হেঁটে সৌদি আরব পৌঁছেছেন বাংলাদেশি যুবক আলিফ মাহমুদ। দৃঢ় সংকল্প থেকে হেঁটেই পুণ্যভূমি সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তিনি। জানা গেছে, এ বছর পবিত্র হজে অংশগ্রহণের জন্য গত বছরের ৮ জুলাই হেঁটেই মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বটতলী ইউপির বাতাবাড়িয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. আলিফ মাহমুদ আদিব।
এরপর নানা বাধা পেরিয়ে দীর্ঘ ৮ মাসের যাত্রায় ৭ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও অন্তত ৬টি দেশের মাটিতে হেঁটেছেন তিনি। দেশগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, কুয়েত ও সৌদি আরব।
সৌদি আরব পৌঁছে আলিফ বলেন, ‘এটা আমার স্বপ্নের দেশ আমাদের প্রিয় নবির দেশ। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি, আমি আমার প্রিয় নবির দেশে হাঁটছি এবং যখন ক্লান্ত হচ্ছি তখন মরুভূমির রোদ্রে জলা মাটিতে বসে একটু বিশ্রাম নিচ্ছি। এই দেশের মাটি ও বাতাস সবকিছুর মধ্যেই শান্তি খুঁজে পাওয়া যায় যে অনুভূতি কাউকে কোনোদিন বোঝানো সম্ভব না।’
তিনি আরও বলেন, শুরুতে সাইকেলে চড়ে মক্কায় যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও, পরে হেঁটে যাওয়ার সংকল্প করি।
হেঁটে হজ যাত্রা সম্পর্কে ইসলামি বিশেষজ্ঞগণ বলেন, যানবাহনের খরচ বহনের সক্ষমতা সত্ত্বেও হেঁটে হজে যাওয়া সুন্নাহ সমর্থিত নয়। ইসলামে এমন অতিউৎসাহ বা বাস্তবতা বিবর্জিত অতি আবেগের কোনো মূল্য নেই। পদব্রজে হজ করার মধ্যে বিশেষ কোনো ফজিলত ও মাহাত্ম্য নেই। তারা নিজেদের দাবির পক্ষে একটি হাদিস উল্লেখ করেছেন। সেটি হলো- ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জনৈক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে তার দুই ছেলের ওপর ভর করে হেঁটে যেতে দেখে বললেন, তার কী হয়েছে?
তারা আরও বলেন, কেউ যদি বাস্তবিক অর্থেই অর্থনৈতিক সক্ষমতা না থাকার কারণে একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হেঁটে হজ করে- এতে বাধা নেই।
এরপর নানা বাধা পেরিয়ে দীর্ঘ ৮ মাসের যাত্রায় ৭ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও অন্তত ৬টি দেশের মাটিতে হেঁটেছেন তিনি। দেশগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, কুয়েত ও সৌদি আরব।
সৌদি আরব পৌঁছে আলিফ বলেন, ‘এটা আমার স্বপ্নের দেশ আমাদের প্রিয় নবির দেশ। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি, আমি আমার প্রিয় নবির দেশে হাঁটছি এবং যখন ক্লান্ত হচ্ছি তখন মরুভূমির রোদ্রে জলা মাটিতে বসে একটু বিশ্রাম নিচ্ছি। এই দেশের মাটি ও বাতাস সবকিছুর মধ্যেই শান্তি খুঁজে পাওয়া যায় যে অনুভূতি কাউকে কোনোদিন বোঝানো সম্ভব না।’
তিনি আরও বলেন, শুরুতে সাইকেলে চড়ে মক্কায় যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও, পরে হেঁটে যাওয়ার সংকল্প করি।
হেঁটে হজ যাত্রা সম্পর্কে ইসলামি বিশেষজ্ঞগণ বলেন, যানবাহনের খরচ বহনের সক্ষমতা সত্ত্বেও হেঁটে হজে যাওয়া সুন্নাহ সমর্থিত নয়। ইসলামে এমন অতিউৎসাহ বা বাস্তবতা বিবর্জিত অতি আবেগের কোনো মূল্য নেই। পদব্রজে হজ করার মধ্যে বিশেষ কোনো ফজিলত ও মাহাত্ম্য নেই। তারা নিজেদের দাবির পক্ষে একটি হাদিস উল্লেখ করেছেন। সেটি হলো- ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জনৈক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে তার দুই ছেলের ওপর ভর করে হেঁটে যেতে দেখে বললেন, তার কী হয়েছে?
তারা আরও বলেন, কেউ যদি বাস্তবিক অর্থেই অর্থনৈতিক সক্ষমতা না থাকার কারণে একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হেঁটে হজ করে- এতে বাধা নেই।