আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১১তম মাস জিলকদ। চন্দ্রবর্ষের চারটি মাসের মধ্যে এটি অন্যতম। রজব, জিলকদ, জিলহজ ও মহররমকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এই মাসগুলোয় যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ রয়েছে। এ কারণে আরব সংস্কৃতি অনুযায়ী, স্থানীয়রা এই মাসে যুদ্ধবিগ্রহ, অন্যায়-অপরাধ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি বিশ্রামে সময় অতিবাহিত করত।
অন্যদিকে, মর্জাদাপূর্ণ এই চার মাসের মধ্যে জিলকদ মাসে রাসুল (সা.) হজ পালন করেছেন। ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) চারবার উমরা করেছেন। হুদায়বিয়ার উমরার পরবর্তী বছর দ্বিতীয় উমরা ছিল জিলকদ মাসে কাজা উমরা হিসাবে। তৃতীয় উমরা হলো জিইররানা নামক নামক স্থান থেকে, চতুর্থ উমরা হলো তার হজ্জের সঙ্গে। (সুনান আত তিরমিজী, হাদিস: ৮১৫)
তবে জিলকদ মাসে কুরআন ও হাদিসে বিশেষভাবে কোনো আমলের কথা উল্লেখ নেই। এ ক্ষেত্রে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেমন অন্যান্য মাসে ফরজ, তেমনি জিলকদসহ সম্মানিত চারটি মাসেও তা আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো ব্যতিক্রম নেই।
তবে যেহেতু মহান আল্লাহ তায়ালা এই চারটি মাসকে সম্মানিত মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন, তাই আলেমগণ এই মাসগুলোয় ফরজ আদায়ের ক্ষেত্রে আরও বেশি যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে অন্যান্য যে ফরজ বিধানগুলো রয়েছে সেগুলোতেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেছেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কারও যদি ফজরের নামাজের ক্ষেত্রে গাফিলতি থাকে, তবে বিশেষ এই মাসের সম্মানে ফজরের নামাজ আদায়ের প্রতি আরও বেশি যত্নবান হওয়া উচিত। একইভাবে অন্যান্য যে ফরজ কাজ রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দেয়া উচিত।
এ ছাড়া এ মাস থেকেই জিলহজ মাসের ৯টি সুন্নত রোজা ও মহররম মাসের ১০টি রোজার প্রস্তুতি হিসাবে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখা যেতে পারে। হাদিসে প্রতি মাসে তিন দিন, আরাফাতের দিন, আশুরার দিন, সোম ও বৃহস্পতিবার সওম বা রোজা রাখার কথা এসেছে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৩৬)
অন্যদিকে, মর্জাদাপূর্ণ এই চার মাসের মধ্যে জিলকদ মাসে রাসুল (সা.) হজ পালন করেছেন। ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) চারবার উমরা করেছেন। হুদায়বিয়ার উমরার পরবর্তী বছর দ্বিতীয় উমরা ছিল জিলকদ মাসে কাজা উমরা হিসাবে। তৃতীয় উমরা হলো জিইররানা নামক নামক স্থান থেকে, চতুর্থ উমরা হলো তার হজ্জের সঙ্গে। (সুনান আত তিরমিজী, হাদিস: ৮১৫)
তবে জিলকদ মাসে কুরআন ও হাদিসে বিশেষভাবে কোনো আমলের কথা উল্লেখ নেই। এ ক্ষেত্রে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেমন অন্যান্য মাসে ফরজ, তেমনি জিলকদসহ সম্মানিত চারটি মাসেও তা আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো ব্যতিক্রম নেই।
তবে যেহেতু মহান আল্লাহ তায়ালা এই চারটি মাসকে সম্মানিত মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন, তাই আলেমগণ এই মাসগুলোয় ফরজ আদায়ের ক্ষেত্রে আরও বেশি যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে অন্যান্য যে ফরজ বিধানগুলো রয়েছে সেগুলোতেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেছেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কারও যদি ফজরের নামাজের ক্ষেত্রে গাফিলতি থাকে, তবে বিশেষ এই মাসের সম্মানে ফজরের নামাজ আদায়ের প্রতি আরও বেশি যত্নবান হওয়া উচিত। একইভাবে অন্যান্য যে ফরজ কাজ রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দেয়া উচিত।
এ ছাড়া এ মাস থেকেই জিলহজ মাসের ৯টি সুন্নত রোজা ও মহররম মাসের ১০টি রোজার প্রস্তুতি হিসাবে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখা যেতে পারে। হাদিসে প্রতি মাসে তিন দিন, আরাফাতের দিন, আশুরার দিন, সোম ও বৃহস্পতিবার সওম বা রোজা রাখার কথা এসেছে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৩৬)