এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে বিচার দাবি করার পর রাতে শোকাতুর মায়ের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ২টার দিকে তিনি মারা যান। দুরন্ত বিপ্লবের বোন শাশ্বতী বিপ্লব ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘আমাদের মা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন একটু আগে। ছেলে হারানোর শোক আর সহ্য করতে পারেন নাই। ছেলের দেখা পাওয়ার জন্য অধৈর্য হয়ে উঠেছিলেন।
আজ রবিরার সকালে আরেক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, ‘আম্মার জানাজা আজ বাদ জোহর জাপান গার্ডের সিটির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত হবে।’ দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যু নিয়ে তদন্তের অসঙ্গতি এবং অমীমাংসিত প্রশ্নগুলো সামনে রেখে একটি বই সংকলন করেছেন শাশ্বতী বিপ্লব। শনিবার (২৭ মে) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘জাস্টিস ফর দুরন্ত বিপ্লব’ নামে সংকলনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুরন্ত বিপ্লবের মা। ছেলে দুর্ঘটনায় মারা যাননি উল্লেখ করে এর পক্ষে নানা বিষয় তুলে ধরেন তিনি। রোকেয়া আক্তার বলেছিলেন, ‘দুরন্তের বন্ধু-বান্ধব, বড়ভাই, ছোট ভাই সবাই তাকে চেনেন। আমি মা হিসেবে তাকে যতটা চিনেছি, তা বর্ণনাতীত। এটা সত্য সে পানিতে ডুবে মরেনি। দুরন্তকে তার সার্কেলের লোকজন, যাদের সঙ্গে চলাফেরা করত, এদের মধ্যেই কারো স্বার্থে আঘাত লেগেছে, সে কারণে তাকে হত্যা করেছে’, দাবি করেন তিনি।
জানা যায়, কৃষি খামারি দুরন্ত বিপ্লব ৭ নভেম্বর নিখোঁজ হন। এর পাঁচদিন পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ পায় পুলিশ। সেই রাতে মরদেহটি বিপ্লবের বলে নিশ্চিত করেন তার স্বজনরা। নিখোঁজ হওয়ার পর ৭ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর ১৪ নভেম্বর হত্যা মামলা করা হয়। বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্ত করতে থাকা ঢাকা জেলা পুলিশ থেকে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়।
ঢাকা জেলার পিবিআইয়ের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করে ডিবি লালবাগ বিভাগ। ঘটনার পর দুই সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, দুরন্ত বিপ্লবকে হত্যা করা হয়নি, তিনি অবহেলাজনিত দুর্ঘটনায় মৃত্যুর শিকার। গত ৭ নভেম্বর বুড়িগঙ্গা পার হওয়ার সময় মর্নিংসান-৫ লঞ্চের ধাক্কায় দুরন্ত বিপ্লবকে বহনকারী নৌকাটি উল্টে যায়। দুরন্ত বিপ্লব সাঁতারে দক্ষ না হওয়ায় বা সাঁতার না জানায় পানিতে তলিয়ে যান।
বোন শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, পিবিআই ও ডিবি পুলিশ কথাগুলো বলছে ধারণা থেকে। বলছে, হতে পারে, হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এতে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয় না দুরন্ত বিপ্লব দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। পুলিশের তদন্ত ও বক্তব্য নিয়ে আমাদের মনে অসংখ্য প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। আমাদের কাছে থাকা তথ্যগুলো বলছে, দুরন্ত বিপ্লব দুর্ঘটনার শিকার নয়, হত্যার শিকার হয়েছেন। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
এদিকে শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, আমরা আবেদন করে মামলাটি পিবিআইকে দেওয়ার জন্য আদালতে অনুরোধ করেছিলাম। পিবিআইয়ের তদন্তে আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু তারপরও আমাদের কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যেগুলো তাদের তদন্তের সঙ্গে মিলছে না। আমরা এসব প্রশ্নের জবাব চাই। বইটি প্রকাশের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘জাস্টিস ফর দুরন্ত বিপ্লব’ বইটিতে তার নিখোঁজ হওয়ার দিন গত বছরের ৭ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬২ দিনের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে।
আজ রবিরার সকালে আরেক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, ‘আম্মার জানাজা আজ বাদ জোহর জাপান গার্ডের সিটির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত হবে।’ দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যু নিয়ে তদন্তের অসঙ্গতি এবং অমীমাংসিত প্রশ্নগুলো সামনে রেখে একটি বই সংকলন করেছেন শাশ্বতী বিপ্লব। শনিবার (২৭ মে) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘জাস্টিস ফর দুরন্ত বিপ্লব’ নামে সংকলনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুরন্ত বিপ্লবের মা। ছেলে দুর্ঘটনায় মারা যাননি উল্লেখ করে এর পক্ষে নানা বিষয় তুলে ধরেন তিনি। রোকেয়া আক্তার বলেছিলেন, ‘দুরন্তের বন্ধু-বান্ধব, বড়ভাই, ছোট ভাই সবাই তাকে চেনেন। আমি মা হিসেবে তাকে যতটা চিনেছি, তা বর্ণনাতীত। এটা সত্য সে পানিতে ডুবে মরেনি। দুরন্তকে তার সার্কেলের লোকজন, যাদের সঙ্গে চলাফেরা করত, এদের মধ্যেই কারো স্বার্থে আঘাত লেগেছে, সে কারণে তাকে হত্যা করেছে’, দাবি করেন তিনি।
জানা যায়, কৃষি খামারি দুরন্ত বিপ্লব ৭ নভেম্বর নিখোঁজ হন। এর পাঁচদিন পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ পায় পুলিশ। সেই রাতে মরদেহটি বিপ্লবের বলে নিশ্চিত করেন তার স্বজনরা। নিখোঁজ হওয়ার পর ৭ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর ১৪ নভেম্বর হত্যা মামলা করা হয়। বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্ত করতে থাকা ঢাকা জেলা পুলিশ থেকে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়।
ঢাকা জেলার পিবিআইয়ের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করে ডিবি লালবাগ বিভাগ। ঘটনার পর দুই সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, দুরন্ত বিপ্লবকে হত্যা করা হয়নি, তিনি অবহেলাজনিত দুর্ঘটনায় মৃত্যুর শিকার। গত ৭ নভেম্বর বুড়িগঙ্গা পার হওয়ার সময় মর্নিংসান-৫ লঞ্চের ধাক্কায় দুরন্ত বিপ্লবকে বহনকারী নৌকাটি উল্টে যায়। দুরন্ত বিপ্লব সাঁতারে দক্ষ না হওয়ায় বা সাঁতার না জানায় পানিতে তলিয়ে যান।
বোন শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, পিবিআই ও ডিবি পুলিশ কথাগুলো বলছে ধারণা থেকে। বলছে, হতে পারে, হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এতে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয় না দুরন্ত বিপ্লব দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। পুলিশের তদন্ত ও বক্তব্য নিয়ে আমাদের মনে অসংখ্য প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। আমাদের কাছে থাকা তথ্যগুলো বলছে, দুরন্ত বিপ্লব দুর্ঘটনার শিকার নয়, হত্যার শিকার হয়েছেন। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
এদিকে শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, আমরা আবেদন করে মামলাটি পিবিআইকে দেওয়ার জন্য আদালতে অনুরোধ করেছিলাম। পিবিআইয়ের তদন্তে আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু তারপরও আমাদের কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যেগুলো তাদের তদন্তের সঙ্গে মিলছে না। আমরা এসব প্রশ্নের জবাব চাই। বইটি প্রকাশের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘জাস্টিস ফর দুরন্ত বিপ্লব’ বইটিতে তার নিখোঁজ হওয়ার দিন গত বছরের ৭ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬২ দিনের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে।