এবার রাজবাড়ীতে সাড়ে তিনশ শ্রমিক-কর্মচারীর তিন সপ্তাহের বেতন-বোনাস না দিয়ে মিলে তালা দিয়ে পালিয়েছে মালিকপক্ষ। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রূপপুর এলাকায় অবস্থিত কিং জুট মিলে এ ঘটনা ঘটে। কিং জুট মিলের বর্তমান মালিক মোকলেছুর রহমান। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মিল সূত্র জানায়, মিলটিতে সাড়ে তিনশ শ্রমিক কাজ করে যার অধিকাংশই নারী। প্রতিদিন ২৯০ টাকা হারে প্রতি সপ্তাহে তাদের বেতন দেয়ার কথা। গত তিন সপ্তাহ ধরে তাদের বেতন দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে ঈদের আগে বেতন ও বোনাস এক সঙ্গে দেবে। ২৯০ টাকা হারে তিন সপ্তাহের মোট বেতন বকেয়া আছে ৬ হাজার ৯০ টাকা।
গত বৃহস্পতিবার তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার কথা ছিল। ওই দিন জানানো হয় শুক্রবার বেতন-বোনাস দেয়া হবে। এ কারণে শুক্রবার বন্ধের দিনেও তারা এসেছিলেন। পরে ওই দিন বলা হয় সোমবার বকেয়া বেতনের সঙ্গে বোনাসও দেবে। সোমবার মিলে এসে দেখেন তালাবন্ধ। মালিকপক্ষেরও কেউ নেই।
এদিন দুপুরে কিং জুট মিলে গিয়ে দেখা যায়, অনেক নারী শ্রমিক মিলে বসে আসে। অনেকে আবার সকাল থেকে বসে থেকে মালিকের দেখা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে হতাশ হয়ে। মিলের ভেতর মূল ভবন দুটিতে তাল ঝুলানো।
এদিকে কালুখালি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের শ্রমিক দিলারা বেগম বলেন, বেতন-বোনাস মিলে ১০ হাজার টাকা পাবো। গতকালও দুপুর ২ দুইটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করছি। এই টাকা নিয়ে দুই ছেলের পোশাক কিনবো। ঈদের বাজার করবো। এখন মালিকই নেই। দুই ছেলের কাছে মুখ দেখাবো কি করে।
কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের শ্রমিক মিনারা বেগম বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ। তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। মিলে চাকরি করে তিনি সংসার চালান। ঈদের আগে বেতন-বোনাস না পেলে কী করে ঈদ করবো। এখন বিষ খাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
জসিম মোল্লা বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এই মিলে কাজ করি। রোজা থেকে যে কষ্ট করেছি মিলে। ঈদের বেতন-বোনাস পাবো আশা করে আছি। এখন সকালে এসে দেখি মিলে তালা দিয়ে সবাই চলে গেছে।
এ ব্যাপারে কালুখালী থানার ওসি মো. আলমগীর হুসাইন জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ঈদের আগে বেতন না দিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ চরম অন্যায় করেছেন। শ্রমিকদের বিক্ষোভের কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে শান্ত করা হয়। পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে এজন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মিল মালিক মোকলেছুর রহমানকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ফোন বন্ধ।
এদিকে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া আফরোজ বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বেতন না পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। মালিকপক্ষ এটা ঠিক করেনি। কিন্তু মালিককে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। এখানে তাদের করণীয় তেমন কিছু নেই। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কিং জুট মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকলেছুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিবার ফোন দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। এসএমএস পাঠিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।
মিল সূত্র জানায়, মিলটিতে সাড়ে তিনশ শ্রমিক কাজ করে যার অধিকাংশই নারী। প্রতিদিন ২৯০ টাকা হারে প্রতি সপ্তাহে তাদের বেতন দেয়ার কথা। গত তিন সপ্তাহ ধরে তাদের বেতন দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে ঈদের আগে বেতন ও বোনাস এক সঙ্গে দেবে। ২৯০ টাকা হারে তিন সপ্তাহের মোট বেতন বকেয়া আছে ৬ হাজার ৯০ টাকা।
গত বৃহস্পতিবার তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার কথা ছিল। ওই দিন জানানো হয় শুক্রবার বেতন-বোনাস দেয়া হবে। এ কারণে শুক্রবার বন্ধের দিনেও তারা এসেছিলেন। পরে ওই দিন বলা হয় সোমবার বকেয়া বেতনের সঙ্গে বোনাসও দেবে। সোমবার মিলে এসে দেখেন তালাবন্ধ। মালিকপক্ষেরও কেউ নেই।
এদিন দুপুরে কিং জুট মিলে গিয়ে দেখা যায়, অনেক নারী শ্রমিক মিলে বসে আসে। অনেকে আবার সকাল থেকে বসে থেকে মালিকের দেখা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে হতাশ হয়ে। মিলের ভেতর মূল ভবন দুটিতে তাল ঝুলানো।
এদিকে কালুখালি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের শ্রমিক দিলারা বেগম বলেন, বেতন-বোনাস মিলে ১০ হাজার টাকা পাবো। গতকালও দুপুর ২ দুইটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করছি। এই টাকা নিয়ে দুই ছেলের পোশাক কিনবো। ঈদের বাজার করবো। এখন মালিকই নেই। দুই ছেলের কাছে মুখ দেখাবো কি করে।
কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের শ্রমিক মিনারা বেগম বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ। তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। মিলে চাকরি করে তিনি সংসার চালান। ঈদের আগে বেতন-বোনাস না পেলে কী করে ঈদ করবো। এখন বিষ খাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
জসিম মোল্লা বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এই মিলে কাজ করি। রোজা থেকে যে কষ্ট করেছি মিলে। ঈদের বেতন-বোনাস পাবো আশা করে আছি। এখন সকালে এসে দেখি মিলে তালা দিয়ে সবাই চলে গেছে।
এ ব্যাপারে কালুখালী থানার ওসি মো. আলমগীর হুসাইন জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ঈদের আগে বেতন না দিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ চরম অন্যায় করেছেন। শ্রমিকদের বিক্ষোভের কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে শান্ত করা হয়। পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে এজন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মিল মালিক মোকলেছুর রহমানকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ফোন বন্ধ।
এদিকে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া আফরোজ বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বেতন না পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। মালিকপক্ষ এটা ঠিক করেনি। কিন্তু মালিককে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। এখানে তাদের করণীয় তেমন কিছু নেই। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কিং জুট মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকলেছুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিবার ফোন দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। এসএমএস পাঠিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।