দেশের জনপ্রিয় পরিচালক রায়হান রাফির নতুন ওয়েব সিনেমা ‘অমীমাংসিত’। সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার সিনেমাটি প্রদর্শনযোগ্য নয়। পেছনে দেখিয়েছে ছাড়পত্র না দেওয়ার চারটি উল্লেখযোগ্য কারণও।সেগুলো হলো— (১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সঙ্গে মিল রয়েছে (৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন (৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি-বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সঙ্গে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
এমন সিদ্ধান্তের পর ফুঁসে উঠেছেন নির্মাতাদের অনেকেই। বিশেষ করে সিনেমাটির পরিচালক রায়হান রাফি নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন এক প্রতিক্রিয়া। রায়হান রাফি লিখেছেন, ‘বাস্তবের সঙ্গে মিলে গেছে, তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না। সিনেমা হতে হবে অবাস্তব। ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সেন্সর বোর্ডে আটকে দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনা টাইপ।’
এদিকে বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘তাহলে কি সিনেমায় কোনো মেয়ে গুম হয়ে খুন হলে, তা কুমিল্লার তনুর সঙ্গে মিলানো হবে? সিনেমায় কোনো কিশোরের লাশ নদীতে পাওয়া গেলে, তার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যাকাণ্ড মিলানো হবে?’
এ সময় সিনেমা আটকে দেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক, মন্তব্য করে রাফি আরও লিখেছেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায় কোনকিছুই প্রমাণ করা হয়নি। জাস্ট বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল। তারপরও এই সিনেমা আটকে দেয়াটা সত্যি দুঃখজনক।
এই নির্মাতা আরও লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোন খুন দেখানো যাবে না, কোন ধর্ষণ দেখানো যাবে না। কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোন গুম দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোন খুন হয় না, কোন গুম হয় না, কোন ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত-পা বেঁধে সাতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’
এদিকে ‘অমীমাংসিত’ সিনেমার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও তানজিকা আমিন। এ ছাড়া রয়েছেন আরও কয়েকজন অভিনয়শিল্পী। তবে পোস্টার ও টিজারে তাদের মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে রেখে নির্মাতা চেয়েছেন গল্পের রহস্য আরও ঘনীভূত করতে।
এমন সিদ্ধান্তের পর ফুঁসে উঠেছেন নির্মাতাদের অনেকেই। বিশেষ করে সিনেমাটির পরিচালক রায়হান রাফি নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন এক প্রতিক্রিয়া। রায়হান রাফি লিখেছেন, ‘বাস্তবের সঙ্গে মিলে গেছে, তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না। সিনেমা হতে হবে অবাস্তব। ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সেন্সর বোর্ডে আটকে দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনা টাইপ।’
এদিকে বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘তাহলে কি সিনেমায় কোনো মেয়ে গুম হয়ে খুন হলে, তা কুমিল্লার তনুর সঙ্গে মিলানো হবে? সিনেমায় কোনো কিশোরের লাশ নদীতে পাওয়া গেলে, তার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যাকাণ্ড মিলানো হবে?’
এ সময় সিনেমা আটকে দেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক, মন্তব্য করে রাফি আরও লিখেছেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায় কোনকিছুই প্রমাণ করা হয়নি। জাস্ট বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল। তারপরও এই সিনেমা আটকে দেয়াটা সত্যি দুঃখজনক।
এই নির্মাতা আরও লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোন খুন দেখানো যাবে না, কোন ধর্ষণ দেখানো যাবে না। কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোন গুম দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোন খুন হয় না, কোন গুম হয় না, কোন ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত-পা বেঁধে সাতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’
এদিকে ‘অমীমাংসিত’ সিনেমার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও তানজিকা আমিন। এ ছাড়া রয়েছেন আরও কয়েকজন অভিনয়শিল্পী। তবে পোস্টার ও টিজারে তাদের মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে রেখে নির্মাতা চেয়েছেন গল্পের রহস্য আরও ঘনীভূত করতে।