অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ উপলক্ষে লোক সংস্কৃতি গবেষক, ও সংগ্রাহক ফখরুল হাসানের “ নরসিংদীর আঞ্চলিক শব্দকোষ” গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করছে প্রতিভা প্রকাশন।
গবেষণা ধর্মী বইটি নরসিংদীর আঞ্চলিক শব্দ সমূহকে জড়ো করে মোড়ক বন্ধি করেছেন। প্রতিটি অঞ্চলেরই আঞ্চলিক ভাষা থাকে। যার মাধ্যমে ওই অঞ্চলের আচার, আচারণ সাহিত্য, কৃষ্টি কালচার ফুটে উঠে। ঠিক তেমনি নরসিংদীর একটি নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। যা একত্রিক করে পাণ্ডুলিপি করে বই প্রকাশ করেছেন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার সন্তান লোক সংস্কৃতি গবেষক ও সংগ্রাহক ফখরুল হাসান। তথা কথিত আধুনিকতার নামে হারিয়ে যাচ্ছে নিজস্ব ভাষা-সংস্কৃতি। সেই সাথে হারিয়ে যাওয়া ভাষা গুলো দীর্ঘ দিন বিভিন্ন ভাবে সংগ্রহ করছেন তিনি।
জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংকেরএলজিএসপি ও এলআইসি প্রজেক্টের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুবাধে নরসিংদীর প্রতিটি ইউনিয়নে যাওয়া হয়েছে ফখরুল হাসানের। সেই সময় থেকে যেখানে যেতেন,ওই এলাকার নিজস্ব শব্দ গুলো নোট করে রাখতেন। ওইসব এলাকার মুরুব্বিদের কাছ থেকে নানা রকমের নতুন আঞ্চলিক শব্দের-অর্থ নিয়ে থাকতেন। র্দীঘ দিনের জমানো শব্দ গুলো নিয়ে লিখেন নরসিংদীর আঞ্চলিক ভাষার শব্দকোষ। তিনি নরসিংদীর চরাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত যত রকমের নতুন শব্দ সংগ্রহ করছেন তা এই বইয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন।
গ্রন্থটিতে নরসিংদীর আঞ্চলিক শব্দ গুলো লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। যেমন পাতিলকে 'পাইলা' আর চুলাকে 'পাহাল' বলতেই অভ্যন্ত। নরসিংদী অঞ্চলের লোকভাষায় 'স' এবং 'শ'-এর স্থলে 'হ' এবং 'র'-এর স্থলে 'ল' অক্ষরের ব্যবহার লক্ষণীয়। সকালকে 'বেইন্নালা' বিকালকে 'বাইট্যালা' শ্বশুরকে 'হউর' শাশুড়িকে 'হরি' এবং বড়োকে 'বুইত্যামারা' গরমকে 'ততা' টককে 'চুক্কা' পাটখেতকে 'নাইল্যাখেত' এগুলো নরসিংদীর গণমানুষের লোকভাষা। এই জনপদকে একজন সাধারণ মানুষ তার নিজ থানা রায়পুরাকে 'লাইপুরা', নরসিংদীকে 'নোসন্দি' এবং রেললাইনকে 'লেললাইন' বলে তথনই স্পষ্ট হয়ে উঠে তার নিজস্ব একটা পরিচয়। হারাচ্ছি সংস্কৃতি হৃদয়ের শব্দ, একান্ত আপন উচ্চারণ। এই এলাকার মানুষ আত্মীয়-পরিজনদের
সম্বোধন তাদের নিজস্ব ধারায় অভ্যস্ত।
বইটি সম্পর্কে ফখরুল হাসান বলেন,আমাদের বর্তমান প্রজন্ম মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের অপব্যবহারের ফলে কিছুটা বিচ্যুত হয়ে পেড়েছে। নরসিংদীর সর্বস্থরের মানুষকে জানাতে চাই আমাদেরও নিজস্ব ভাষা আছে, নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। আমি নিজ থেকেই লোক ভাষা ও সংস্কৃতিকে সংগ্রহ করার চেষ্ঠা করছি। আমি আশাবাদী আমাদের নতুন প্রজন্ম একটু হলেও নরসিংদীর নিজস্ব ভাষা সম্পর্কে জানতে এবং বু্যঝতে পারবে। আমাদের নিজস্বতাকে তখনই মূল্যায়ন করবে।
প্রসঙ্গত, নরসিংদী'র রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ মির্জানগর জন্মগ্রহন করেন ফখরুল হাসান। পিতা হাফেজ আবদুল ওয়াহাব, মাতা- আনোয়ারা বেগম। তারুণ্যের সূচনালগ্ন থেকেই কবিতা এবং প্রবন্ধের মাধ্যমে সাহিত্যে যাত্রা। এ যাবতকালে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, সাময়িকীতে প্রতিবেদন প্রবন্ধসহ অনেক সাহিত্যকর্ম প্রকাশিত হয়েছে। শুধু একজন সাহিত্যিকই নন, তাঁকে একজন চৌকষ সমাজদষ্টাও বলা যায়।
তিনি বিভিন্ন স্মারক মুদ্রা, কাগজের নোট, কয়েন, ডাকটিকেট-সহ লোক সংস্কৃতি অনুসন্ধানের মাধ্যমে নরসিংদীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত দুর্লভ তৈজষপত্র নিদর্শন সম্ভার নিয়ে নিজের বাড়িতে গড়ে তুলেছেন একটি 'সংগ্রহশালা'। শিল্প-সাহিত্য-লোকসংস্কৃতি বিষয়ক সাময়িকী 'চিৎপ্রকর্ষের' সম্পাদক। ব্যক্তি জীবনে সহধর্মিনী সামসুন্নাহার লুনা, পুত্র-ওয়াসিফ আল হাসান প্রহরকে নিয়ে তাঁর সংসার।
