এবার ঝালকাঠি গাবখান ব্রিজের টোল প্লাজায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ছয় জনসহ মোট ১৪ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে গাবখান ব্রিজের টোল প্লাজার কাছে সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িকে চাপা দিলে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ঘাতক ট্রাকটির চালক ও তার সহযোগীকে।
জানা গেছে, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাংগর গ্রামের একই পরিবারের ৬ জন প্রাইভেটকারে বরিশাল যাচ্ছিল। যাত্রাপথে গাবখান ব্রিজের টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে টোল দিচ্ছিল ড্রাইভার। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিমেন্টবোঝাই ট্রাক ধাক্কা দিলে দুমড়ে-মুচড়ে যায় প্রাইভেটকার।
এ সময় গাড়িতে থাকা একই পরিবারের হাসিবুর রহমান (৩২), স্ত্রী নাহিদা আক্তার (২৭) সন্তান তাকিয়া (সাড়ে চারবছর), তাহমিদ (৮ মাস), সদ্য বিবাহিত ইমরান (২৬) ও তার স্ত্রী নিপা (২২) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। সদর হাসপাতালে লাশের পাশে বিলাপ করতে করতে এসব কথা বলছিলেন নাহিদার বোন তরিকা আক্তার। তিনি সাংগর গ্রামের আব্দুল বারেকের কন্যা।
তরিকা আক্তার জানান, দুপুর দেড়টার দিকে সবাইকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া শেষে প্রাইভেটকারে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় মারা যান। বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ওরে নাহিদা, ওরে নিপা তোদের ছাড়া আমি কেমনে থাকবো। তোদের ছোট ছোট সন্তানদেরও আদর করে দিলাম। এটাই যদি শেষ আদর হবে বুজতাম তাহলে আরও বেশি করে আদর দিতাম।
এদিকে আহাজারি করে তিনি আরও জানান, ছোট বোন নীপর একমাস আগে বিয়ে হয়েছে। ওদের হাতের মেহেদিও এখন পর্যন্ত মুছে নাই। নববিবাহিত দম্পতির ইচ্ছা ছিল বরিশাল থেকে কুয়াকাটা গিয়ে হানিমুন করবে। কিন্তু সেই ইচ্ছা আর পূরণ হলো না। এখন হানিমুনের পরিবর্তে অন্তিম শয়নে শায়িত হবে।
এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যান ও ট্রাকটি উদ্ধার করে জব্দ করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির গাবখান টোল প্লাজায় সিমেন্টবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাইক্রোবাস ও তিনটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে নারী, শিশুসহ ১৪ জন নিহত হয়। পৌর এলাকার পশ্চিম প্রান্তে পঞ্চম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাংগর গ্রামের একই পরিবারের ৬ জন প্রাইভেটকারে বরিশাল যাচ্ছিল। যাত্রাপথে গাবখান ব্রিজের টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে টোল দিচ্ছিল ড্রাইভার। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিমেন্টবোঝাই ট্রাক ধাক্কা দিলে দুমড়ে-মুচড়ে যায় প্রাইভেটকার।
এ সময় গাড়িতে থাকা একই পরিবারের হাসিবুর রহমান (৩২), স্ত্রী নাহিদা আক্তার (২৭) সন্তান তাকিয়া (সাড়ে চারবছর), তাহমিদ (৮ মাস), সদ্য বিবাহিত ইমরান (২৬) ও তার স্ত্রী নিপা (২২) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। সদর হাসপাতালে লাশের পাশে বিলাপ করতে করতে এসব কথা বলছিলেন নাহিদার বোন তরিকা আক্তার। তিনি সাংগর গ্রামের আব্দুল বারেকের কন্যা।
তরিকা আক্তার জানান, দুপুর দেড়টার দিকে সবাইকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া শেষে প্রাইভেটকারে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় মারা যান। বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ওরে নাহিদা, ওরে নিপা তোদের ছাড়া আমি কেমনে থাকবো। তোদের ছোট ছোট সন্তানদেরও আদর করে দিলাম। এটাই যদি শেষ আদর হবে বুজতাম তাহলে আরও বেশি করে আদর দিতাম।
এদিকে আহাজারি করে তিনি আরও জানান, ছোট বোন নীপর একমাস আগে বিয়ে হয়েছে। ওদের হাতের মেহেদিও এখন পর্যন্ত মুছে নাই। নববিবাহিত দম্পতির ইচ্ছা ছিল বরিশাল থেকে কুয়াকাটা গিয়ে হানিমুন করবে। কিন্তু সেই ইচ্ছা আর পূরণ হলো না। এখন হানিমুনের পরিবর্তে অন্তিম শয়নে শায়িত হবে।
এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যান ও ট্রাকটি উদ্ধার করে জব্দ করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির গাবখান টোল প্লাজায় সিমেন্টবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাইক্রোবাস ও তিনটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে নারী, শিশুসহ ১৪ জন নিহত হয়। পৌর এলাকার পশ্চিম প্রান্তে পঞ্চম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।