এবার ভারতে গত কিছুদিনে ঝড় বয়ে যাচ্ছে ‘মহাদেব অনলাইন বেটিং অ্যাপ’ নিয়ে তদন্ত। ভারতের চত্তিশগড় থেকে দুবাইয়ে বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পোকার, তাস, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, এমনকি ভারতের নির্বাচনকে ঘিরেও অবৈধ বাজি চলে এই অ্যাপে। এর মাধ্যমে অর্থ পাচার, ম্যাচ ফিক্সিংসহ নানা অপরাধে জড়ানোর অভিযোগ আছে। এসবের মাধ্যমে প্রায় ৬ হাজার কোটি রুপির প্রতারণার কথা বলছে ভারতের সংবাদমাধ্যম।
আর এই কেলেঙ্কারির তদন্তে বাংলাদেশে জানাতুল হাসান নামে একজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানাচ্ছে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে, যাঁকে বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার ও মাগুরা -১ আসনের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বোন বলে দাবি করছে ভারতের সংবাদমাধ্যমটি।
এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তারা গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তদন্তের সূত্র ধরে গিরিশ তালরেজা ও সুরাজ চোখানি নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই দুজন ‘মহাদেব অ্যাপ’-এর মূল প্রচারকদের একজন হরিশঙ্কর তিব্রেওয়ালের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বলে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এদিকে তদন্তকারী সংস্থাটি তিব্রেওয়ালের বিভিন্ন স্থাপনায় অভিযান চালিয়েছে। সেখান থেকে জানা গেছে, তিব্রেওয়াল ‘স্কাই এক্সচেঞ্জ’ নামের একটি অবৈধ বেটিংয়ের অ্যাপের মালিক ও পরিচালনাকারী। তাঁর দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তিব্রেওয়াল অবৈধ বেটিং থেকে পাওয়া অর্থ ‘বিদেশি পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্ট’ (এফপিআই)-এর মাধ্যমে ভারতের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতেন, যাতে অবৈধ অর্থ বৈধতা পায়।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানাচ্ছে, শেয়ারবাজারে তিব্রেওয়ালের অর্থ বিনিয়োগের দিকটা দেখভাল করতেন সুরাজ চোখানি। এর পাশাপাশি চোখানি ‘ইলেভেন উইকেট ডট কম’ নামে বাংলাদেশে একটি অ্যাপেও বিনিয়োগ করেছেন। এই অ্যাপের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে সাকিবের বোনের নাম।
এদিকে ইন্ডিয়া টুডে লিখেছে, ইলেভেন উইকেট ডট কম-এর অংশীদারদের একজন জানাতুল হাসান, যিনি সাকিবের বোন বলে দাবি করছে তারা।