গবেষণা ধর্মী বইটি নরসিংদীর আঞ্চলিক শব্দ সমূহকে জড়ো করে মোড়ক বন্ধি করেছেন। প্রতিটি অঞ্চলেরই আঞ্চলিক ভাষা থাকে। যার মাধ্যমে ওই অঞ্চলের আচার, আচারণ সাহিত্য, কৃষ্টি কালচার ফুটে উঠে। ঠিক তেমনি নরসিংদীর একটি নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। যা একত্রিক করে পাণ্ডুলিপি করে বই প্রকাশ করেছেন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার সন্তান লোক সংস্কৃতি গবেষক ও সংগ্রাহক ফখরুল হাসান। তথা কথিত আধুনিকতার নামে হারিয়ে যাচ্ছে নিজস্ব ভাষা-সংস্কৃতি। সেই সাথে হারিয়ে যাওয়া ভাষা গুলো দীর্ঘ দিন বিভিন্ন ভাবে সংগ্রহ করছেন তিনি।
জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংকেরএলজিএসপি ও এলআইসি প্রজেক্টের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুবাধে নরসিংদীর প্রতিটি ইউনিয়নে যাওয়া হয়েছে ফখরুল হাসানের। সেই সময় থেকে যেখানে যেতেন,ওই এলাকার নিজস্ব শব্দ গুলো নোট করে রাখতেন। ওইসব এলাকার মুরুব্বিদের কাছ থেকে নানা রকমের নতুন আঞ্চলিক শব্দের-অর্থ নিয়ে থাকতেন। র্দীঘ দিনের জমানো শব্দ গুলো নিয়ে লিখেন নরসিংদীর আঞ্চলিক ভাষার শব্দকোষ। তিনি নরসিংদীর চরাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত যত রকমের নতুন শব্দ সংগ্রহ করছেন তা এই বইয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন।
গ্রন্থটিতে নরসিংদীর আঞ্চলিক শব্দ গুলো লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। যেমন পাতিলকে 'পাইলা' আর চুলাকে 'পাহাল' বলতেই অভ্যন্ত। নরসিংদী অঞ্চলের লোকভাষায় 'স' এবং 'শ'-এর স্থলে 'হ' এবং 'র'-এর স্থলে 'ল' অক্ষরের ব্যবহার লক্ষণীয়। সকালকে 'বেইন্নালা' বিকালকে 'বাইট্যালা' শ্বশুরকে 'হউর' শাশুড়িকে 'হরি' এবং বড়োকে 'বুইত্যামারা' গরমকে 'ততা' টককে 'চুক্কা' পাটখেতকে 'নাইল্যাখেত' এগুলো নরসিংদীর গণমানুষের লোকভাষা। এই জনপদকে একজন সাধারণ মানুষ তার নিজ থানা রায়পুরাকে 'লাইপুরা', নরসিংদীকে 'নোসন্দি' এবং রেললাইনকে 'লেললাইন' বলে তথনই স্পষ্ট হয়ে উঠে তার নিজস্ব একটা পরিচয়। হারাচ্ছি সংস্কৃতি হৃদয়ের শব্দ, একান্ত আপন উচ্চারণ। এই এলাকার মানুষ আত্মীয়-পরিজনদের
সম্বোধন তাদের নিজস্ব ধারায় অভ্যস্ত।
বইটি সম্পর্কে ফখরুল হাসান বলেন,আমাদের বর্তমান প্রজন্ম মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের অপব্যবহারের ফলে কিছুটা বিচ্যুত হয়ে পেড়েছে। নরসিংদীর সর্বস্থরের মানুষকে জানাতে চাই আমাদেরও নিজস্ব ভাষা আছে, নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। আমি নিজ থেকেই লোক ভাষা ও সংস্কৃতিকে সংগ্রহ করার চেষ্ঠা করছি। আমি আশাবাদী আমাদের নতুন প্রজন্ম একটু হলেও নরসিংদীর নিজস্ব ভাষা সম্পর্কে জানতে এবং বু্যঝতে পারবে। আমাদের নিজস্বতাকে তখনই মূল্যায়ন করবে।
প্রসঙ্গত, নরসিংদী'র রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ মির্জানগর জন্মগ্রহন করেন ফখরুল হাসান। পিতা হাফেজ আবদুল ওয়াহাব, মাতা- আনোয়ারা বেগম। তারুণ্যের সূচনালগ্ন থেকেই কবিতা এবং প্রবন্ধের মাধ্যমে সাহিত্যে যাত্রা। এ যাবতকালে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, সাময়িকীতে প্রতিবেদন প্রবন্ধসহ অনেক সাহিত্যকর্ম প্রকাশিত হয়েছে। শুধু একজন সাহিত্যিকই নন, তাঁকে একজন চৌকষ সমাজদষ্টাও বলা যায়।
তিনি বিভিন্ন স্মারক মুদ্রা, কাগজের নোট, কয়েন, ডাকটিকেট-সহ লোক সংস্কৃতি অনুসন্ধানের মাধ্যমে নরসিংদীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত দুর্লভ তৈজষপত্র নিদর্শন সম্ভার নিয়ে নিজের বাড়িতে গড়ে তুলেছেন একটি 'সংগ্রহশালা'। শিল্প-সাহিত্য-লোকসংস্কৃতি বিষয়ক সাময়িকী 'চিৎপ্রকর্ষের' সম্পাদক। ব্যক্তি জীবনে সহধর্মিনী সামসুন্নাহার লুনা, পুত্র-ওয়াসিফ আল হাসান প্রহরকে নিয়ে তাঁর সংসার।