এবার মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে কারাগারে বন্দি আছেন অসংখ্য মানুষ। এরমধ্যে ২০১৯ সাল থেকে ১ হাজার ১০০ দিরহামের জন্য একজন, ৫ হাজার ৩০০ দিরহামের জন্য আরেকজন আর ১৫ হাজার দিরহামের অপর একজন জেলের ঘাঁনি টানছেন। কারাগারে থাকা এসব মানুষের ছাড়া পাওয়ার আশা ক্রমশই কমছিল।
তবে রমজানের উপহার হিসেবে, দুবাইভিত্তিক ভারতীয় জুয়েলারি ব্যবসায়ী ফিরোজ মার্চেন্ট ঋণগ্রস্ত এসব মানুষের ঋণ শোধ করে তাদের ছাড়িয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন। পরোপকারী এ ব্যবসায়ী ঘোষণা দিয়েছেন, মোট ৯০০ কারাবন্দিকে মুক্ত করবেন তিনি। এরজন্য খরচ করবেন ১৫ লাখ দিরহাম।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ ব্যবসায়ী বলেছেন, “অনেকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে দান করেন। কিন্তু যারা কারাবন্দি আছেন তাদের নিয়ে খুব কম মানুষই ভাবেন। এই মানুষগুলো কিন্তু খুব বড় কোনো অপরাধী নয়।
তারা আসলে দুর্ভাগ্যের শিকার। নিজেদের নিয়ন্ত্রণের বাইরের পরিস্থিতির কারণে তারা লেনদেন সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারেননি। তারা সমাজেরই একটি অংশ। তারা মুক্তি এবং জীবন নতুন করে শুরুর অধিকার রাখেন। আমার লক্ষ্য হলো ঠিক এ বিষয়টিই তাদের দেওয়া।”
২০০৮ সাল থেকে বন্দিদের মুক্তির কার্যক্রম শুরু করেন এই ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। তিনি যে শুধুমাত্র বন্দিদের মুক্ত করেন এমনটি নয়; ওই বন্দিদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার বিমান টিকিটের ব্যবস্থাও করে দেন। গত ১৬ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি ২০ হাজার জনকে কারাগারের বন্দিদশা থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন।
এদিকে খালিজ টাইমসের সঙ্গে এ ব্যবসায়ী একটি ঘটনা এবং এটির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “কয়েক বছর আগে, দুবাই কারাগারের মহাপরিচালক একজন ভারতীয় শ্রমিক সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেন। ওই শ্রমিক একটি ভবনে কাজ করার সময় তার হাত থেকে একটি হাতুড়ি ফসকে গিয়ে নিচে পড়ে যায়।
ওই হাতুড়ি পড়ে নিচে থাকা এক ব্যক্তি নিহত হন। পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ব্লাডমানি হিসেবে ৭০ হাজার দিরহাম জরিমানা করা হয়। এই অর্থ সে কখনো যোগাড় করতে পারবে না। জরিমানা দিতে না পারায় সে কারাগারে আটকা পড়ে যায় এবং সব আশা ছেড়ে সারাজীবন কারাগারেই থাকার চিন্তা করে।”
“তার সম্পর্কে জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে আমি তার সব অর্থ পরিশোধ করে দেই। আমি যখন তার সঙ্গে কারাগারে দেখা করি সে যেন বিশ্বাস করতে পারছিল না। আমি তাকে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করার জন্য আরও তিন হাজার দিরহাম দেই। কয়েক বছর পর সে আমার অফিসে ফোন দেয় এবং তার মেয়ের বিয়েতে দাওয়াত দেয়। যদিও পূর্বসূচি থাকায় আমি যেতে পারিনি।”
এদিকে ভারতীয় এ ব্যবসায়ী দুবাইয়ে স্বর্ণের ব্যবসা করেন। এই ব্যবসা থেকে লাভ হওয়া অর্থ দিয়ে তিনি মানুষের সেবা করে থাকেন। সূত্র: খালিজ টাইমস
তবে রমজানের উপহার হিসেবে, দুবাইভিত্তিক ভারতীয় জুয়েলারি ব্যবসায়ী ফিরোজ মার্চেন্ট ঋণগ্রস্ত এসব মানুষের ঋণ শোধ করে তাদের ছাড়িয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন। পরোপকারী এ ব্যবসায়ী ঘোষণা দিয়েছেন, মোট ৯০০ কারাবন্দিকে মুক্ত করবেন তিনি। এরজন্য খরচ করবেন ১৫ লাখ দিরহাম।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ ব্যবসায়ী বলেছেন, “অনেকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে দান করেন। কিন্তু যারা কারাবন্দি আছেন তাদের নিয়ে খুব কম মানুষই ভাবেন। এই মানুষগুলো কিন্তু খুব বড় কোনো অপরাধী নয়।
তারা আসলে দুর্ভাগ্যের শিকার। নিজেদের নিয়ন্ত্রণের বাইরের পরিস্থিতির কারণে তারা লেনদেন সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারেননি। তারা সমাজেরই একটি অংশ। তারা মুক্তি এবং জীবন নতুন করে শুরুর অধিকার রাখেন। আমার লক্ষ্য হলো ঠিক এ বিষয়টিই তাদের দেওয়া।”
২০০৮ সাল থেকে বন্দিদের মুক্তির কার্যক্রম শুরু করেন এই ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। তিনি যে শুধুমাত্র বন্দিদের মুক্ত করেন এমনটি নয়; ওই বন্দিদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার বিমান টিকিটের ব্যবস্থাও করে দেন। গত ১৬ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি ২০ হাজার জনকে কারাগারের বন্দিদশা থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন।
এদিকে খালিজ টাইমসের সঙ্গে এ ব্যবসায়ী একটি ঘটনা এবং এটির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “কয়েক বছর আগে, দুবাই কারাগারের মহাপরিচালক একজন ভারতীয় শ্রমিক সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেন। ওই শ্রমিক একটি ভবনে কাজ করার সময় তার হাত থেকে একটি হাতুড়ি ফসকে গিয়ে নিচে পড়ে যায়।
ওই হাতুড়ি পড়ে নিচে থাকা এক ব্যক্তি নিহত হন। পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ব্লাডমানি হিসেবে ৭০ হাজার দিরহাম জরিমানা করা হয়। এই অর্থ সে কখনো যোগাড় করতে পারবে না। জরিমানা দিতে না পারায় সে কারাগারে আটকা পড়ে যায় এবং সব আশা ছেড়ে সারাজীবন কারাগারেই থাকার চিন্তা করে।”
“তার সম্পর্কে জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে আমি তার সব অর্থ পরিশোধ করে দেই। আমি যখন তার সঙ্গে কারাগারে দেখা করি সে যেন বিশ্বাস করতে পারছিল না। আমি তাকে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করার জন্য আরও তিন হাজার দিরহাম দেই। কয়েক বছর পর সে আমার অফিসে ফোন দেয় এবং তার মেয়ের বিয়েতে দাওয়াত দেয়। যদিও পূর্বসূচি থাকায় আমি যেতে পারিনি।”
এদিকে ভারতীয় এ ব্যবসায়ী দুবাইয়ে স্বর্ণের ব্যবসা করেন। এই ব্যবসা থেকে লাভ হওয়া অর্থ দিয়ে তিনি মানুষের সেবা করে থাকেন। সূত্র: খালিজ টাইমস