চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে যখন হাঁসফাঁস। এমন অবস্থায় স্বস্তির বৃষ্টির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে আদায় করা হচ্ছে ইস্তিসকার নামাজ। বৃষ্টি কামনায় দু-হাত তুলে কান্নায় চোখ ভাসিয়েছেন অনেকেই। কাঠফাঁটা ভ্যাপসা গরম থেকে কিছুটা প্রশান্তি পেতে এক পশলা বৃষ্টির আকাঙ্খায় দিন কাটে সবার। তবে এ মুহূর্তে বৃষ্টি চাইছেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষকরা।
এদিকে মাঠে সোনালী ফসল। সে ফসল ঘরে তোলার পর বৃষ্টি এলেই ভালো বলে মনে করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধান চাষিরা। আরও সপ্তাহখানেক বা দশ দিন বৃষ্টিহীন থাকলে কৃষক ঘরে তুলতে পারবে তার সোনালী ফসল। তাই এমন তাপদাহে কষ্টের বদলে এক ধরনের স্বস্তি আছে তাদের মাঝে।
জেলার বিভিন্ন হাওরাঞ্চলসহ উজানে থাকা জমিতে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করেই মাঠে ধান কাটছেন কৃষক। আর কৃষাণীরা কেটে আনা ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। তীব্র রোদ, ভ্যাপসা গরম কিছুই তাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারছে না। ঘাম ঝরিয়ে ফলানো ফসল ঘরে তুলতে না হয় আরেকটু বেশি ঘাম ঝরাবেন। তবুও বজ্রসহ বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি চান না তারা।
এদিকে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় এখন পর্যন্ত ভালো ফলনের আশা করছেন। এমন অবস্থায় বজ্রসহ বৃষ্টি বা শিলাবৃষ্টি হলে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এছাড়াও বৃষ্টি ও উজান থেকে ঢল এলে হাওরাঞ্চলের নিচু এলাকার জমি তলিয়ে যাবে।
এতে কৃষকরা বিপাকে পড়বেন। শুধু তাই নয় ধান রোপণ থেকে শুরু করে ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত শ্রমিক, সার, কীটনাশক ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। তাই সব মিলিয়ে রোদ আর গরম যত বেশিই হোক, কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে পারলেই খুশি তারা।
এ সময় কৃষক রুবেল মিয়া জানান, হাওরের ধান কাটা শেষ পর্যায়ে। উজানের কিছু ধানি জমি আছে এগুলো কাটতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এ সময়টাতে বৃষ্টি না হলে কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন তিনি। যদি এর মধ্যে বৃষ্টি হয় তাহলে তার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
এদিকে নাসিরনগর উপজেলার দাতমন্ডল গ্রামের কৃষক আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, চলতি মৌসুমে পাঁচ কানি জমিতে নতুন জাতের বঙ্গবন্ধু ধানের আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভাল। প্রতি কানি জমিতে ২১ মণ ধান হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা কষ্টের সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এমন রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ যেন আর কয়েকটা দিন থাকে। তাহলে আমাদের ফসল ঘরে তুলতে পারব।
তিনি আরও বলেন, তীব্র গরমে ফসল কাটার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যায় না। যাদের পাচ্ছি তাদেরকে প্রতিদিন ৭শ' টাকা করে দিয়ে ধান কাটাচ্ছি। কৃষি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে সামনে ঝড় বৃষ্টি আসতে পারে। তাই পাকা ধান কাটতে বলা হয়েছে।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি জমি সোনালী ফসলের আভায় মুখরিত। তবে কৃষকরা কষ্টের ফসল যাতে ঘরে তুলতে পারেন সেজন্য কৃষি বিভাগ থেকে নানা পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার, মাঠকর্মীসহ বিভিন্ন স্থানে মাইকিং ও প্রচারণার মাধ্যমে ৮০ ভাগ ধান পেকেছে এমন ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য বলা হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৬ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২৯১ হেক্টর বেশি। আর এ থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৩ মেট্টিক টন ধান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভাল হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয় না ঘটলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা।
এদিকে মাঠে সোনালী ফসল। সে ফসল ঘরে তোলার পর বৃষ্টি এলেই ভালো বলে মনে করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধান চাষিরা। আরও সপ্তাহখানেক বা দশ দিন বৃষ্টিহীন থাকলে কৃষক ঘরে তুলতে পারবে তার সোনালী ফসল। তাই এমন তাপদাহে কষ্টের বদলে এক ধরনের স্বস্তি আছে তাদের মাঝে।
জেলার বিভিন্ন হাওরাঞ্চলসহ উজানে থাকা জমিতে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করেই মাঠে ধান কাটছেন কৃষক। আর কৃষাণীরা কেটে আনা ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। তীব্র রোদ, ভ্যাপসা গরম কিছুই তাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারছে না। ঘাম ঝরিয়ে ফলানো ফসল ঘরে তুলতে না হয় আরেকটু বেশি ঘাম ঝরাবেন। তবুও বজ্রসহ বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি চান না তারা।
এদিকে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় এখন পর্যন্ত ভালো ফলনের আশা করছেন। এমন অবস্থায় বজ্রসহ বৃষ্টি বা শিলাবৃষ্টি হলে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এছাড়াও বৃষ্টি ও উজান থেকে ঢল এলে হাওরাঞ্চলের নিচু এলাকার জমি তলিয়ে যাবে।
এতে কৃষকরা বিপাকে পড়বেন। শুধু তাই নয় ধান রোপণ থেকে শুরু করে ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত শ্রমিক, সার, কীটনাশক ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। তাই সব মিলিয়ে রোদ আর গরম যত বেশিই হোক, কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে পারলেই খুশি তারা।
এ সময় কৃষক রুবেল মিয়া জানান, হাওরের ধান কাটা শেষ পর্যায়ে। উজানের কিছু ধানি জমি আছে এগুলো কাটতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এ সময়টাতে বৃষ্টি না হলে কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন তিনি। যদি এর মধ্যে বৃষ্টি হয় তাহলে তার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
এদিকে নাসিরনগর উপজেলার দাতমন্ডল গ্রামের কৃষক আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, চলতি মৌসুমে পাঁচ কানি জমিতে নতুন জাতের বঙ্গবন্ধু ধানের আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভাল। প্রতি কানি জমিতে ২১ মণ ধান হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা কষ্টের সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এমন রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ যেন আর কয়েকটা দিন থাকে। তাহলে আমাদের ফসল ঘরে তুলতে পারব।
তিনি আরও বলেন, তীব্র গরমে ফসল কাটার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যায় না। যাদের পাচ্ছি তাদেরকে প্রতিদিন ৭শ' টাকা করে দিয়ে ধান কাটাচ্ছি। কৃষি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে সামনে ঝড় বৃষ্টি আসতে পারে। তাই পাকা ধান কাটতে বলা হয়েছে।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি জমি সোনালী ফসলের আভায় মুখরিত। তবে কৃষকরা কষ্টের ফসল যাতে ঘরে তুলতে পারেন সেজন্য কৃষি বিভাগ থেকে নানা পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার, মাঠকর্মীসহ বিভিন্ন স্থানে মাইকিং ও প্রচারণার মাধ্যমে ৮০ ভাগ ধান পেকেছে এমন ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য বলা হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৬ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২৯১ হেক্টর বেশি। আর এ থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৩ মেট্টিক টন ধান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভাল হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয় না ঘটলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা।