বয়সের ভারে ঠিকমতো হাঁটতে পারছেন না খুরশিদা খাতুন। সন্তানদের মারধরের ভয় তার চোখে-মুখে। সন্তানদের নির্যাতনের ভয় তাড়া করছে তাকে, তাই জামিন ঠেকাতে হাইকোর্টের বারান্দায় ঘুরছেন এই নারী।
চট্টগ্রামে বৃদ্ধা মাকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় তিন সন্তানকে আগাম জামিন দেননি হাই কোর্ট। গত রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে করা এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদেশের বিষয়টি জানিয়ে বলেন, এ আদেশের ফলে আসামিদের পুলিশ যে কোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার করতে পারবে।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আসামিরা বিচারিক আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে পারবেন। আদালত চাইলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিতে পারেন। ওই তিন সন্তান হলেন- হামিদুল হক সোহেল, তাসলিমা আক্তার সুমি ও সেলিম রেজা।
জানা গেছে, রাজধানীর কাফরুলের উত্তর ইব্রাহিমপুরের একটি জমি নিয়ে দ্বন্দে ছেলে সন্তানের বিরুদ্ধে আদালতে দাঁড়িয়েছেন বৃদ্ধ মা খুরশিদা খাতুন। স্বামী মারা যাওয়ার পরে বাড়ি নিজের নামে নিতে চান সন্তানেরা। তবে মায়ের ভরণপোষণের কোনো দায়িত্ব ছেলে-মেয়ে নিবে না। এই সম্পত্তি দখল নিয়েই মায়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায় সন্তানেরা। সন্তানদের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন খুরশিদা খাতুন।
বৃদ্ধার এক ছেলে হামিদুল হক সোহেল, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আর মেয়ে তাসলিমা আক্তার সুমি কাজ করছেন নির্বাচন কমিশনে। তারা দু’জনই তাদের মাকে একাধিকবার মেরেছেন। ঘর থেকে বের করেও দিয়েছেন।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি রেজাউল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তাদের জামিন শুনানি হয়। শুনানিতে বিচারপতির সামনে দাঁড়িয়ে আকুতি জানান, তাদের সন্তানদের জামিন না দিতে। তিনি বলেন, ‘স্যার ওরা আমাকে মারধর করে, স্যার ওরা আমাকে মেরে ফেলবে, ওদের জামিন দিয়েন না।’
ভুক্তভোগী নারী খুরশিদা খাতুন বলেন, ‘আমার ৫ লাখ টাকার মতো ওরা নিয়ে গেছে। আমার মুখেও মারছে। আমি কোথায় যাই না, আমার পিছে লোক রেখে দিছে।’
এর আগে রবিবার তিন সন্তানের আগাম জামিন ঠেকাতে হাই কোর্টে আসেন ৭২ বছর বয়সী এক মা। খুরশিদা আক্তার নামের সেই বৃদ্ধা হাইকোর্টকে জানান, তার দুই সন্তানকে জামিন দিলে তাকে তারা মেরে ফেলবে। তিনি আরও জানান, তার দুই ছেলে ও মেয়ে সরকারি কর্মকর্তা হয়েও সম্পত্তির জন্য তাকে মারধর করেন।
আদালতকে সামাজিক অবক্ষয়ের কথা উল্লেখ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, যেখানে বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবাকে সন্তানদের দেখাশোনা করার কথা, সেখানে সম্পত্তির জন্য মারধর করে। এর আগে খুরশিদা আক্তার কিছু সম্পত্তি বিক্রি করলে, সে টাকা নেওয়ার জন্যও সন্তানরা তাকে মারধর করে। এর মেডিকেল সার্টিফিকেটও তিনি জমা দিয়েছেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আমি আদালতের কাছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছি। হাই কোর্ট বিষয়টি অনুধাবন করে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন এবং খুব রূঢ়ভাবে বলেছেন তাদের জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।
এ সময় সেই বৃদ্ধার সন্তানদের আইনজীবী আদালতকে জানান, আরেক মেয়ের ইন্ধনে খুরশিদা আক্তার এ মামলা করেছেন। এ মামলার আগে তারা মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ সময় আসামিদের ভর্ৎসনা করে হাই কোর্ট বলেন, যে সন্তান মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে, সে কোনোভাবেই ভালো হতে পারে না।
