রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আকাশ আধার করে কালবৈশাখীসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। দিনভর হাঁসফাঁস গরমের পর ঝড়-বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি নেমে এসেছে। এদিকে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বজ্রপাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুইজন, সাতক্ষীরায় দুইজন, যশোর, মেহেরপুর, রাজবাড়ী ও ঝিনাইদহে একজন করে মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় দু’জন আহত হয়েছেন। দুপুরে আমবাগানে আমে ব্যাগিং করার সময় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- শ্যামপুর গোপালনগর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে শাহিন আলী (১৩) এবং শরৎনগর গ্রামের হারুন আলীর ছেলে অসিম (১২)। আহতরা হলেন, লছমানপুর গ্রামের রোজবুল ইসলামের ছেলে মো. নয়ন (১৩) ও গোপালনগর গ্রামের কাশেদের ছেলে মো. সরোয়ার (১৫)। শ্যামপুর ইউপির চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে যশোরের শার্শায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে কামরুল ইসলাম (৩৫) নামে একজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলায় কায়বা গ্রামের বাসিন্দা। শার্শা থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে কায়বায় মাঠে ধান তোলার কাজ করছিলেন কয়েকজন কৃষক। এ সময় বজ্রপাত হলে কামরুল ইসলাম নিহত হন। তিনি মাঠ থেকে ধান নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
এর আগে বুধবার রাতে জেলার চৌগাছা পৌর শহরের তারিনিবাস এলাকার সাগর কুমার বিশ্বাস (২৪) নামে একজন বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।
চৌগাছা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাগর তাঁর বাবাসহ চারজন তারিনিবাস মাঠে ধান গুছিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢাকতে যান। এ সময় বজ্রপাত হলে সাগরের শরীরের বাম পাশ ঝলসে যায়। স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মৃত্যুঞ্জয় নামে একজন আহত হয়েছেন।
সাতক্ষীরার কলারোয়ার পাঁচরকি ও সদর উপজেলার বিহারীনগরে বজ্রপাতে দু’জন মারা গেছেন। নিহতরা হলেন কলারোয়ার পাঁচরকি গ্রামের কামরুল ইসলাম (৩৬) ও সদর উপজেলার বিহারীনগর গ্রামের আব্দুল্লাহ মোল্যা (৩৪)। কলারোয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাড়ির পাশের বিল থেকে বোরো ধান ওঠাচ্ছিলেন কামরুল ইসলাম। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, আগরদাড়ি এলাকার বিহারীনগর গ্রামের আব্দুল্লাহ মোল্যা মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির উঠানে আসা মাত্রই বজ্রপাত হলে তিনি নিহত হন।
ঝিনাইদহ সদরের বুরাপাড়া মাঠে ধানক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে সুজন মীর (৩১) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি কুবিরখালী গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বুরাপাড়া মাঠে নিজ জমিতে কেটে রাখা ধান ঢেকে রাখছিলেন সুজন মীর। সে সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের দেবীপুরে বজ্রপাতে সাইদুল মৃধা নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি একই ইউনিয়নের খালেক মৃধা পাড়ার জামাল মৃধার ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজেদের জমির ফসল তুলতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। দেবীপুর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, সাইদুলসহ তারা কয়েকজন নিজেদের ক্ষেতে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে সাইদুলের কান ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করে। তাৎক্ষণিক তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামে বজ্রপাতে শাহাবুদ্দিন (৩৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শাহাবুদ্দিন উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের বিদ্যাধরপুর গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, শাহাবুদ্দিনসহ কয়েকজন কৃষক মাঠে কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে দারিয়াপুর লাউ গড়ার মাঠ নামক স্থানে পৌঁছলে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে শাহাবুদ্দিন ঘটনাস্থলে নিহত হন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় দু’জন আহত হয়েছেন। দুপুরে আমবাগানে আমে ব্যাগিং করার সময় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- শ্যামপুর গোপালনগর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে শাহিন আলী (১৩) এবং শরৎনগর গ্রামের হারুন আলীর ছেলে অসিম (১২)। আহতরা হলেন, লছমানপুর গ্রামের রোজবুল ইসলামের ছেলে মো. নয়ন (১৩) ও গোপালনগর গ্রামের কাশেদের ছেলে মো. সরোয়ার (১৫)। শ্যামপুর ইউপির চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে যশোরের শার্শায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে কামরুল ইসলাম (৩৫) নামে একজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলায় কায়বা গ্রামের বাসিন্দা। শার্শা থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে কায়বায় মাঠে ধান তোলার কাজ করছিলেন কয়েকজন কৃষক। এ সময় বজ্রপাত হলে কামরুল ইসলাম নিহত হন। তিনি মাঠ থেকে ধান নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
এর আগে বুধবার রাতে জেলার চৌগাছা পৌর শহরের তারিনিবাস এলাকার সাগর কুমার বিশ্বাস (২৪) নামে একজন বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।
চৌগাছা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাগর তাঁর বাবাসহ চারজন তারিনিবাস মাঠে ধান গুছিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢাকতে যান। এ সময় বজ্রপাত হলে সাগরের শরীরের বাম পাশ ঝলসে যায়। স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মৃত্যুঞ্জয় নামে একজন আহত হয়েছেন।
সাতক্ষীরার কলারোয়ার পাঁচরকি ও সদর উপজেলার বিহারীনগরে বজ্রপাতে দু’জন মারা গেছেন। নিহতরা হলেন কলারোয়ার পাঁচরকি গ্রামের কামরুল ইসলাম (৩৬) ও সদর উপজেলার বিহারীনগর গ্রামের আব্দুল্লাহ মোল্যা (৩৪)। কলারোয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাড়ির পাশের বিল থেকে বোরো ধান ওঠাচ্ছিলেন কামরুল ইসলাম। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, আগরদাড়ি এলাকার বিহারীনগর গ্রামের আব্দুল্লাহ মোল্যা মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির উঠানে আসা মাত্রই বজ্রপাত হলে তিনি নিহত হন।
ঝিনাইদহ সদরের বুরাপাড়া মাঠে ধানক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে সুজন মীর (৩১) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি কুবিরখালী গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বুরাপাড়া মাঠে নিজ জমিতে কেটে রাখা ধান ঢেকে রাখছিলেন সুজন মীর। সে সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের দেবীপুরে বজ্রপাতে সাইদুল মৃধা নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি একই ইউনিয়নের খালেক মৃধা পাড়ার জামাল মৃধার ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজেদের জমির ফসল তুলতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। দেবীপুর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, সাইদুলসহ তারা কয়েকজন নিজেদের ক্ষেতে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে সাইদুলের কান ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করে। তাৎক্ষণিক তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামে বজ্রপাতে শাহাবুদ্দিন (৩৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শাহাবুদ্দিন উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের বিদ্যাধরপুর গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, শাহাবুদ্দিনসহ কয়েকজন কৃষক মাঠে কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে দারিয়াপুর লাউ গড়ার মাঠ নামক স্থানে পৌঁছলে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে শাহাবুদ্দিন ঘটনাস্থলে নিহত হন।