এবার কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির প্রত্যাশা করে ‘ইস্তিসকার’ নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী। পরে বিশেষ মোনাজাত করেন তারা। আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৯টায় উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের খড়িলার বিলে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ শেষে মোনাজাতের আয়োজন করেন স্থানীয়রা।
এতে ইউনিয়নের বল্লভপুর, রসুলপুর, ভবানীপুর, জোতমোড়া ও বরইচারা গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রসুলপুর মাদরাসার হেফজ্বখানার শিক্ষক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার একইস্থানে সকাল ৮টায় বৃষ্টির জন্য নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
জানা গেছে, কালবৈশাখীর মৌসুমেও প্রায় এক মাস বৃষ্টির দেখা নেই। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না অগভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। আম-লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। শ্রমজীবী মানুষ রোদে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে তারা বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার আয়োজন করেন। নামাজে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আগে থেকেই মাইকে প্রচার করা হয়েছিল।
সকালে সরেজমিন খড়িলার বিলে গিয়ে দেখা যায়, জায়নামাজ, খেজুরের পাটি, গামছা নিয়ে নানা বয়সী মানুষ মাঠে হাজির হয়েছেন। হুজুর প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে নামাজের নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে সবাই প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাবদাহ ও ক্ষরা থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করেন।
এ সময় কৃষক মিরাজুল রহমান বিশ্বাস জানান, বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। কলে (টিউবওয়েলে) ও বোরিংয়ে পানি উঠছে না। মাঠের খেতখোলা নষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাজের মধ্যে আল্লাহকে রাজি খুশি করানোর জন্য কান্নাকাটি করেছেন তিনি।
এদিকে রসুলপুর মাদরাসার হেফজ্বখানার শিক্ষক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী জানান, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণে মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও ক্ষরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট পাপের তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতেন।
দহখোলা দক্ষিণ ভবানীপুর কওমী হাফেজিয়া মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা রাসেল মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই খুব কষ্টে আছেন। সেজন্য তারা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার একইস্থানে বৃষ্টির নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, সকালে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকছে। তবে বিকেল ৩টার দিকে তা বেড়ে ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। প্রায় এক মাস কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনাও নেই।
এতে ইউনিয়নের বল্লভপুর, রসুলপুর, ভবানীপুর, জোতমোড়া ও বরইচারা গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রসুলপুর মাদরাসার হেফজ্বখানার শিক্ষক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার একইস্থানে সকাল ৮টায় বৃষ্টির জন্য নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
জানা গেছে, কালবৈশাখীর মৌসুমেও প্রায় এক মাস বৃষ্টির দেখা নেই। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না অগভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। আম-লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। শ্রমজীবী মানুষ রোদে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে তারা বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার আয়োজন করেন। নামাজে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আগে থেকেই মাইকে প্রচার করা হয়েছিল।
সকালে সরেজমিন খড়িলার বিলে গিয়ে দেখা যায়, জায়নামাজ, খেজুরের পাটি, গামছা নিয়ে নানা বয়সী মানুষ মাঠে হাজির হয়েছেন। হুজুর প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে নামাজের নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে সবাই প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাবদাহ ও ক্ষরা থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করেন।
এ সময় কৃষক মিরাজুল রহমান বিশ্বাস জানান, বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। কলে (টিউবওয়েলে) ও বোরিংয়ে পানি উঠছে না। মাঠের খেতখোলা নষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাজের মধ্যে আল্লাহকে রাজি খুশি করানোর জন্য কান্নাকাটি করেছেন তিনি।
এদিকে রসুলপুর মাদরাসার হেফজ্বখানার শিক্ষক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী জানান, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণে মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও ক্ষরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট পাপের তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতেন।
দহখোলা দক্ষিণ ভবানীপুর কওমী হাফেজিয়া মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা রাসেল মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই খুব কষ্টে আছেন। সেজন্য তারা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার একইস্থানে বৃষ্টির নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, সকালে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকছে। তবে বিকেল ৩টার দিকে তা বেড়ে ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। প্রায় এক মাস কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনাও নেই।