তিনি চোখে দেখতে পান না। তার পেশা ভিক্ষা। তবে অন্যান্য ভিক্ষুকদের থেকে তিনি একটু আলাদা। কারণ তিনি ভিক্ষা করেন অভিনব উপায়ে। লোকজন সাধারণত ভিক্ষুকের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা করেন সাধ্যমতো। এটাই সচরাচর দেখা যায়। কিন্তু এবার এমন এক ভিক্ষুকের সন্ধান মিলেছে; যিনি ডিজিটাল ভিক্ষুক হিসেবে পরিচিত।
মোবাইলে অ্যাপসের মাধ্যমে ভিক্ষার অর্থ নেন তিনি। আর এই ডিজিটাল ভিক্ষুকের খোঁজ পাওয়া গেছে ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে। সেখানে গলায় অ্যাপসের কিউআর কোড ঝুলিয়ে লোকজনের কাছ থেকে ভিক্ষার অর্থ নিতে দেখা যায় তাকে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তার মোবাইলের অ্যাপসে ভিক্ষার অর্থ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অভিনব উপায়ে ভিক্ষা করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছেন তিনি। এই ডিজিটাল ভিক্ষুকের নাম দশরথ।
এদিকে ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতীয় ডিজিটাল পেমেন্ট ও আর্থিক পরিষেবা সংস্থা ফোনপের একটি কিউআর কোড প্রিন্ট করে গলায় ঝুলিয়েছেন তিনি। একটি গাড়িতে বসে থাকা দুই ব্যক্তির কাছে ভিক্ষা চান তিনি। এ সময় গাড়ির এক যাত্রী দশরথের গলায় ঝোলানো কিউআর কোড স্ক্যান করে তার অ্যাকাউন্টে ১০ রূপি পাঠিয়ে দেন। অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হওয়ার নোটিফিকেশনের অডিও শোনার জন্য ফোনটি নিজের কানের কাছে ধরে রাখেন তিনি।
ভিডিওটি এক্সে শেয়ার করেছেন কংগ্রেসের নেতা গৌরব সোমানি। এর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘‘চিন্তার উদ্রেক করার মতো মুহূর্ত।’’ তিনি লিখেছেন, সত্যিই প্রযুক্তির কোনও সীমা নেই। এমনকি এটা প্রযুক্তির শক্তির আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থারও প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করার প্রমাণ।
তবে ভারতে কোনও ভিক্ষুকের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার এটাই প্রথম ব্যবহার নয়। এর আগে, বিহারেও ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গলায় কিউআর কোডের প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। ট্যাব হাতে গলায় কিউআর কোড ঝুলিয়ে বিহারের বেত্তিয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভিক্ষা করেন তিনি।
এদিকে নিজেকে বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেওয়া রাজু প্যাটেল নামের ওই ডিজিটাল ভিক্ষুক বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইনে উৎসাহিত হয়ে ডিজিটাল উপায়ে ভিক্ষার অর্থ নেন তিনি।
এই ভিক্ষুক বলেছিলেন, তিনি কখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘‘মান কি বাত’’ রেডিও প্রোগ্রাম শুনতে ভোলেন না। দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতেও আয়েশা শর্মা নামের ২৯ বছর বয়সী ট্রান্সজেন্ডার এক ভিক্ষুকও ইউপিআই পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে ভিক্ষার অর্থ নেন। সূত্র: এনডিটিভি।
মোবাইলে অ্যাপসের মাধ্যমে ভিক্ষার অর্থ নেন তিনি। আর এই ডিজিটাল ভিক্ষুকের খোঁজ পাওয়া গেছে ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে। সেখানে গলায় অ্যাপসের কিউআর কোড ঝুলিয়ে লোকজনের কাছ থেকে ভিক্ষার অর্থ নিতে দেখা যায় তাকে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তার মোবাইলের অ্যাপসে ভিক্ষার অর্থ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অভিনব উপায়ে ভিক্ষা করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছেন তিনি। এই ডিজিটাল ভিক্ষুকের নাম দশরথ।
এদিকে ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতীয় ডিজিটাল পেমেন্ট ও আর্থিক পরিষেবা সংস্থা ফোনপের একটি কিউআর কোড প্রিন্ট করে গলায় ঝুলিয়েছেন তিনি। একটি গাড়িতে বসে থাকা দুই ব্যক্তির কাছে ভিক্ষা চান তিনি। এ সময় গাড়ির এক যাত্রী দশরথের গলায় ঝোলানো কিউআর কোড স্ক্যান করে তার অ্যাকাউন্টে ১০ রূপি পাঠিয়ে দেন। অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হওয়ার নোটিফিকেশনের অডিও শোনার জন্য ফোনটি নিজের কানের কাছে ধরে রাখেন তিনি।
ভিডিওটি এক্সে শেয়ার করেছেন কংগ্রেসের নেতা গৌরব সোমানি। এর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘‘চিন্তার উদ্রেক করার মতো মুহূর্ত।’’ তিনি লিখেছেন, সত্যিই প্রযুক্তির কোনও সীমা নেই। এমনকি এটা প্রযুক্তির শক্তির আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থারও প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করার প্রমাণ।
তবে ভারতে কোনও ভিক্ষুকের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার এটাই প্রথম ব্যবহার নয়। এর আগে, বিহারেও ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গলায় কিউআর কোডের প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। ট্যাব হাতে গলায় কিউআর কোড ঝুলিয়ে বিহারের বেত্তিয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভিক্ষা করেন তিনি।
এদিকে নিজেকে বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেওয়া রাজু প্যাটেল নামের ওই ডিজিটাল ভিক্ষুক বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইনে উৎসাহিত হয়ে ডিজিটাল উপায়ে ভিক্ষার অর্থ নেন তিনি।
এই ভিক্ষুক বলেছিলেন, তিনি কখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘‘মান কি বাত’’ রেডিও প্রোগ্রাম শুনতে ভোলেন না। দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতেও আয়েশা শর্মা নামের ২৯ বছর বয়সী ট্রান্সজেন্ডার এক ভিক্ষুকও ইউপিআই পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে ভিক্ষার অর্থ নেন। সূত্র: এনডিটিভি।