জন্মের পর পোলিও আক্রান্ত হয়ে ফুসফুস পর্যন্ত বিকল হয়ে যায় পল আলেকজান্ডারের। পরে চিকিৎসকেরা বিশেষভাবে তৈরি একটি লোহার সিলিন্ডারে ঢুকিয়ে কৃত্রিমভাবে তার শ্বাস–প্রশ্বাস সচল রেখেছিলেন। তার পুরো শরীর ছিল ওই সিলিন্ডারে, শুধুমাত্র মাথা ছিল বাইরে। এভাবেই ৭০ বছর পার করেন তিনি।
এদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাসের বাসিন্দা এই ব্যক্তি অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মূলত ১৯৫২ সালে ছয় বছরে বয়সে পোলিও আক্রান্ত হন পল। এর ফলে তার শরীরে সম্পূর্ণ পঙ্গুত্বের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর এক যান্ত্রিক ফুসফুসের ভেতর জেগে ওঠেন তিনি। পরে পল আলেকজান্ডারের নাম দেয়া হয়েছিল ‘লোহার ফুসফুসওয়ালা মানব’।
লোহার এক বিশেষ ধরনের সিলিন্ডার আকৃতির কাঠামোর মধ্যেই তিনি এতোদিন বেঁচে ছিলেন। সিলিন্ডারটি ফুসফুসের মতো কাজ করত। সোমবার (১১ মার্চ) ৭৮ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়েছে। পলের মৃত্যুর খবরটি তার চিকিৎসার জন্য অনলাইনে তহবিল সংগ্রহকারী সংস্থা গো ফান্ড মি নিশ্চিত করেছে।
তহবিল সংগ্রহের সংগঠক ক্রিস্টোফার উলমার বলেন, ‘পল, তোমাকে সবাই মিস করবে, তোমাকে স্মরণ করা হবে। আমাদের সঙ্গে তোমার গল্প ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।’ ১৯৫০–এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে পোলিওর প্রাদুর্ভাবের সময় লোহার ফুসফুসের ভেতরে রাখা অনেক শিশুর মধ্যে একজন ছিলেন পল আলেকজান্ডার।
এক পর্যায়ে স্কুল পাস করে পল আলেক্সান্ডার সাউদার্ন মিথোডিস্ট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। ১৯৮৪ সালে তিনি অস্টিনে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস থেকে আইনে ডিগ্রি লাভ করেন। দুই বছর পর আইনজীবী হয়ে তিনি কয়েক দশক অনুশীলন চালিয়ে যান।
গত ২০২০ সালে তিনি আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। এটি লিখতে তার আট বছর সময় লাগে। কিবোর্ডে টাইপ করতে এবং বন্ধুকে নির্দেশ দিতে প্লাস্টিকের একটি লাঠি ব্যবহার করেন। পল আলেক্সান্ডার সবচেয়ে বেশি সময় ধরে লোহার ফুসফুসে জীবিত থেকে গিনেস রেকর্ডে নাম লেখান।
এদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাসের বাসিন্দা এই ব্যক্তি অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মূলত ১৯৫২ সালে ছয় বছরে বয়সে পোলিও আক্রান্ত হন পল। এর ফলে তার শরীরে সম্পূর্ণ পঙ্গুত্বের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর এক যান্ত্রিক ফুসফুসের ভেতর জেগে ওঠেন তিনি। পরে পল আলেকজান্ডারের নাম দেয়া হয়েছিল ‘লোহার ফুসফুসওয়ালা মানব’।
লোহার এক বিশেষ ধরনের সিলিন্ডার আকৃতির কাঠামোর মধ্যেই তিনি এতোদিন বেঁচে ছিলেন। সিলিন্ডারটি ফুসফুসের মতো কাজ করত। সোমবার (১১ মার্চ) ৭৮ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়েছে। পলের মৃত্যুর খবরটি তার চিকিৎসার জন্য অনলাইনে তহবিল সংগ্রহকারী সংস্থা গো ফান্ড মি নিশ্চিত করেছে।
তহবিল সংগ্রহের সংগঠক ক্রিস্টোফার উলমার বলেন, ‘পল, তোমাকে সবাই মিস করবে, তোমাকে স্মরণ করা হবে। আমাদের সঙ্গে তোমার গল্প ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।’ ১৯৫০–এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে পোলিওর প্রাদুর্ভাবের সময় লোহার ফুসফুসের ভেতরে রাখা অনেক শিশুর মধ্যে একজন ছিলেন পল আলেকজান্ডার।
এক পর্যায়ে স্কুল পাস করে পল আলেক্সান্ডার সাউদার্ন মিথোডিস্ট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। ১৯৮৪ সালে তিনি অস্টিনে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস থেকে আইনে ডিগ্রি লাভ করেন। দুই বছর পর আইনজীবী হয়ে তিনি কয়েক দশক অনুশীলন চালিয়ে যান।
গত ২০২০ সালে তিনি আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। এটি লিখতে তার আট বছর সময় লাগে। কিবোর্ডে টাইপ করতে এবং বন্ধুকে নির্দেশ দিতে প্লাস্টিকের একটি লাঠি ব্যবহার করেন। পল আলেক্সান্ডার সবচেয়ে বেশি সময় ধরে লোহার ফুসফুসে জীবিত থেকে গিনেস রেকর্ডে নাম লেখান।