এবার ইসরাইলের লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে ইরান। এই পরিস্থিতিতে নিজ নিজ আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে ইরাক, জর্ডান ও লেবানন। ইরাকি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, দেশের আকাশসীমা অস্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে। কোনো ফ্লাইট উড্ডয়ন বা অবতরণ করতে পারবে না। ট্রানজিটও বন্ধ থাকবে। স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টা থেকে রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে।
এদিকে বেসামরিক বিমান চলাচল এবং নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থেই আকাশসীমা বন্ধের এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরাক সরকার। পরিস্থিতির মূল্যায়ন সাপেক্ষে প্রয়োজনে আকাশসীমা বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জর্ডানের সিভিল অ্যাভিয়েশন রেগুলেটরি অথরিটি দেশের আকাশসীমা সাময়িক বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পেট্রার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেশী ইসরাইলে ইরানের হামলার কারণে তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছেন। স্থানীয় সময় রাত ১১টা থেকে পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা আকাশসীমা বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দেশটি।
এদিকে লেবাননের পাবলিক ওয়ার্কস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রণালয়ও আকাশসীমা সাময়িক বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে রোববার সকাল ৭টা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে বৈরুত রাফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ অবতরণ-উড্ডয়ন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। সে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। তাদের সঙ্গে হামলায় যোগ দেয় ইয়েমেনের ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এরপর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও ইসরাইলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে জাননো হয়।
রোববার লেবাননের ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানিয়েছে, তারা কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট দিয়ে ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির ‘কেইলা ব্যারাকে’ ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সদর দফতরকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এদিকে ব্রিটিশ নিরাপত্তা কোম্পানি অ্যামব্রে জানিয়েছে, হুতি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তাদের সম্ভাব্য লক্ষ্য ইসরাইলি বন্দরগুলো।
এর আগে ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) অন্তত ৪০টি রকেট ছোড়ে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানায়, ‘শত্রুপক্ষের আর্টিলারি অবস্থান’ লক্ষ্য করে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে ওই সব হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ইসরাইল।
এদিকে ইরানের ড্রোন নিক্ষেপের পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, প্রতিরক্ষার জন্য তারা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘আক্রমণ অথবা প্রতিরক্ষা, আমরা সবকিছুর জন্য প্রস্তুত। ইসরাইল রাষ্ট্র শক্তিশালী। ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) শক্তিশালী। এখানকার জনগণ শক্তিশালী।’
এদিকে বেসামরিক বিমান চলাচল এবং নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থেই আকাশসীমা বন্ধের এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরাক সরকার। পরিস্থিতির মূল্যায়ন সাপেক্ষে প্রয়োজনে আকাশসীমা বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জর্ডানের সিভিল অ্যাভিয়েশন রেগুলেটরি অথরিটি দেশের আকাশসীমা সাময়িক বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পেট্রার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেশী ইসরাইলে ইরানের হামলার কারণে তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছেন। স্থানীয় সময় রাত ১১টা থেকে পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা আকাশসীমা বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দেশটি।
এদিকে লেবাননের পাবলিক ওয়ার্কস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রণালয়ও আকাশসীমা সাময়িক বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে রোববার সকাল ৭টা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে বৈরুত রাফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ অবতরণ-উড্ডয়ন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। সে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। তাদের সঙ্গে হামলায় যোগ দেয় ইয়েমেনের ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এরপর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও ইসরাইলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে জাননো হয়।
রোববার লেবাননের ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানিয়েছে, তারা কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট দিয়ে ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির ‘কেইলা ব্যারাকে’ ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সদর দফতরকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এদিকে ব্রিটিশ নিরাপত্তা কোম্পানি অ্যামব্রে জানিয়েছে, হুতি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তাদের সম্ভাব্য লক্ষ্য ইসরাইলি বন্দরগুলো।
এর আগে ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) অন্তত ৪০টি রকেট ছোড়ে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানায়, ‘শত্রুপক্ষের আর্টিলারি অবস্থান’ লক্ষ্য করে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে ওই সব হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ইসরাইল।
এদিকে ইরানের ড্রোন নিক্ষেপের পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, প্রতিরক্ষার জন্য তারা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘আক্রমণ অথবা প্রতিরক্ষা, আমরা সবকিছুর জন্য প্রস্তুত। ইসরাইল রাষ্ট্র শক্তিশালী। ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) শক্তিশালী। এখানকার জনগণ শক্তিশালী।’