এবার ইতিহাসের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এরদোয়ান। এই জয়ে আল্লাহ’হু আকবার ধ্বনিতে প্রকম্পিত রাজধানী ইস্তাম্বুল। টানা ২০ বছর ক্ষমতায় রয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ধাপে বিরোধী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারুগ্লুর চেয়ে প্রায় ৫ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকার পরও নির্বাচনের দুই ধাপেই তাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। ভোটে জালিয়াতির অভিযোগ না আনলেও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন বিরোধী প্রার্থী কেমাল।
গতকাল রবিবার রানঅফ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৫ কোটি ৩৮ লাখের বেশি ভোটার। মোট ভোটের মধ্যে এটি ৮৪.২২ শতাংশ। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশের বেশি ভোট গণনার পর এরদোয়ান পেয়েছেন ৫২.১৬ শতাংশ এবং কেমাল পেয়েছেন ৪৭.৮৪ শতাংশ ভোট। প্রথম দফায় গত ১৪ মে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় পার্লামেন্ট নির্বাচনও। পার্লামেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানের দল একে পার্টি ও তার জোট পিপলস অ্যালায়েন্স জিতেছে ৩২২টি আসনে। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জেতায় সংসদের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে।
প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন এরদোয়ান। তবে ৫০ শতাংশের কোটা পূরণ না হওয়ায় জয়ী হতে পারেননি তিনি। সেই বাধা টপকাতে তাকে লড়তে হয়েছে দ্বিতীয় তথা রানঅফ নির্বাচনে। রবিবারের জয় এরদোয়ানের ধারাবাহিকভাবে ১১তম জয়। রাজনীতিতে প্রবেশের পর থেকে দীর্ঘ জয়ের ইতিহাস রয়েছে তারা। এসব জয়ের পেছনে নানা মত ও নানা কৌশল অবশ্য রয়েছে। তবে ভোটে জালিয়াতি করেছেন এমন অভিযোগ অবশ্য বিরোধীরাও করেননি।
গত ২০১৪ সাল থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এরদোয়ান। এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে হার মেনে নিয়েছেন এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারুগ্লু। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, প্রচার-প্রচারণা বা কৌশলে ব্যাপক সুবিধা পেয়েছেন এরদোয়ান। রাষ্ট্রের সকল সুবিধা নিয়েছেন তিনি।
কেমালের কথায়, ‘রাষ্ট্রের সমস্ত সুবিধা একটি রাজনৈতিক দলের জন্য একত্রিত করা হয়েছিল এবং একজন ব্যক্তির পায়ে শুইয়ে দেওয়া হয়েছিল।’ তবে প্রচারে বা ভোট পাওয়ার জন্য রাষ্ট্রের সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ করলেও নির্বাচনে জালিয়াতি বা ভোট কারচুপির কোনও অভিযোগ করেননি কেমাল কিলিচদারুগ্লু। ভোটে হার নিশ্চিতের পর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেমাল।
তিনি বলেন, কেমাল আরও বলেন, ‘আমি নেশন অ্যালায়েন্সের প্রধানদের, তাদের সংগঠনগুলোকে, আমাদের ভোটারদের এবং নাগরিকদের যারা ব্যালট বাক্সগুলো রক্ষা করেছেন এবং এই অনৈতিক ও বেআইনি চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই দেশের একজন ব্যক্তি হিসেবে আমি সর্বদা আপনার অধিকার এবং ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করেছি, যাতে কেউ আপনাকে নিপীড়ন না করে, যাতে আপনি প্রচুর পরিমাণে বাস করতে পারেন এবং আমি তা চালিয়ে যাব।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র না আসা পর্যন্ত আমরা এই সংগ্রামের অগ্রভাগে থাকব। এদিকে রান-অফ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এরদোয়ান। ইস্তাম্বুলে একে পার্টির সদর দফতরের সামনে উল্লাসরত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে আরও পাঁচ বছরের জন্য তুরস্কের শাসনভার তুলে দেওয়ায় ভোটারদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জাতির প্রত্যেক সদস্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এজন্য যে তারা আবার আমাদের কাছে আগামী পাঁচ বছরের জন্য তুরস্কের শাসনের দায়িত্ব দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ১৪ মে এবং ২৮ মে দুটি নির্বাচনে দেশের ৮৫ মিলিয়ন নাগরিকই ‘বিজয়ী’। জাতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা আমাদের জনগণের অনুগ্রহে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা সম্পন্ন করেছি।’
প্রথম দফা নির্বাচনের পর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে দেন এরদোয়ান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরদোয়ানকে একনায়ক হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। সেই বিষয়টি সাক্ষাৎকারে উঠে আসে। আপনি একনায়ক কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে এরদোয়ান বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপে জয়লাভ করতে পারিনি। এর জন্য দ্বিতীয় ধাপে লড়তে হচ্ছে। এরপরও কি এমন শব্দ আমার জন্য ব্যবহার করা উচিত।
