এবার তিন দিন আগে কেনা মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে রাজবাড়ীতে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে দুই কিশোর। আজ মঙ্গলবার ১২ মার্চ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে নিহতরা হলেন- আলীপুর ইউনিয়নের গোপীনাথ দেয়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া (১৬) ও দ্বাদশী ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়পুর গ্রামের রব প্রামাণিকের ছেলে সোহাগ প্রামাণিক। রাজন আলীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী আর সোহাগ রাজবাড়ী শহরের শ্রীপুর বাজারে মোটর গ্যারেজের কর্মচারী।
জানা যায়, মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় গত শুক্রবার নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রাজন। ঘরের দরজা ভেঙে রাজনকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এরপর গত রোববার তাকে মোটরসাইকেল কিনে দেয় পরিবার। মঙ্গলবার খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে রাজন তার বন্ধু সোহাগকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়। আলীপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় এসে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে বৈদ্যুতিক পুলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনা স্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে রাজন মিয়ার প্রতিবেশী মুক্তার হোসেন বলেন, রাজনের বাবা ঢাকায় একটি কোম্পানিতে গাড়ি চালায়। রাজন পরিবারের একমাত্র সন্তান। অনেক দিন ধরেই বাড়িতে মোটরসাইকেল কেনার জন্য মা-বাবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এরপরও যখন মোটরসাইকেল কিনে দেয় নাই তখন গত শুক্রবার ঘরের দরজা আটকিয়ে গলায় ফাঁস নেয়।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালেও চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি চলে আসে। বাধ্য হয়ে রাজনকে মোটরসাইকেল কিনে দেয় পরিবার। মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। সঙ্গে ছিল রাজনের বন্ধু সোহাগ। নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে বৈদ্যুতিক পুলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুজনেই মারা যায়। বিষয়টা মর্মান্তিক।
এদিকে রাজনের বন্ধু আজিজুল বলেন, রাজন নিয়মিত স্কুলে আসতো না। গত পরশু ফোন দিয়ে জানায় সে মোটরসাইকেল কিনেছে। দুজনে ঘুরবো একদিন। আমি তাকে বললাম সাবধানে চালাস মোটরসাইকেল। এরপর আমাদের আর দেখা হয়নি। আজ এসে লাশ দেখছি।
এ সময় রাজনের মামী শাহানাজ পারভীন বলেন, রাজন মোটরসাইকেল কেনার জন্য অনেক দিন ধরেই বাড়িতে অশান্তি করছিল। শুক্রবারে গলায় ফাঁস নিয়েছিল। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন না থাকলে বাঁচানো যেত না। তিনদিন পরে এসে মোটরসাইকেলই ওরে মেরে ফেলল।
এদিকে আলীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কার ছিদ্দিক বলেন, তিন দিন আগে পরিবারকে জিম্মি করে মোটরসাইকেল কেনে রাজন। আজ এই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল। এজন্য অভিভাবকদের আরও সচেতনতা হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার এসআই হুমায়ুন রেজা বলেন, নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে মোটরসাইকেল বৈদ্যুতিক পুলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ঘটনা স্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে নিহতরা হলেন- আলীপুর ইউনিয়নের গোপীনাথ দেয়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া (১৬) ও দ্বাদশী ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়পুর গ্রামের রব প্রামাণিকের ছেলে সোহাগ প্রামাণিক। রাজন আলীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী আর সোহাগ রাজবাড়ী শহরের শ্রীপুর বাজারে মোটর গ্যারেজের কর্মচারী।
জানা যায়, মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় গত শুক্রবার নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রাজন। ঘরের দরজা ভেঙে রাজনকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এরপর গত রোববার তাকে মোটরসাইকেল কিনে দেয় পরিবার। মঙ্গলবার খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে রাজন তার বন্ধু সোহাগকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়। আলীপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় এসে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে বৈদ্যুতিক পুলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনা স্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে রাজন মিয়ার প্রতিবেশী মুক্তার হোসেন বলেন, রাজনের বাবা ঢাকায় একটি কোম্পানিতে গাড়ি চালায়। রাজন পরিবারের একমাত্র সন্তান। অনেক দিন ধরেই বাড়িতে মোটরসাইকেল কেনার জন্য মা-বাবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এরপরও যখন মোটরসাইকেল কিনে দেয় নাই তখন গত শুক্রবার ঘরের দরজা আটকিয়ে গলায় ফাঁস নেয়।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালেও চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি চলে আসে। বাধ্য হয়ে রাজনকে মোটরসাইকেল কিনে দেয় পরিবার। মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। সঙ্গে ছিল রাজনের বন্ধু সোহাগ। নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে বৈদ্যুতিক পুলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুজনেই মারা যায়। বিষয়টা মর্মান্তিক।
এদিকে রাজনের বন্ধু আজিজুল বলেন, রাজন নিয়মিত স্কুলে আসতো না। গত পরশু ফোন দিয়ে জানায় সে মোটরসাইকেল কিনেছে। দুজনে ঘুরবো একদিন। আমি তাকে বললাম সাবধানে চালাস মোটরসাইকেল। এরপর আমাদের আর দেখা হয়নি। আজ এসে লাশ দেখছি।
এ সময় রাজনের মামী শাহানাজ পারভীন বলেন, রাজন মোটরসাইকেল কেনার জন্য অনেক দিন ধরেই বাড়িতে অশান্তি করছিল। শুক্রবারে গলায় ফাঁস নিয়েছিল। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন না থাকলে বাঁচানো যেত না। তিনদিন পরে এসে মোটরসাইকেলই ওরে মেরে ফেলল।
এদিকে আলীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কার ছিদ্দিক বলেন, তিন দিন আগে পরিবারকে জিম্মি করে মোটরসাইকেল কেনে রাজন। আজ এই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল। এজন্য অভিভাবকদের আরও সচেতনতা হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার এসআই হুমায়ুন রেজা বলেন, নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে মোটরসাইকেল বৈদ্যুতিক পুলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ঘটনা স্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।