নায়িকা পরীমণি ফ্রিতে মদ না পেয়ে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর করেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসিরের করা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো: মনির হোসেন সম্প্রতি ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মামলাটির প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য রয়েছে। ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে বাদিপক্ষ।
তদন্ত প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে: মদপান করতে রাত সাড়ে বারোটার দিকে বোট ক্লাবে পরীমণি: এ মামলার ঘটনার চাক্ষুস সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকি অমির সঙ্গে জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে মাঝে মধ্যে ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ হতো এবং পরস্পরের মধ্যে বাসায় আসা যাওয়া থাকতো। ২০২১ সালের ৮ জুন তুহিন সিদ্দিকি অমি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বনানী কিংস বেকারী শপে অবস্থানকালে পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিম তাকে ম্যাসেঞ্জারে কল করে বনানীর বাসায় যেতে অনুরোধ করে।
বাসায় যাওয়ার পর অমির সঙ্গে পরিমনি এবং ফাতেমা তুজ জান্নাত বনিদের সাক্ষাৎ হয়। এরপর তারা অমির কাছে জানতে চান এত রাতে উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে কিনা। উত্তরে অমি জানান, রাত বেশি হচ্ছে তাই এখন উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে না। তখন জিমি জানতে চান যে, তাহলে বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না?
জবাবে ঢাকা বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে মর্মে জানান অমি। তখন পরিমনির অনুরোধে অমিসহ তারা ৪জন অমির কালো রংয়ের জীপ গাড়িতে করে রাত ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবে আসেন। গাড়ির পিছনে পরিমনির সাদা রংয়ের খালি জীপ গাড়ি বোট ক্লাবে প্রবেশ করে।
ক্লাবের দোতলায় উঠে প্রথমে পরিমনি ও ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি বারের সামনে থাকা টয়লেট ব্যবহার শেষে বারের ভিতরে প্রবেশ করেন এবং বারের ভিতরে টিভির সামনের টেবিলে বসেন। টেবিলে সাক্ষী অমিও বসেন। সৌজন্যতার খাতিরে অমি তাদেরকে স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার নিজ খরচে পরিবেশন করে আপ্যায়ন করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু পরিমনি একটি ০১ লিটারের ব্লু-লেবেল মদের বোতল অর্ডার করেন। পরিমনি ও তার সঙ্গে থাকা জিম ও বনি নিমিষেই সেই বোতলের এ্যালকোহল পান করে বোতল খালি করে ফেলেন এবং অনুরূপ আরেকটি বোতলের অর্ডার করেন। তারা ঐ বোতলের আংশিক মদ পান করেন।
প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মামলাটির প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য রয়েছে। ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে বাদিপক্ষ।
তদন্ত প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে: মদপান করতে রাত সাড়ে বারোটার দিকে বোট ক্লাবে পরীমণি: এ মামলার ঘটনার চাক্ষুস সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকি অমির সঙ্গে জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে মাঝে মধ্যে ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ হতো এবং পরস্পরের মধ্যে বাসায় আসা যাওয়া থাকতো। ২০২১ সালের ৮ জুন তুহিন সিদ্দিকি অমি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বনানী কিংস বেকারী শপে অবস্থানকালে পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিম তাকে ম্যাসেঞ্জারে কল করে বনানীর বাসায় যেতে অনুরোধ করে।
বাসায় যাওয়ার পর অমির সঙ্গে পরিমনি এবং ফাতেমা তুজ জান্নাত বনিদের সাক্ষাৎ হয়। এরপর তারা অমির কাছে জানতে চান এত রাতে উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে কিনা। উত্তরে অমি জানান, রাত বেশি হচ্ছে তাই এখন উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে না। তখন জিমি জানতে চান যে, তাহলে বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না?
জবাবে ঢাকা বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে মর্মে জানান অমি। তখন পরিমনির অনুরোধে অমিসহ তারা ৪জন অমির কালো রংয়ের জীপ গাড়িতে করে রাত ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবে আসেন। গাড়ির পিছনে পরিমনির সাদা রংয়ের খালি জীপ গাড়ি বোট ক্লাবে প্রবেশ করে।
ক্লাবের দোতলায় উঠে প্রথমে পরিমনি ও ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি বারের সামনে থাকা টয়লেট ব্যবহার শেষে বারের ভিতরে প্রবেশ করেন এবং বারের ভিতরে টিভির সামনের টেবিলে বসেন। টেবিলে সাক্ষী অমিও বসেন। সৌজন্যতার খাতিরে অমি তাদেরকে স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার নিজ খরচে পরিবেশন করে আপ্যায়ন করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু পরিমনি একটি ০১ লিটারের ব্লু-লেবেল মদের বোতল অর্ডার করেন। পরিমনি ও তার সঙ্গে থাকা জিম ও বনি নিমিষেই সেই বোতলের এ্যালকোহল পান করে বোতল খালি করে ফেলেন এবং অনুরূপ আরেকটি বোতলের অর্ডার করেন। তারা ঐ বোতলের আংশিক মদ পান করেন।