এদিকে এরদোয়ান বলেন, একে পার্টির জোট পিপলস অ্যালায়েন্স ৩২২ আসনে জয়লাভ করে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। জোটের নেতৃত্বদানকারী (এরদোয়ান) দ্বিতীয় রাউন্ডে জয়ের জন্য লড়ছেন। পাল্টা প্রশ্ন করে এরদোয়ান বলেন, 'এটি কী ধরনের একনায়কত্ব?' সূত্র: বিবিসি, আনাদুলু, টিআরটি
গতকাল রবিবার রানঅফ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৫ কোটি ৩৮ লাখের বেশি ভোটার। মোট ভোটের মধ্যে এটি ৮৪.২২ শতাংশ। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশের বেশি ভোট গণনার পর এরদোয়ান পেয়েছেন ৫২.১৬ শতাংশ এবং কেমাল পেয়েছেন ৪৭.৮৪ শতাংশ ভোট। প্রথম দফায় গত ১৪ মে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় পার্লামেন্ট নির্বাচনও। পার্লামেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানের দল একে পার্টি ও তার জোট পিপলস অ্যালায়েন্স জিতেছে ৩২২টি আসনে। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জেতায় সংসদের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে।
প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন এরদোয়ান। তবে ৫০ শতাংশের কোটা পূরণ না হওয়ায় জয়ী হতে পারেননি তিনি। সেই বাধা টপকাতে তাকে লড়তে হয়েছে দ্বিতীয় তথা রানঅফ নির্বাচনে। রবিবারের জয় এরদোয়ানের ধারাবাহিকভাবে ১১তম জয়। রাজনীতিতে প্রবেশের পর থেকে দীর্ঘ জয়ের ইতিহাস রয়েছে তারা। এসব জয়ের পেছনে নানা মত ও নানা কৌশল অবশ্য রয়েছে। তবে ভোটে জালিয়াতি করেছেন এমন অভিযোগ অবশ্য বিরোধীরাও করেননি।
গত ২০১৪ সাল থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এরদোয়ান। এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে হার মেনে নিয়েছেন এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারুগ্লু। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, প্রচার-প্রচারণা বা কৌশলে ব্যাপক সুবিধা পেয়েছেন এরদোয়ান। রাষ্ট্রের সকল সুবিধা নিয়েছেন তিনি।
কেমালের কথায়, ‘রাষ্ট্রের সমস্ত সুবিধা একটি রাজনৈতিক দলের জন্য একত্রিত করা হয়েছিল এবং একজন ব্যক্তির পায়ে শুইয়ে দেওয়া হয়েছিল।’ তবে প্রচারে বা ভোট পাওয়ার জন্য রাষ্ট্রের সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ করলেও নির্বাচনে জালিয়াতি বা ভোট কারচুপির কোনও অভিযোগ করেননি কেমাল কিলিচদারুগ্লু। ভোটে হার নিশ্চিতের পর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেমাল।
তিনি বলেন, কেমাল আরও বলেন, ‘আমি নেশন অ্যালায়েন্সের প্রধানদের, তাদের সংগঠনগুলোকে, আমাদের ভোটারদের এবং নাগরিকদের যারা ব্যালট বাক্সগুলো রক্ষা করেছেন এবং এই অনৈতিক ও বেআইনি চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই দেশের একজন ব্যক্তি হিসেবে আমি সর্বদা আপনার অধিকার এবং ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করেছি, যাতে কেউ আপনাকে নিপীড়ন না করে, যাতে আপনি প্রচুর পরিমাণে বাস করতে পারেন এবং আমি তা চালিয়ে যাব।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র না আসা পর্যন্ত আমরা এই সংগ্রামের অগ্রভাগে থাকব। এদিকে রান-অফ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এরদোয়ান। ইস্তাম্বুলে একে পার্টির সদর দফতরের সামনে উল্লাসরত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে আরও পাঁচ বছরের জন্য তুরস্কের শাসনভার তুলে দেওয়ায় ভোটারদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জাতির প্রত্যেক সদস্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এজন্য যে তারা আবার আমাদের কাছে আগামী পাঁচ বছরের জন্য তুরস্কের শাসনের দায়িত্ব দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ১৪ মে এবং ২৮ মে দুটি নির্বাচনে দেশের ৮৫ মিলিয়ন নাগরিকই ‘বিজয়ী’। জাতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা আমাদের জনগণের অনুগ্রহে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা সম্পন্ন করেছি।’
প্রথম দফা নির্বাচনের পর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে দেন এরদোয়ান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরদোয়ানকে একনায়ক হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। সেই বিষয়টি সাক্ষাৎকারে উঠে আসে। আপনি একনায়ক কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে এরদোয়ান বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপে জয়লাভ করতে পারিনি। এর জন্য দ্বিতীয় ধাপে লড়তে হচ্ছে। এরপরও কি এমন শব্দ আমার জন্য ব্যবহার করা উচিত।
এদিকে এরদোয়ান বলেন, একে পার্টির জোট পিপলস অ্যালায়েন্স ৩২২ আসনে জয়লাভ করে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। জোটের নেতৃত্বদানকারী (এরদোয়ান) দ্বিতীয় রাউন্ডে জয়ের জন্য লড়ছেন। পাল্টা প্রশ্ন করে এরদোয়ান বলেন, 'এটি কী ধরনের একনায়কত্ব?' সূত্র: বিবিসি, আনাদুলু, টিআরটি