এবার শিরোনাম দেখে নিশ্চিয় চমকে গেছেন! পাকিস্তানি ক্রিকেটার তাও বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়। কিন্তু কিভাবে সম্ভব। তবে ঘটনাটটি চমকে দেয়ার মতো হলেও সত্যি। আমির খান, ২৭ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। জন্ম ও বেড়ে ওঠা পাকিস্তানের লাহোরে।
পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়ক বাবর আজম ও অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফের ক্লাস মেট আমির। লাহোরের মুসলিম মডেল স্কুলে একই ক্লাসে পড়তেন তারা। বাবর-ফাহিম পাকিস্তানের জাতীয় দলের হয়ে খেললেও আমিরের সে ভাগ্য হয়নি।
তবে পাকিস্তান ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি। লাহোর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে খেলেছেন প্রায় ১০ বছর। খেলেছেন স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের হয়ে। আমিরের বাংলাদেশের হয়ে খেলতে টাওয়ার গল্পটা একটু অন্য রকম। ২০২২ সালে রোজি আখতার মিম নামের এক বাংলাদেশি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় আমিরের।
এরপর অনলাইনে নিয়মিত যোগাযোগ, অতঃপর প্রণয়। গত বছর সেই প্রণয় দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়েতে পরিণতি পায়। লাহোরের সেই আমির এখন স্ত্রীসহ ঢাকাতেই থাকেন। বাবর-ফাহিমদের মতো আমিরেরও নেশা যে ক্রিকেট। তাইতো ঢাকায় এসে ক্রিকেটটাকেই বেঁচে নেন আই পাকিস্তানি।
ধানমন্ডির শেখ জামাল ক্রিকেট একাডেমিতে যোগ দেন। নিয়মিত মেতে থাকেন ক্রিকেটে। এক সময় পাকিস্তানের জার্সিতে ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখা আমির এখন স্বপ্ন বুনছেন বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে কাজও শুরু করেছেন তিনি।
দেশের এক জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে আমির বলেন, ‘ক্লাব, ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়ে তো অনেকেই খেলে। দেশের হয়ে খেলাটা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সেটা পাকিস্তান হোক কিংবা বাংলাদেশ, দেশের হয়ে খেলা বিরাট অর্জন। আমিও সে চেষ্টাই করছি। কাজগুলো ধীরে ধীরে এগোচ্ছি।
শেখ জামালকে ধন্যবাদ যে তারা আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে এত ভালো সুযোগ-সুবিধার মাঝে অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার। আমি আশা করি, প্রথম বিভাগ, ঢাকা লিগ বা বিপিএল-যেকোনো পর্যায়ে তাদের প্রতিনিধিত্ব করে প্রতিদান দিতে পারব। এখানে বিসিবির অনেক কোচই কাজ করেন। প্রত্যেকেই অসাধারণ! আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখছি।’
শেখ জামাল নিয়ে আমিরের রোমাঞ্চের আরেকটা কারণও আছে। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দলটিতে খেলছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই মহাতারকার মতো আমিরও বাঁহাতি স্পিনার। কোনো এক দিন শেখ জামাল মাঠে সাকিব অনুশীলনে আসবেন, সেই অপেক্ষায় আছেন আমির, ‘আমি আশায় আছি। কখনো যদি দেখা হয়, তাহলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করব। আমার জন্য হবে সেটা বিরাট পাওয়া।’
পাকিস্তানের আমির এখন বাংলাদেশের হওয়ার চেষ্টা করলেও অতীতটাকে একেবারেই মুছে ফেলেননি। ঢাকায় বসে লাহোরে নিজ পরিবারের ৮০ বছর পুরোনো ব্যবসার খোঁজ রাখতে হয় তাকে, ‘এখন যেহেতু পরিবারকে দেখতে হচ্ছে, তাই অনলাইনে ব্যবসার খোঁজ রাখি। খুব দরকার হলে পাকিস্তানেও যেতে হয়। গত বছরে যেমন তিনবার গিয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতাম, তখন মোহাম্মদ আমির নিষিদ্ধ ছিলেন। ওই সময় তিনি কোনো ম্যাচ না খেললেও অনুশীলন করতেন আমাদের সঙ্গে। এখন তো উনি আবার জাতীয় দলে ফিরেছেন। আশা করি ভালো করবেন। বাবরদের পুরো পরিবারেই তো ক্রিকেটারের ভিড়। ওমর আকমলরা একই পরিবারের। আমরা সবাই একসঙ্গেই বড় হয়েছি।’
পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়ক বাবর আজম ও অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফের ক্লাস মেট আমির। লাহোরের মুসলিম মডেল স্কুলে একই ক্লাসে পড়তেন তারা। বাবর-ফাহিম পাকিস্তানের জাতীয় দলের হয়ে খেললেও আমিরের সে ভাগ্য হয়নি।
তবে পাকিস্তান ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি। লাহোর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে খেলেছেন প্রায় ১০ বছর। খেলেছেন স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের হয়ে। আমিরের বাংলাদেশের হয়ে খেলতে টাওয়ার গল্পটা একটু অন্য রকম। ২০২২ সালে রোজি আখতার মিম নামের এক বাংলাদেশি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় আমিরের।
এরপর অনলাইনে নিয়মিত যোগাযোগ, অতঃপর প্রণয়। গত বছর সেই প্রণয় দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়েতে পরিণতি পায়। লাহোরের সেই আমির এখন স্ত্রীসহ ঢাকাতেই থাকেন। বাবর-ফাহিমদের মতো আমিরেরও নেশা যে ক্রিকেট। তাইতো ঢাকায় এসে ক্রিকেটটাকেই বেঁচে নেন আই পাকিস্তানি।
ধানমন্ডির শেখ জামাল ক্রিকেট একাডেমিতে যোগ দেন। নিয়মিত মেতে থাকেন ক্রিকেটে। এক সময় পাকিস্তানের জার্সিতে ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখা আমির এখন স্বপ্ন বুনছেন বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে কাজও শুরু করেছেন তিনি।
দেশের এক জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে আমির বলেন, ‘ক্লাব, ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়ে তো অনেকেই খেলে। দেশের হয়ে খেলাটা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সেটা পাকিস্তান হোক কিংবা বাংলাদেশ, দেশের হয়ে খেলা বিরাট অর্জন। আমিও সে চেষ্টাই করছি। কাজগুলো ধীরে ধীরে এগোচ্ছি।
শেখ জামালকে ধন্যবাদ যে তারা আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে এত ভালো সুযোগ-সুবিধার মাঝে অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার। আমি আশা করি, প্রথম বিভাগ, ঢাকা লিগ বা বিপিএল-যেকোনো পর্যায়ে তাদের প্রতিনিধিত্ব করে প্রতিদান দিতে পারব। এখানে বিসিবির অনেক কোচই কাজ করেন। প্রত্যেকেই অসাধারণ! আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখছি।’
শেখ জামাল নিয়ে আমিরের রোমাঞ্চের আরেকটা কারণও আছে। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দলটিতে খেলছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই মহাতারকার মতো আমিরও বাঁহাতি স্পিনার। কোনো এক দিন শেখ জামাল মাঠে সাকিব অনুশীলনে আসবেন, সেই অপেক্ষায় আছেন আমির, ‘আমি আশায় আছি। কখনো যদি দেখা হয়, তাহলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করব। আমার জন্য হবে সেটা বিরাট পাওয়া।’
পাকিস্তানের আমির এখন বাংলাদেশের হওয়ার চেষ্টা করলেও অতীতটাকে একেবারেই মুছে ফেলেননি। ঢাকায় বসে লাহোরে নিজ পরিবারের ৮০ বছর পুরোনো ব্যবসার খোঁজ রাখতে হয় তাকে, ‘এখন যেহেতু পরিবারকে দেখতে হচ্ছে, তাই অনলাইনে ব্যবসার খোঁজ রাখি। খুব দরকার হলে পাকিস্তানেও যেতে হয়। গত বছরে যেমন তিনবার গিয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতাম, তখন মোহাম্মদ আমির নিষিদ্ধ ছিলেন। ওই সময় তিনি কোনো ম্যাচ না খেললেও অনুশীলন করতেন আমাদের সঙ্গে। এখন তো উনি আবার জাতীয় দলে ফিরেছেন। আশা করি ভালো করবেন। বাবরদের পুরো পরিবারেই তো ক্রিকেটারের ভিড়। ওমর আকমলরা একই পরিবারের। আমরা সবাই একসঙ্গেই বড় হয়েছি।’