এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নির্মাণাধীন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলসহ বিভিন্ন ভবনের লিফট কিনতে ফিনল্যান্ডে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। আজ শনিবার (৪ মে) ভোরে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) নেতৃত্বে তারা রওনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, হলসহ বিভিন্ন ভবনের জন্য ১৭টি লিফট কেনার জন্য এ প্রতিনিধি দল ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন।
তবে ফিনল্যান্ড যাওয়া আসার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে না বলে জানা যায়। প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা।
এদিকে রেজিস্ট্রার ভবন থেকে তথ্য অনুযায়ী, লিফট কেনার প্রকল্প রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (আরএমআইএল) এর কাছে ন্যস্ত রয়েছে। তারাই প্রতিনিধিদের ফিনল্যান্ড নিয়ে যাবেন, লিফট দেখবেন এবং লিফট কেনার বিষয়ে স্বাক্ষর করবেন। তাছাড়া যেই লিফট পছন্দ করে কেনা হয়েছে সেটাই শিপমেন্ট করা হচ্ছে কি না সেটাও পরীক্ষা করবেন এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
সূত্র জানায়, প্রি–শিপমেন্ট ইন্সপেকশনের (পিএসআই) অংশ হিসেবে এ প্রতিনিধি দল ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন। ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিতে ব্যয়ের বিষয়টি উল্লেখ থাকায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কোনও ব্যয় বহন করবে না। তবে লিফট কিনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ হবে না বলা হলেও ভিন্ন মত রয়েছে অনেকের। তাদের মতে, দিন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়কেই খরচ বহন করতে হবে।
আপাত দৃষ্টিতে প্রতিনিধি দলের যাবতীয় খরচ ঠিকাদার বহন করলেও সেটা লিফটের খরচের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যার ফলে লিফটের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হবে। ঢাবির রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে জানা যায়, চলতি মাসের ২-৯ তারিখ পর্যন্ত তাদের ৮ দিনের ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে। তাদের সফরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশ সরকার কোনও আর্থিক খরচ বহন করবে না।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২০১১ সালে জারিকৃত এক স্মারকের ক্ষমতাবলে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর এক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য আপনাকে (উপ–উপাচার্য) বিদেশ গমনের অনুমতি দিয়েছেন।
ঢাবির রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার বলেন, প্রতিনিধি দল আজকে সকালেই ফিনল্যান্ডের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন। এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই। আমার কাজ ছুটি দেওয়া, আমি ছুটি দিয়েছি। বাকি সব কাজ ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের৷
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মো. আকরাম হোসেন বলেন, এটা নিয়ে এত আলোচনার কিছু দেখি না। বাংলাদেশের যে কোনও টেন্ডার নিলে সেখানে প্রি-শিপমেন্টের বিষয়টি সামনে আসে। লিফট কেনার ট্রেন্ডারেও তাই উল্লেখ করা আছে। এই বিষয়টি অধিক স্বচ্ছ করতে দুটি টিমও গঠন করা হয়েছিল। সেখান থেকেই দুজন প্রশাসনিক ও দুজন টেকনিক্যাল স্পেশালিষ্ট ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন। এর আগে রোকেয়া হলের লিফটের ট্রেন্ডার স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয়নি, কারণ সেখানে প্রশাসনের যোগসূত্র ছিল না। তাই এবার প্রতিনিধি দলকে ফিনল্যান্ড পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি দলের যাবতীয় খরচ লিফটের দামের সঙ্গে যুক্ত হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিফট কেনার আগে দরপত্রেই দাম উল্লেখ করা থাকে। এর বাইরে আলাদা কোনও খরচ বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে না। তবে প্রতিনিধি দলের যাবতীয় খরচ লিফটের দামের সঙ্গে যুক্ত কি না তা আমি বলতে পারবো না।
তবে ফিনল্যান্ড যাওয়া আসার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে না বলে জানা যায়। প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা।
এদিকে রেজিস্ট্রার ভবন থেকে তথ্য অনুযায়ী, লিফট কেনার প্রকল্প রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (আরএমআইএল) এর কাছে ন্যস্ত রয়েছে। তারাই প্রতিনিধিদের ফিনল্যান্ড নিয়ে যাবেন, লিফট দেখবেন এবং লিফট কেনার বিষয়ে স্বাক্ষর করবেন। তাছাড়া যেই লিফট পছন্দ করে কেনা হয়েছে সেটাই শিপমেন্ট করা হচ্ছে কি না সেটাও পরীক্ষা করবেন এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
সূত্র জানায়, প্রি–শিপমেন্ট ইন্সপেকশনের (পিএসআই) অংশ হিসেবে এ প্রতিনিধি দল ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন। ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিতে ব্যয়ের বিষয়টি উল্লেখ থাকায় ফিনল্যান্ড যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কোনও ব্যয় বহন করবে না। তবে লিফট কিনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ হবে না বলা হলেও ভিন্ন মত রয়েছে অনেকের। তাদের মতে, দিন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়কেই খরচ বহন করতে হবে।
আপাত দৃষ্টিতে প্রতিনিধি দলের যাবতীয় খরচ ঠিকাদার বহন করলেও সেটা লিফটের খরচের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যার ফলে লিফটের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হবে। ঢাবির রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে জানা যায়, চলতি মাসের ২-৯ তারিখ পর্যন্ত তাদের ৮ দিনের ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে। তাদের সফরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশ সরকার কোনও আর্থিক খরচ বহন করবে না।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২০১১ সালে জারিকৃত এক স্মারকের ক্ষমতাবলে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর এক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য আপনাকে (উপ–উপাচার্য) বিদেশ গমনের অনুমতি দিয়েছেন।
ঢাবির রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার বলেন, প্রতিনিধি দল আজকে সকালেই ফিনল্যান্ডের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন। এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই। আমার কাজ ছুটি দেওয়া, আমি ছুটি দিয়েছি। বাকি সব কাজ ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের৷
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মো. আকরাম হোসেন বলেন, এটা নিয়ে এত আলোচনার কিছু দেখি না। বাংলাদেশের যে কোনও টেন্ডার নিলে সেখানে প্রি-শিপমেন্টের বিষয়টি সামনে আসে। লিফট কেনার ট্রেন্ডারেও তাই উল্লেখ করা আছে। এই বিষয়টি অধিক স্বচ্ছ করতে দুটি টিমও গঠন করা হয়েছিল। সেখান থেকেই দুজন প্রশাসনিক ও দুজন টেকনিক্যাল স্পেশালিষ্ট ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন। এর আগে রোকেয়া হলের লিফটের ট্রেন্ডার স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয়নি, কারণ সেখানে প্রশাসনের যোগসূত্র ছিল না। তাই এবার প্রতিনিধি দলকে ফিনল্যান্ড পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি দলের যাবতীয় খরচ লিফটের দামের সঙ্গে যুক্ত হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিফট কেনার আগে দরপত্রেই দাম উল্লেখ করা থাকে। এর বাইরে আলাদা কোনও খরচ বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে না। তবে প্রতিনিধি দলের যাবতীয় খরচ লিফটের দামের সঙ্গে যুক্ত কি না তা আমি বলতে পারবো না।