এবার নাটোরের বাগাতিপাড়ায় একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন সাবেক-বর্তমান তিন নারী জনপ্রতিনিধি। তিনজনই কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাগাতিপাড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব সামসুন্নাহার।
জানা যায়, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মুর্শিদা বেগম বাগাতিপাড়া পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর। শিলা খাতুন পাঁকা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য এবং শাহানাজ বেগম একই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য।
এদিকে ইউপি সদস্য শিলা খাতুন বলেন, অষ্টম শ্রেণি পাশের পরই পরিবার থেকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হই। তবে পড়ালেখার আক্ষেপটা ছিল। সর্বশেষ স্বামীর অনুপ্রেরণায় আবার লেখাপড়া শুরু করেছি।
সাবেক ইউপি সদস্য শাহানাজ পারভীন বলেন, দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বিয়ে হয়ে যায়। তারপর আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। লেখাপড়া জানা থাকলে যেকোনো সময় কাজে আসে। সংসার জীবনের পাশাপাশি লেখাপড়াটাও চালিয়ে যেতে চাই।
এদিকে পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর মুর্শিদা বেগম বলেন, শিক্ষার কোনো বয়স নেই। ছেলে-মেয়ে সবাই শিক্ষিত। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমারও শিক্ষিত হওয়া জরুরি। তাই পুনরায় লেখাপড়া শুরু করেছি।
বাগাতিপাড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রসচিব সামসুন্নাহার বলেন, তিন নারী জনপ্রতিনিধি শেষ পর্যন্ত যে লেখাপড়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পেরেছেন, সেজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। তাদের এই আগ্রহ দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হবে।
এদিকে বাগাতিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, লেখাপড়ার কোনো বয়স নেই। আর তারা সংসারের পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেজন্য তাদের ধন্যবাদ।
জানা যায়, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মুর্শিদা বেগম বাগাতিপাড়া পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর। শিলা খাতুন পাঁকা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য এবং শাহানাজ বেগম একই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য।
এদিকে ইউপি সদস্য শিলা খাতুন বলেন, অষ্টম শ্রেণি পাশের পরই পরিবার থেকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হই। তবে পড়ালেখার আক্ষেপটা ছিল। সর্বশেষ স্বামীর অনুপ্রেরণায় আবার লেখাপড়া শুরু করেছি।
সাবেক ইউপি সদস্য শাহানাজ পারভীন বলেন, দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বিয়ে হয়ে যায়। তারপর আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। লেখাপড়া জানা থাকলে যেকোনো সময় কাজে আসে। সংসার জীবনের পাশাপাশি লেখাপড়াটাও চালিয়ে যেতে চাই।
এদিকে পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর মুর্শিদা বেগম বলেন, শিক্ষার কোনো বয়স নেই। ছেলে-মেয়ে সবাই শিক্ষিত। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমারও শিক্ষিত হওয়া জরুরি। তাই পুনরায় লেখাপড়া শুরু করেছি।
বাগাতিপাড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রসচিব সামসুন্নাহার বলেন, তিন নারী জনপ্রতিনিধি শেষ পর্যন্ত যে লেখাপড়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পেরেছেন, সেজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। তাদের এই আগ্রহ দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হবে।
এদিকে বাগাতিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, লেখাপড়ার কোনো বয়স নেই। আর তারা সংসারের পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেজন্য তাদের ধন্যবাদ।