এবার আফগানিস্তানের পারওয়ান প্রদেশের কয়েকজন দর্জি জানিয়েছেন, তাদের নারীদের কাপড় তৈরি না করতে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমন নির্দেশনা দিয়েছেন তালেবান নিয়ন্ত্রিত সরকারের নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয়। আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে পুরুষদের নারীদের কাপড় তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় অনেকে কাজ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পারওয়ান প্রদেশের রাজধানী চারিকারের এক দর্জি। মুক্তার সেকান্দারি নামের ওই ব্যক্তি বলেছেন, “দোকান ভাড়া ১০ হাজার আফগানি। অন্যান্য খরচ আছে। আমরা নারীদের কাপড় তৈরি করে আমাদের সব খরচ মেটাতাম।”
পারওয়ান টেইলার্স ইউনিয়ন জানিয়েছে, কাজ হারিয়ে অনেক দর্জি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। বিশেষ করে তারা ইরানে পাড়ি জমিয়েছেন। এক দোকানদার বলেছেন, “যেসব দর্জি নারীদের পোশাক তৈরি করত তারা সবাই কাজ হারিয়েছে এবং অনেকেই ইরানে চলে গেছে।” মোহাম্মদ সাবের কুদুস নামের এক দর্জি বলেছেন, “আমাদের দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের কোনো ব্যবসা নেই।”
তবে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পারওয়ানের গভর্নর হিকামাতুল্লাহ শামীম। তিনি বলেছেন নারীদের কাপড় তৈরিতে নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয় কোনো বাধা দেয়নি। তবে সরাসরি নারীদের শরীর থেকে কাপড়ের মাপ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেছেন, “তাদের (পুরুষ দর্জি) কাপড় তৈরির অনুমতি রয়েছে এবং এক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে যখন কোনো নারী স্বশরীরে আসেন, তখন কাপড়ের মাপ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয়।” দারিদ্রতা ও বেকারত্বের কারণে গত দুই বছরে আফগানিস্তান থেকে অনেক মানুষ অন্য দেশে চলে গেছেন। সূত্র: তোলো নিউজ
এদিকে পুরুষদের নারীদের কাপড় তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় অনেকে কাজ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পারওয়ান প্রদেশের রাজধানী চারিকারের এক দর্জি। মুক্তার সেকান্দারি নামের ওই ব্যক্তি বলেছেন, “দোকান ভাড়া ১০ হাজার আফগানি। অন্যান্য খরচ আছে। আমরা নারীদের কাপড় তৈরি করে আমাদের সব খরচ মেটাতাম।”
পারওয়ান টেইলার্স ইউনিয়ন জানিয়েছে, কাজ হারিয়ে অনেক দর্জি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। বিশেষ করে তারা ইরানে পাড়ি জমিয়েছেন। এক দোকানদার বলেছেন, “যেসব দর্জি নারীদের পোশাক তৈরি করত তারা সবাই কাজ হারিয়েছে এবং অনেকেই ইরানে চলে গেছে।” মোহাম্মদ সাবের কুদুস নামের এক দর্জি বলেছেন, “আমাদের দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের কোনো ব্যবসা নেই।”
তবে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পারওয়ানের গভর্নর হিকামাতুল্লাহ শামীম। তিনি বলেছেন নারীদের কাপড় তৈরিতে নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয় কোনো বাধা দেয়নি। তবে সরাসরি নারীদের শরীর থেকে কাপড়ের মাপ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেছেন, “তাদের (পুরুষ দর্জি) কাপড় তৈরির অনুমতি রয়েছে এবং এক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে যখন কোনো নারী স্বশরীরে আসেন, তখন কাপড়ের মাপ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয়।” দারিদ্রতা ও বেকারত্বের কারণে গত দুই বছরে আফগানিস্তান থেকে অনেক মানুষ অন্য দেশে চলে গেছেন। সূত্র: তোলো নিউজ