লাইলাতুল কদর অর্থ অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত। আরবি ভাষায় লাইলাতুল অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং কদর শব্দের অর্থ মর্যাদা বা সম্মান। এ ছাড়াও এর অন্য অর্থ ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা। এ রাতের মাধ্যমে মুসলমানদের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে থাকে। লাইলাতুল কদর বা শবে কদর হচ্ছে বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। এ রাত হাজার বছরের চেয়ে উত্তম। শবে কদরের রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন।
এ রাতে ইবাদতের সৌভাগ্য লাভ হলে আল্লাহতায়ালা অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেন। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও বিশ্বাসের সঙ্গে এবং সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, শবে কদরের রাত্রে দাঁড়ায়, তার আগেকার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারি)।
গোনাহ থেকে মাফ চাওয়া : মহান আল্লাহর কাছে গোনাহ থেকে মাফ চাইতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আল্লাহর কাছে গোনাহ মাফের দোয়া শিখিয়েছিলেন। রমজানের শেষ দশকে এ দোয়া বেশি বেশি পড়তে হবে-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ`ফুওয়ুন; তুহিব্বুল আ`ফওয়া; ফা`ফু আন্নি।’ অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
এদিকে জামাতে এশা ও ফজর নামাজ আদায় : কদরের রাতের ফজিলত ও বরকত লাভের জন্য বেশিরভাগ মুসলিম সারারাত জেগে নফল নামাজ পড়েন, ইবাদত করে থাকেন। সেক্ষেত্রে জামাতে ফজরের নামাজ পড়া জরুরি। কেননা নফল ইবাদতের চেয়ে ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শবে কদরে এশা ও ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করতে হবে। কোনোভাবেই যেন জামাতের নামাজ ছুটে না যায়।
কাযা নামাজ পড়া : সারাবছর নানা কারণে অনেক নামাজ কাজা হয়ে যায়। অনেকে সফরে থাকার সময় নামাজ আদায় করতে পারে না। তাই রমজানের শেষ ১০ দিন ফরজ নামাজের কাজা আদায় করা উত্তম।
কোরআন তেলাওয়াত করা : লাইলাতুল কদর রাতেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। আল কোরআনের বিধান পালনের মাধ্যমে এ রাত অতিবাহিত করা উচিত। কোরআন-সুন্নাহর অনুসরণে ইবাদত-বন্দেগিতে রমজানের শেষ দশক অতিবাহত করা।
ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকা : কদরের রাতে ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকা উচিত। এ রাতটি নির্দিষ্ট নয়, সেহেতু রমজানের শেষ দশকের পুরোটা সময় বিশেষ করে বেজোড় রাতগুলোতে ঝগড়া-বিবাদ থেকে বিরত থাকা উচিত। বিবাদে লিপ্ত থাকলে অতীতের সব গুনাহ মাফ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
দোয়া করা : লাইলাতুল কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম রাত। এ রাতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের পাশাপাশি দুনিয়ার জীবনে সুখ-শান্তির আবেদন-নিবেদন আল্লাহর দরবারে পেশ করা জরুরি। যেন আল্লাহতাআলা বান্দার জন্য সর্বোত্তম ভাগ্য নির্ধারণ করেন এ রাতে।
হাদিস পড়া : লাইলাতুল কদরের রাতে জ্ঞানার্জনের জন্য কোরআন ও হাদিসের পেছনে কিছু সময় ব্যয় করা। যে সামান্য সময়ের মর্যাদা অনেক বেশি।
কম ঘুমানো : রমজানের শেষ দশকের ইবাদাত-বন্দেগি ও ইতিকাফের জন্য বিশ্বনবী ইবাদতে মগ্ন থাকতেন। কারণ একটাই- লাইলাতুল কদর তালাশ করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন। কারণ শেষ দশকের যে কোনো বিজোড় রাতেই লাইলাতুল কদর নিহিত থাকে। তাই কম ঘুমিয়ে ইবাদতে মগ্ন থাকতে হবে।
