এখন যদি গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হয় এবং স্বাভাবিক গতিতে সেখানে ঘর-বাড়ি, হাসপাতাল-পরিষেবা কেন্দ্র, রাস্তাঘাট ও আগেকার অন্যান্য অবকাঠামো পুণঃনির্মাণের কাজ শুরু হয়— সেক্ষেত্রে উপত্যকাকে ৭ অক্টোবরের হামলার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সময় লাগবে ৮০ বছর।
যদি পুণঃনির্মাণ ও পুনর্গঠনের কাজের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ গুণ বেশি উন্নীত করা হয়, তাহলেও উপত্যকাকে আগের মতো বসবাসযোগ্য করে তুলতে ২০৪০ সাল পেরিয়ে যাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি বিষয়ক প্রকল্প ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)।
সেখানে এ তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গত ৭ মাসের গোলা ও বোমা বর্ষণে নজিরবিহীন ভাবে তছনছ হয়ে গেছে গাজা। উপত্যকার অন্তত ৮০ হাজার ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং গোটা উপত্যকায় দারিদ্র্য বেড়েছে ভয়াবহভাবে।
এদিকে ইউএনডিপির প্রতিবেদনে অবশ্য গাজার ভবনগুলো পুণঃনির্মাণের পাশাপাশি জনগণের আর্থিক অবস্থাকেও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকেও ধরা হয়েছে।
ইউএনডিপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা অ্যাশিম স্টেইনার রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অভূতপূর্ব মাত্রার প্রাণহানি, অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়া এবং দারিদ্র্যের ব্যাপক উল্লম্ফণের কারণে গাজায় সার্বিক যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে— তা স্বল্প সময়ের মধ্যে কাটিয়ে ওঠা একেবারেই সম্ভব নয়। এই যুদ্ধ গাজার আগামী কয়েক প্রজন্মের ভবিষ্যৎকে বিপদে ফেলে দিয়েছে।’
গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্তে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলা এবং ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।
প্রতিবেদনে ইউএনডিপি বলেছে, যুদ্ধের মধ্যে ২০৩০ সালের ডিসেম্বরে গাজার মোট জনসংখ্যার মধ্যে দরিদ্রের হার ছিল ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ। বর্তমানে যুদ্ধ ৬ মাস পেরিয়ে ৭ মাসে পা দিয়েছে; যদি ৯ মাস পর্যন্ত এই অবস্থা থাকে, তাহলে গাজায় দরিদ্রদের হার পৌঁছাবে ৬০ দশমিক ৭ শতাংশে। ‘এর অর্থ, যুদ্ধ আর দু’মাস অব্যাহত থাকলে গাজায় মধ্যবিত্ত বলে কোনো শ্রেনীর অবস্থান আর থাকবে না,।
এদিকে এর আগে বুধবার জাতিসংঘের আরেক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনমাস) জানিয়েছিল, রুশ বাহিনীর গত দুই বছরের অভিযানে ইউক্রেনে যত ধ্বংসস্তূপ হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গত ৭ মাসের অভিযানে যে পরিমাণ ধ্বংস্তূপ জমেছে, তা ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর গত দুই বছরে জমা ধ্বংস্তূপকে ছাড়িয়ে গেছে। সূত্র : রয়টার্স, এনবিসি
যদি পুণঃনির্মাণ ও পুনর্গঠনের কাজের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ গুণ বেশি উন্নীত করা হয়, তাহলেও উপত্যকাকে আগের মতো বসবাসযোগ্য করে তুলতে ২০৪০ সাল পেরিয়ে যাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি বিষয়ক প্রকল্প ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)।
সেখানে এ তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গত ৭ মাসের গোলা ও বোমা বর্ষণে নজিরবিহীন ভাবে তছনছ হয়ে গেছে গাজা। উপত্যকার অন্তত ৮০ হাজার ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং গোটা উপত্যকায় দারিদ্র্য বেড়েছে ভয়াবহভাবে।
এদিকে ইউএনডিপির প্রতিবেদনে অবশ্য গাজার ভবনগুলো পুণঃনির্মাণের পাশাপাশি জনগণের আর্থিক অবস্থাকেও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকেও ধরা হয়েছে।
ইউএনডিপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা অ্যাশিম স্টেইনার রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অভূতপূর্ব মাত্রার প্রাণহানি, অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়া এবং দারিদ্র্যের ব্যাপক উল্লম্ফণের কারণে গাজায় সার্বিক যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে— তা স্বল্প সময়ের মধ্যে কাটিয়ে ওঠা একেবারেই সম্ভব নয়। এই যুদ্ধ গাজার আগামী কয়েক প্রজন্মের ভবিষ্যৎকে বিপদে ফেলে দিয়েছে।’
গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্তে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলা এবং ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।
প্রতিবেদনে ইউএনডিপি বলেছে, যুদ্ধের মধ্যে ২০৩০ সালের ডিসেম্বরে গাজার মোট জনসংখ্যার মধ্যে দরিদ্রের হার ছিল ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ। বর্তমানে যুদ্ধ ৬ মাস পেরিয়ে ৭ মাসে পা দিয়েছে; যদি ৯ মাস পর্যন্ত এই অবস্থা থাকে, তাহলে গাজায় দরিদ্রদের হার পৌঁছাবে ৬০ দশমিক ৭ শতাংশে। ‘এর অর্থ, যুদ্ধ আর দু’মাস অব্যাহত থাকলে গাজায় মধ্যবিত্ত বলে কোনো শ্রেনীর অবস্থান আর থাকবে না,।
এদিকে এর আগে বুধবার জাতিসংঘের আরেক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনমাস) জানিয়েছিল, রুশ বাহিনীর গত দুই বছরের অভিযানে ইউক্রেনে যত ধ্বংসস্তূপ হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গত ৭ মাসের অভিযানে যে পরিমাণ ধ্বংস্তূপ জমেছে, তা ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর গত দুই বছরে জমা ধ্বংস্তূপকে ছাড়িয়ে গেছে। সূত্র : রয়টার্স, এনবিসি