্বন না করলে চলমান এ দুরবস্থার পরিবর্তন হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আত্মহত্যার মূল কারণ ধর্মীয় শিক্ষার অভাব। দীনি দিক্ষা পাওয়া মানুষ হতাশ হতে পারে না। কারণ, তার ভরসার জায়গা আছে। পার্থিব জীবনের ক্ষণস্থায়ী দুঃখ থেকে বাঁচতে সে জাহান্নামের আযাবে ঝাঁপ দিতে পারে না।
পরীক্ষার পাস-ফেলই সফলতা কিংবা বিফলতার মানদণ্ড নয়। অনেক ফেল করা ছাত্র কর্মজীবনে সফল হয়। আবার ঈর্ষণীয় রেজাল্টের পরও অনেকের কর্মজীবন সুখের হয় না। এর অসংখ্য উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে আছে। সামগ্রিক জীবনের তুলনায় পরীক্ষার রেজাল্ট বিশেষ বড় কোনো ঘটনা নয়।'
তিনি বলেন, 'সন্তানদের আত্মহত্যার পেছনে অনেক বাবা-মারও দায় থাকে। নিজেদের অপূর্ণ স্বপ্নের বোঝা তারা এমনভাবে চাপিয়ে দেন সন্তানের কাঁধে, সেই ভার আর তারা বইতে পারে না। ফলে চক্ষুলজ্জায় তারা আত্মহননের পথ বেছে নেয়।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের চেয়ে বেশি জরুরি ভালো মানুষ হওয়া। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের নৈতিক ও দীনি চেতনা সমৃদ্ধ ভালো মানুষ বানাতে পারি, তবে এই ব্যাধি থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব। নয়তো এই সংখ্যাটা দিন দিন আরো বাড়তেই থাকবে।'
একই পোস্টের কমেন্ট বক্সে আবার লেখেন, 'ভোগবাদী সমাজের প্রভাবে আজকাল বেশিরভাগ বাবা-মা অর্থ ও প্রতিপত্তির পেছনে জীবন ব্যয় করেন। পাশাপাশি সন্তানকেও টাকার মেশিন বানাতে চান। পরীক্ষা, ফলাফল, চাকরি, ক্যারিয়ার—এসবই তাদের কাছে জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য। অথচ এই বিত্ত-বৈভব যে মানুষকে প্রকৃত সুখী করে না, তার বহু উদাহরণ আমাদের সামনে আছে।
তবুও আমরা স্রোতে গা ভাসাতর পছন্দ করি। মানুষের মতো মানুষ হওয়াটাকে জীবনের প্রকৃত স্বপ্ন বানাই না। এই মানসিকতার পরিবর্তন না হলে, প্রকৃত দীনদারিতা অবলম্বন না করলে চলমান এ দুরবস্থার পরিবর্তন হবে না।'