কম খাবার গ্রহণ : রাত জেগে ইবাদাত-বন্দেগি করতে সুস্থ দেহ ও মন প্রয়োজন। বেশি খাওয়া হলে ঘুম ও ক্লান্তিতে ইবাদতে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই কম খেতে হবে।
এ রাতে ইবাদতের সৌভাগ্য লাভ হলে আল্লাহতায়ালা অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেন। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও বিশ্বাসের সঙ্গে এবং সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, শবে কদরের রাত্রে দাঁড়ায়, তার আগেকার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারি)।
গোনাহ থেকে মাফ চাওয়া : মহান আল্লাহর কাছে গোনাহ থেকে মাফ চাইতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আল্লাহর কাছে গোনাহ মাফের দোয়া শিখিয়েছিলেন। রমজানের শেষ দশকে এ দোয়া বেশি বেশি পড়তে হবে-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ`ফুওয়ুন; তুহিব্বুল আ`ফওয়া; ফা`ফু আন্নি।’ অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
এদিকে জামাতে এশা ও ফজর নামাজ আদায় : কদরের রাতের ফজিলত ও বরকত লাভের জন্য বেশিরভাগ মুসলিম সারারাত জেগে নফল নামাজ পড়েন, ইবাদত করে থাকেন। সেক্ষেত্রে জামাতে ফজরের নামাজ পড়া জরুরি। কেননা নফল ইবাদতের চেয়ে ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শবে কদরে এশা ও ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করতে হবে। কোনোভাবেই যেন জামাতের নামাজ ছুটে না যায়।
কাযা নামাজ পড়া : সারাবছর নানা কারণে অনেক নামাজ কাজা হয়ে যায়। অনেকে সফরে থাকার সময় নামাজ আদায় করতে পারে না। তাই রমজানের শেষ ১০ দিন ফরজ নামাজের কাজা আদায় করা উত্তম।
কোরআন তেলাওয়াত করা : লাইলাতুল কদর রাতেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। আল কোরআনের বিধান পালনের মাধ্যমে এ রাত অতিবাহিত করা উচিত। কোরআন-সুন্নাহর অনুসরণে ইবাদত-বন্দেগিতে রমজানের শেষ দশক অতিবাহত করা।
ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকা : কদরের রাতে ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকা উচিত। এ রাতটি নির্দিষ্ট নয়, সেহেতু রমজানের শেষ দশকের পুরোটা সময় বিশেষ করে বেজোড় রাতগুলোতে ঝগড়া-বিবাদ থেকে বিরত থাকা উচিত। বিবাদে লিপ্ত থাকলে অতীতের সব গুনাহ মাফ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
দোয়া করা : লাইলাতুল কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম রাত। এ রাতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের পাশাপাশি দুনিয়ার জীবনে সুখ-শান্তির আবেদন-নিবেদন আল্লাহর দরবারে পেশ করা জরুরি। যেন আল্লাহতাআলা বান্দার জন্য সর্বোত্তম ভাগ্য নির্ধারণ করেন এ রাতে।
হাদিস পড়া : লাইলাতুল কদরের রাতে জ্ঞানার্জনের জন্য কোরআন ও হাদিসের পেছনে কিছু সময় ব্যয় করা। যে সামান্য সময়ের মর্যাদা অনেক বেশি।
কম ঘুমানো : রমজানের শেষ দশকের ইবাদাত-বন্দেগি ও ইতিকাফের জন্য বিশ্বনবী ইবাদতে মগ্ন থাকতেন। কারণ একটাই- লাইলাতুল কদর তালাশ করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন। কারণ শেষ দশকের যে কোনো বিজোড় রাতেই লাইলাতুল কদর নিহিত থাকে। তাই কম ঘুমিয়ে ইবাদতে মগ্ন থাকতে হবে।
কম খাবার গ্রহণ : রাত জেগে ইবাদাত-বন্দেগি করতে সুস্থ দেহ ও মন প্রয়োজন। বেশি খাওয়া হলে ঘুম ও ক্লান্তিতে ইবাদতে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই কম খেতে হবে।