এবার সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকরা একসঙ্গে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় তারা জাহাজের ডকে নামাজ আদায় করেন। নামাজের পর তারা একসঙ্গে ছবিও তোলেন।
এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ বর্তমানে সোমালীয় জলসীমায় অবস্থান করছে। সোমালিয়াসহ ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য এদিন নাবিকদের জাহাজের ডকে যাওয়ার সুযোগ দেয় দস্যুরা। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে নাবিকদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয় বলেও জানা গেছে।
গত ২৯ মার্চ কবীর গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, তারা ঈদের আগেই ২৩ নাবিককে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। মুক্তির পর বিমানযোগে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। একই সঙ্গে কয়লাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকেও দুবাইয়ে পৌঁছাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নাবিকদের আরেকটি দলকে। এসব বিষয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তবে শেষ পর্যন্ত ঈদের আগে তাদের মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, মুক্তিপণ আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়েই জলদস্যুরা গত ২৭ মার্চ থেকে নাবিকদের কেবিনে থাকার পাশাপাশি জাহাজে কাজ করার সুযোগও দিচ্ছে। সবশেষ ঈদের দিন জাহাজের ডকে তাদের একসঙ্গে নামাজ আদায়ের সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি ভালো খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।
এদিকে জলদস্যুর কবল থেকে বাংলাদেশি নাবিকদের চলতি এপ্রিল মাসেই উদ্ধার করার আশা প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ের সাংবাদিকদের তিনি জানান, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিক কবে উদ্ধার হবে সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না।
তিনি বলেন, ‘সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হচ্ছে আমাদের দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। এটা কোনো ছোট ঘটনা নয়, অনেক বড় ঘটনা। কাজেই দিন তারিখ দিয়ে এটার সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে আমরা বলতে পারি, সম্পূর্ণ ঘটনা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তাই আশা করছি, নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো।’
আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে তাদের যেন আনতে পারি। কিন্তু সেই টার্গেটটা পূরণ হয়নি। তবে আশা করছি, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই সমস্যাটার সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে আমাদের নৌবিভাগ আন্তর্জাতিক এলাকায় কাজ করে, তাই তারাও খোঁজখবর রাখছেন। সার্বিক বিবেচনায় বলছি, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।’
এদিকে নাবিকদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হচ্ছে কিনা; প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। নৌপরিবহন অধিদফতরও নিয়মিত যোগযোগ রাখছে। কথাবার্তা হচ্ছে। তারা ভালো আছেন। দস্যুদের সঙ্গে আচরণটা কীভাবে হয়, এই ধরনের আলোচনা করার জন্য কিছু কিছু সংগঠন আছে, মানুষে আছে, তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তো কখনো দস্যুদের মোকাবিলা করিনি। কাজেই আমরা বলতে পারবো না, কীভাবে আলোচনা হচ্ছে। যারা দস্যুদের সঙ্গে চলাফেরা করেন, সেই মানুষদের মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। এর আগে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে যখন বাংলার সমৃদ্ধি আটকে যায়, তখনও এই ধরনের কিছু সাহায্য নিয়ে সমাধান করেছিলাম’,
এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ বর্তমানে সোমালীয় জলসীমায় অবস্থান করছে। সোমালিয়াসহ ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য এদিন নাবিকদের জাহাজের ডকে যাওয়ার সুযোগ দেয় দস্যুরা। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে নাবিকদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয় বলেও জানা গেছে।
গত ২৯ মার্চ কবীর গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, তারা ঈদের আগেই ২৩ নাবিককে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। মুক্তির পর বিমানযোগে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। একই সঙ্গে কয়লাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকেও দুবাইয়ে পৌঁছাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নাবিকদের আরেকটি দলকে। এসব বিষয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তবে শেষ পর্যন্ত ঈদের আগে তাদের মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, মুক্তিপণ আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়েই জলদস্যুরা গত ২৭ মার্চ থেকে নাবিকদের কেবিনে থাকার পাশাপাশি জাহাজে কাজ করার সুযোগও দিচ্ছে। সবশেষ ঈদের দিন জাহাজের ডকে তাদের একসঙ্গে নামাজ আদায়ের সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি ভালো খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।
এদিকে জলদস্যুর কবল থেকে বাংলাদেশি নাবিকদের চলতি এপ্রিল মাসেই উদ্ধার করার আশা প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ের সাংবাদিকদের তিনি জানান, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিক কবে উদ্ধার হবে সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না।
তিনি বলেন, ‘সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হচ্ছে আমাদের দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। এটা কোনো ছোট ঘটনা নয়, অনেক বড় ঘটনা। কাজেই দিন তারিখ দিয়ে এটার সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে আমরা বলতে পারি, সম্পূর্ণ ঘটনা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তাই আশা করছি, নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো।’
আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে তাদের যেন আনতে পারি। কিন্তু সেই টার্গেটটা পূরণ হয়নি। তবে আশা করছি, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই সমস্যাটার সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে আমাদের নৌবিভাগ আন্তর্জাতিক এলাকায় কাজ করে, তাই তারাও খোঁজখবর রাখছেন। সার্বিক বিবেচনায় বলছি, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।’
এদিকে নাবিকদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হচ্ছে কিনা; প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। নৌপরিবহন অধিদফতরও নিয়মিত যোগযোগ রাখছে। কথাবার্তা হচ্ছে। তারা ভালো আছেন। দস্যুদের সঙ্গে আচরণটা কীভাবে হয়, এই ধরনের আলোচনা করার জন্য কিছু কিছু সংগঠন আছে, মানুষে আছে, তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তো কখনো দস্যুদের মোকাবিলা করিনি। কাজেই আমরা বলতে পারবো না, কীভাবে আলোচনা হচ্ছে। যারা দস্যুদের সঙ্গে চলাফেরা করেন, সেই মানুষদের মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। এর আগে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে যখন বাংলার সমৃদ্ধি আটকে যায়, তখনও এই ধরনের কিছু সাহায্য নিয়ে সমাধান করেছিলাম’,