চট্টগ্রামে বৃদ্ধা মাকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় তিন সন্তানকে আগাম জামিন দেননি হাই কোর্ট। গত রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে করা এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদেশের বিষয়টি জানিয়ে বলেন, এ আদেশের ফলে আসামিদের পুলিশ যে কোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার করতে পারবে।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আসামিরা বিচারিক আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে পারবেন। আদালত চাইলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিতে পারেন। ওই তিন সন্তান হলেন- হামিদুল হক সোহেল, তাসলিমা আক্তার সুমি ও সেলিম রেজা।
জানা গেছে, রাজধানীর কাফরুলের উত্তর ইব্রাহিমপুরের একটি জমি নিয়ে দ্বন্দে ছেলে সন্তানের বিরুদ্ধে আদালতে দাঁড়িয়েছেন বৃদ্ধ মা খুরশিদা খাতুন। স্বামী মারা যাওয়ার পরে বাড়ি নিজের নামে নিতে চান সন্তানেরা। তবে মায়ের ভরণপোষণের কোনো দায়িত্ব ছেলে-মেয়ে নিবে না। এই সম্পত্তি দখল নিয়েই মায়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায় সন্তানেরা। সন্তানদের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন খুরশিদা খাতুন।
বৃদ্ধার এক ছেলে হামিদুল হক সোহেল, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আর মেয়ে তাসলিমা আক্তার সুমি কাজ করছেন নির্বাচন কমিশনে। তারা দু’জনই তাদের মাকে একাধিকবার মেরেছেন। ঘর থেকে বের করেও দিয়েছেন।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি রেজাউল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তাদের জামিন শুনানি হয়। শুনানিতে বিচারপতির সামনে দাঁড়িয়ে আকুতি জানান, তাদের সন্তানদের জামিন না দিতে। তিনি বলেন, ‘স্যার ওরা আমাকে মারধর করে, স্যার ওরা আমাকে মেরে ফেলবে, ওদের জামিন দিয়েন না।’
ভুক্তভোগী নারী খুরশিদা খাতুন বলেন, ‘আমার ৫ লাখ টাকার মতো ওরা নিয়ে গেছে। আমার মুখেও মারছে। আমি কোথায় যাই না, আমার পিছে লোক রেখে দিছে।’
এর আগে রবিবার তিন সন্তানের আগাম জামিন ঠেকাতে হাই কোর্টে আসেন ৭২ বছর বয়সী এক মা। খুরশিদা আক্তার নামের সেই বৃদ্ধা হাইকোর্টকে জানান, তার দুই সন্তানকে জামিন দিলে তাকে তারা মেরে ফেলবে। তিনি আরও জানান, তার দুই ছেলে ও মেয়ে সরকারি কর্মকর্তা হয়েও সম্পত্তির জন্য তাকে মারধর করেন।
আদালতকে সামাজিক অবক্ষয়ের কথা উল্লেখ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, যেখানে বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবাকে সন্তানদের দেখাশোনা করার কথা, সেখানে সম্পত্তির জন্য মারধর করে। এর আগে খুরশিদা আক্তার কিছু সম্পত্তি বিক্রি করলে, সে টাকা নেওয়ার জন্যও সন্তানরা তাকে মারধর করে। এর মেডিকেল সার্টিফিকেটও তিনি জমা দিয়েছেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আমি আদালতের কাছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছি। হাই কোর্ট বিষয়টি অনুধাবন করে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন এবং খুব রূঢ়ভাবে বলেছেন তাদের জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।
এ সময় সেই বৃদ্ধার সন্তানদের আইনজীবী আদালতকে জানান, আরেক মেয়ের ইন্ধনে খুরশিদা আক্তার এ মামলা করেছেন। এ মামলার আগে তারা মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ সময় আসামিদের ভর্ৎসনা করে হাই কোর্ট বলেন, যে সন্তান মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে, সে কোনোভাবেই ভালো হতে পারে না।